ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সেন্টমার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ‘সর্বৈব মিথ্যা’ : মির্জা ফখরুল

‘বিএনপি সেন্টমার্টিন দ্বীপ বা বাংলাদেশকে বিদেশিদের কাছে বন্ধক দিয়ে ক্ষমতা আসতে চায়’ প্রাধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যকে ‘সর্বৈব মিথ্যা-বানোয়াট-ভিত্তিহীন’ হিসেবে অবিহিত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এটা (প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য) সম্পূর্ণভাবে বানোয়াট, ভিত্তিহীন, সর্বৈব মিথ্যা কথা। এই কথাগুলো বলে উনি (শেখ হাসিনা) কিছু সুবিধা পেতে চান। সেই সুবিধা যদি উল্টো হয়ে যেতে পারে এটা উনি বুঝেন না। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির যারা অতীতে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এবং আগামীতে হবেন এমন নেতাদের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের নেতাদের তুলে নিয়ে তাদেরকে নির্বাচন করতে চাপ দিচ্ছে।

এর আগে, গত বুধবার সুইজারল্যান্ড সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও যদি বলি যে সেন্টমার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কাউকে লিজ দেবো, তাহলে আমার ক্ষমতায় থাকার কোনও অসুবিধা নাই, আমি জানি সেটা। কিন্তু আমার দ্বারা সেটা হবে না। ২০০১ সালে বিএনপি ‘গ্যাস বিক্রি করার’ মুচলেকা দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল। এখন তারা দেশ বিক্রি করবে, নাকি সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়? আমি তো এটুকু বলতে পারি যে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের কন্যা। আমার হাত থেকে এ দেশের কোনও সম্পদ কারও কাছে বিক্রি করে আমি ক্ষমতায় আসতে চাই না। ওই গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, উনি (শেখ হাসিনা) কি এসব কথা বলেছেন ওনার অফিসিয়াল পজিশন এজ প্রাইম মিনিস্টার অর এজ প্রেসিডেন্ট অব আওয়ামী লীগ হিসেবে। প্রাইম মিনিস্টার হয়ে এই বক্তব্য দিয়েছেন-তাই না। এখন আমি তাকেই (প্রধানমন্ত্রী) জিজ্ঞাসা করতে চাই, ওনারা যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছেন সেই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বা যেকোনও নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যখন রং ইনফরমেশন দেওয়া হয়, মিথ্যা কথা বলা হয় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট হয় না, মামলা আসে না। তিনি আরো বলেন, এখন কি এটা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলায় পড়বে কিনা যে, উনি বিএনপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগটা এনেছেন- পড়ে কিনা? মিথ্যা অভিযোগ, সর্বৈব মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ। তাহলে এটা (ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে) পড়ে। এটা আপনাদের (গণমাধ্যম) কাছে প্রশ্ন থাকলো।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড কিনা জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা সম্পূর্ণ পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড, তারপরে উনি যেটা বলেছেন, আমি একবিন্দুও জীবন থাকতে দেবো না এই কথাটা সম্পূর্ণ স্টান্ট। উনি যখন হেরে গেলেন ২০০১ সালের নির্বাচনে তখনও উনি একই কথা বলেছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি একটা দল যে নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, স্বাধীনতা রক্ষায় সবসময় ত্যাগ স্বীকার করে এসেছে। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, সরাসরি লড়াই করেছেন। পরবর্তী সময়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে, তখনও তিনি পুরোপুরি এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করেছেন। এখনও আজ পর্যন্ত কখনও কেউ বলে নাই যে বিএনপি দেশ বিক্রি করেছে বা দেশের কোনও জিনিস বিদেশীদের হাতে দিয়ে দিয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের ছাড়া হচ্ছে না। তাদের জামিন হয়, আবার আটকে যায়। এটা একটা ভয়াবহ দমননীতি। তিনি বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পতি চক্রান্ত শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে যে ঘটনাগুলো ঘটেছিল, গায়েবি মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে নেতাকর্মীদের জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেটা এখন আবার শুরু হয়েছে। আমরা তো মধ্যযুগীয় বর্বরতায় বসবাস করছি। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য এমন কোনো কাজ নেই যা তারা করছে না। দেশের ক্ষতি করাতে তারা মরিয়া হয়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (সরকার) বুঝতে পেরেছেন যে জনগণ তাদের আর গ্রহণ করবে না। তাই কোনোভাবেই তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা শুনছেন না। একেবারে ওদিকে তারা যাচ্ছেন না। একটাই কথা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আরে সেই সংবিধান কে কাটাছেড়া করেছে? সেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে তাহলে ত্রয়োদশ সংশোধনীতে যে তত্ত¡াবধায়ক সরকার ছিল সেটাই থাকবে। সেটার রাজনৈতিক একটা সমাধানও হয়েছিল। সেখান থেকে সরে গিয়ে শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষমতায় রাখার জন্য দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি বলেন, সরকার অন্যান্য দেশগুলো নিয়ে যে মন্তব্য করেছে এতে বাংলাদেশ ভ‚রাজনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ধরনের কথাবার্তা তো দায়িত্বশীল নেতা বলতে পারেন না। সরকার চালাচ্ছেন যিনি, তিনি এই ধরনের কথা বলতে পারেন এটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের যারা আইনশৃংখলাবাহিনীর সঙ্গে জড়িত তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- দয়া করে নিজেকে অসাংবিধানিক কাজের সঙ্গে জড়িত করবেন না। অবৈধ সরকারের অন্যায় আদেশ-নির্দেশ পালনে জনগণের বিরুদ্ধে নিজেদের দাঁড় করবেন না। এই দেশের মানুষ বরাবরই অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, তাদের অধিকার আদায় করে নিয়েছে। এখন তারা আবারও অধিকার আদায় করে নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর দক্ষিণের আহŸায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম আহŸায়ক মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

সেন্টমার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ‘সর্বৈব মিথ্যা’ : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৪:৩০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩

‘বিএনপি সেন্টমার্টিন দ্বীপ বা বাংলাদেশকে বিদেশিদের কাছে বন্ধক দিয়ে ক্ষমতা আসতে চায়’ প্রাধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যকে ‘সর্বৈব মিথ্যা-বানোয়াট-ভিত্তিহীন’ হিসেবে অবিহিত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এটা (প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য) সম্পূর্ণভাবে বানোয়াট, ভিত্তিহীন, সর্বৈব মিথ্যা কথা। এই কথাগুলো বলে উনি (শেখ হাসিনা) কিছু সুবিধা পেতে চান। সেই সুবিধা যদি উল্টো হয়ে যেতে পারে এটা উনি বুঝেন না। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির যারা অতীতে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এবং আগামীতে হবেন এমন নেতাদের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের নেতাদের তুলে নিয়ে তাদেরকে নির্বাচন করতে চাপ দিচ্ছে।

এর আগে, গত বুধবার সুইজারল্যান্ড সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও যদি বলি যে সেন্টমার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কাউকে লিজ দেবো, তাহলে আমার ক্ষমতায় থাকার কোনও অসুবিধা নাই, আমি জানি সেটা। কিন্তু আমার দ্বারা সেটা হবে না। ২০০১ সালে বিএনপি ‘গ্যাস বিক্রি করার’ মুচলেকা দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল। এখন তারা দেশ বিক্রি করবে, নাকি সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়? আমি তো এটুকু বলতে পারি যে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের কন্যা। আমার হাত থেকে এ দেশের কোনও সম্পদ কারও কাছে বিক্রি করে আমি ক্ষমতায় আসতে চাই না। ওই গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, উনি (শেখ হাসিনা) কি এসব কথা বলেছেন ওনার অফিসিয়াল পজিশন এজ প্রাইম মিনিস্টার অর এজ প্রেসিডেন্ট অব আওয়ামী লীগ হিসেবে। প্রাইম মিনিস্টার হয়ে এই বক্তব্য দিয়েছেন-তাই না। এখন আমি তাকেই (প্রধানমন্ত্রী) জিজ্ঞাসা করতে চাই, ওনারা যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছেন সেই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বা যেকোনও নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যখন রং ইনফরমেশন দেওয়া হয়, মিথ্যা কথা বলা হয় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট হয় না, মামলা আসে না। তিনি আরো বলেন, এখন কি এটা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলায় পড়বে কিনা যে, উনি বিএনপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগটা এনেছেন- পড়ে কিনা? মিথ্যা অভিযোগ, সর্বৈব মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ। তাহলে এটা (ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে) পড়ে। এটা আপনাদের (গণমাধ্যম) কাছে প্রশ্ন থাকলো।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড কিনা জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা সম্পূর্ণ পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড, তারপরে উনি যেটা বলেছেন, আমি একবিন্দুও জীবন থাকতে দেবো না এই কথাটা সম্পূর্ণ স্টান্ট। উনি যখন হেরে গেলেন ২০০১ সালের নির্বাচনে তখনও উনি একই কথা বলেছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি একটা দল যে নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, স্বাধীনতা রক্ষায় সবসময় ত্যাগ স্বীকার করে এসেছে। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, সরাসরি লড়াই করেছেন। পরবর্তী সময়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে, তখনও তিনি পুরোপুরি এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করেছেন। এখনও আজ পর্যন্ত কখনও কেউ বলে নাই যে বিএনপি দেশ বিক্রি করেছে বা দেশের কোনও জিনিস বিদেশীদের হাতে দিয়ে দিয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের ছাড়া হচ্ছে না। তাদের জামিন হয়, আবার আটকে যায়। এটা একটা ভয়াবহ দমননীতি। তিনি বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পতি চক্রান্ত শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে যে ঘটনাগুলো ঘটেছিল, গায়েবি মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে নেতাকর্মীদের জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেটা এখন আবার শুরু হয়েছে। আমরা তো মধ্যযুগীয় বর্বরতায় বসবাস করছি। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য এমন কোনো কাজ নেই যা তারা করছে না। দেশের ক্ষতি করাতে তারা মরিয়া হয়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (সরকার) বুঝতে পেরেছেন যে জনগণ তাদের আর গ্রহণ করবে না। তাই কোনোভাবেই তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা শুনছেন না। একেবারে ওদিকে তারা যাচ্ছেন না। একটাই কথা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আরে সেই সংবিধান কে কাটাছেড়া করেছে? সেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে তাহলে ত্রয়োদশ সংশোধনীতে যে তত্ত¡াবধায়ক সরকার ছিল সেটাই থাকবে। সেটার রাজনৈতিক একটা সমাধানও হয়েছিল। সেখান থেকে সরে গিয়ে শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষমতায় রাখার জন্য দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি বলেন, সরকার অন্যান্য দেশগুলো নিয়ে যে মন্তব্য করেছে এতে বাংলাদেশ ভ‚রাজনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ধরনের কথাবার্তা তো দায়িত্বশীল নেতা বলতে পারেন না। সরকার চালাচ্ছেন যিনি, তিনি এই ধরনের কথা বলতে পারেন এটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের যারা আইনশৃংখলাবাহিনীর সঙ্গে জড়িত তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- দয়া করে নিজেকে অসাংবিধানিক কাজের সঙ্গে জড়িত করবেন না। অবৈধ সরকারের অন্যায় আদেশ-নির্দেশ পালনে জনগণের বিরুদ্ধে নিজেদের দাঁড় করবেন না। এই দেশের মানুষ বরাবরই অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, তাদের অধিকার আদায় করে নিয়েছে। এখন তারা আবারও অধিকার আদায় করে নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর দক্ষিণের আহŸায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম আহŸায়ক মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।