ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শান্ত-লিটনদের জন্য পাওয়ার হিটিংয়ে প্রসিদ্ধ কোচ আনছে বিসিবি! Logo কান্নার দৃশ্যে গ্লিসারিন ব্যবহার করতে হয়নি : শুভশ্রী Logo রাজনীতি নয়, অতীত কর্মকাণ্ড ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে সোহাগ হত্যা Logo এনসিপির গাড়িবহরে হামলা, রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ Logo মদনগঞ্জে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব Logo সুন্দর পরিবেশ এর মধ্যে পাগলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন এর ১ম দিনে মনোনয়ন ক্রয় করেছেন ২০ জন প্রার্থী Logo ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল Logo ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প, পুতিনকে নিয়ে অসন্তোষ Logo বেনারসি, ভারী গহনায় চমকে দিলেন পরীমণি Logo সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের

রাজনীতি নয়, অতীত কর্মকাণ্ড ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে সোহাগ হত্যা

রাজনীতি নয় বরং ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে হত্যার শিকার হয়েছেন রাজধানীর পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯)। এমনটা মনে করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
চাঞ্চল্যকর সোহাগ হত্যা মামলার অগ্রগতি নিয়ে বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংসবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএমপি।

এতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সোহাগ আগের সরকারের আমলে হাজী সেলিমের ভাতিজা পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায় পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তারের (অ্যালুমিনিয়ামের) ব্যবসা করতেন। চোরাই তার বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে তারা বিক্রি করতেন, যেখানে অ্যালুমিনিয়ামের হাড়ি পাতিল কড়াই তৈরি হয়। গত ১৭ বছর সোহাগ এই কাজ করে এসেছেন। এর মধ্যে আরেকটা গ্রুপ এই ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে। তখন তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক বিভেদ তৈরি হয়। তারা একই এলাকার এবং পূর্ব পরিচিত। ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা বা সরকারকে বেকায়দায় ফেলা বা অন্য কোনো উদ্দেশে সোহাগ হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। পুলিশ তদন্তে এরকম কিছু পায়নি। এটা ছিল ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, আমরা এ ঘটনায় মর্মাহত, গভীরভাবে শোকাহত।

তিনি ঘটনায় পুলিশি কার্যক্রমের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, ঘটনা চলাকালে ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে চকবাজার থানার ওসি চকবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরওয়ার ঘটনার কয়েক মিনিট পরেই সেখানে উপস্থিত হন। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায়, অভিযুক্তরা ঘটনাস্থলে মব সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা চাঁদাবাজদের জায়গা নাই স্লোগান দিচ্ছিল।

এ অবস্থায় চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সারোয়ার ঘটনাস্থল থেকে মাহবুব ও মহিনকে আটক করে। পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৯।

ভুক্তভোগী সোহাগকে পাথর নিক্ষেপকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা গেলেও সেসময় তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশের বিশেষ টিমের সহায়তায় তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পটুয়াখালী থেকে গতকাল মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম রেজওয়ান উদ্দিন অভি। তিনি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম। তার বাবার নাম মনোরঞ্জন বসু, মায়ের নাম বিউটি দেব মিলা। এ ঘটনায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

শান্ত-লিটনদের জন্য পাওয়ার হিটিংয়ে প্রসিদ্ধ কোচ আনছে বিসিবি!

রাজনীতি নয়, অতীত কর্মকাণ্ড ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে সোহাগ হত্যা

আপডেট সময় ০৩:৩৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

রাজনীতি নয় বরং ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে হত্যার শিকার হয়েছেন রাজধানীর পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯)। এমনটা মনে করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
চাঞ্চল্যকর সোহাগ হত্যা মামলার অগ্রগতি নিয়ে বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংসবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএমপি।

এতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সোহাগ আগের সরকারের আমলে হাজী সেলিমের ভাতিজা পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায় পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তারের (অ্যালুমিনিয়ামের) ব্যবসা করতেন। চোরাই তার বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে তারা বিক্রি করতেন, যেখানে অ্যালুমিনিয়ামের হাড়ি পাতিল কড়াই তৈরি হয়। গত ১৭ বছর সোহাগ এই কাজ করে এসেছেন। এর মধ্যে আরেকটা গ্রুপ এই ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে। তখন তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক বিভেদ তৈরি হয়। তারা একই এলাকার এবং পূর্ব পরিচিত। ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা বা সরকারকে বেকায়দায় ফেলা বা অন্য কোনো উদ্দেশে সোহাগ হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। পুলিশ তদন্তে এরকম কিছু পায়নি। এটা ছিল ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, আমরা এ ঘটনায় মর্মাহত, গভীরভাবে শোকাহত।

তিনি ঘটনায় পুলিশি কার্যক্রমের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, ঘটনা চলাকালে ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে চকবাজার থানার ওসি চকবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরওয়ার ঘটনার কয়েক মিনিট পরেই সেখানে উপস্থিত হন। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায়, অভিযুক্তরা ঘটনাস্থলে মব সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা চাঁদাবাজদের জায়গা নাই স্লোগান দিচ্ছিল।

এ অবস্থায় চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সারোয়ার ঘটনাস্থল থেকে মাহবুব ও মহিনকে আটক করে। পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৯।

ভুক্তভোগী সোহাগকে পাথর নিক্ষেপকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা গেলেও সেসময় তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশের বিশেষ টিমের সহায়তায় তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পটুয়াখালী থেকে গতকাল মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম রেজওয়ান উদ্দিন অভি। তিনি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম। তার বাবার নাম মনোরঞ্জন বসু, মায়ের নাম বিউটি দেব মিলা। এ ঘটনায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।