ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আ.লীগই অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা, বিদেশিদের কাছেও ধরনা দেয়: মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগই অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা বলে পালটা অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বিএনপি কখনোই অগ্নিসন্ত্রাস করেনি। এ সন্ত্রাস আওয়ামী লীগের জিনে আছে। আওয়ামী লীগের বডি কেমিস্ট্রিতে দুটো ব্যাপার আছে, একটা সন্ত্রাস ও আরেকটা দুর্নীতি। এ থেকে তারা বেরুতে পারেন না। যখন তারা ক্ষমতা পান তখন সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, সবকিছু লুট করে নিয়ে যান। বর্গীরা যেমন লুট করে নিয়ে চলে যায়, তেমনি তারা ক্ষমতায় এসে লুট করে নিয়ে চলে যান। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ।’

বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠকের পর আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করছেন, বিএনপি নেতারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বিদেশিদের কাছে আমরা যাই না। তারা আমাদের আমন্ত্রণ করেছেন বলে গিয়েছি। যতবার গিয়েছি তাদের আমন্ত্রণে গিয়েছি। আমাদের চেয়ে একশ ভাগ বেশি আওয়ামী লীগ গেছে, এখনো যাচ্ছে। সেদিনও ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক) তাদের টিম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের কাছে গেছেন। তাহলে ধরনা কারা দিচ্ছেন? আওয়ামী লীগ নেতারা দিচ্ছেন।’

কোটি কোটি ডলারে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে আওয়ামী লীগ দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবখানে গিয়ে তারা বলছে, ভাই এবারকার নির্বাচনটা করতে দাও। এভাবে করতে দাও যাতে আমাদের প্রতিপক্ষ কেউ না থাকে। যাতে করে আগেরমতোই ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করতে পারি। তাই একথাগুলো (বিএনপি ধরনা দিচ্ছে) একেবারেই অবান্তর। এ কথাগুলোর কোনো মূল্য নেই।’

রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে না। ফায়ার ব্রিগেডও বলছ, এটা শর্ট-সার্কিটে হতে পারে। সবগুলোতে খেয়াল করে দেখবেন। এখানে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তারা কথা বলার আগেই একজন বলে দিলেন এটাতে বিএনপি জড়িত আছে কিনা দেখতে হবে। এখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলছেন, অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপি। আরে অগ্নিসন্ত্রাসের মূল হোতা আওয়ামী লীগ।’

তিনি বলেন, ‘জনগন এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাদের উচিত হবে সময় থাকতেই বিরোধী দলের দাবি মেনে নেওয়া। পদত্যাগ করা, সংসদ বিলুপ্ত করা এবং একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হন্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশন করে নির্বাচন করা। এটাই হচ্ছে একমাত্র পথ।’

বিরোধী নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার নীলনকশা করছে সরকার বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের আগেই বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে আছে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রাখা। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, যেমন তিনবারের সংসদ-সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের মতো নেতাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রাখার একটা প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘হাবিব একজন ছাত্রনেতা ছিলেন, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে তিনি ভালো ভূমিকা রেখেছেন। যে কারণে দেশের মানুষের বিশেষ করে তার এলাকার মানুষের কাছে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যতগুলো আন্দোলন হয়েছে, প্রতিটি আন্দোলনে তিনি একজন সম্মুখসারির নেতা ছিলেন। এ ধরনের একজন রাজনৈতিক নেতাকে ২১ বছর পরে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া-এটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, চক্রান্তমূলক, প্রতিহিংসামূলক। এই সাজা সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার পরিপন্থি।’

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর জব্দ তালিকা প্রণয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১২ বছর পরে জব্দ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। মহাসড়কেরর ওপর থেকে বুলেটের খোসা, একটা কালো রঙের মুজিব কোট, দুটি স্যান্ডেল ইত্যাদি উদ্ধার করে আলামত দেখানো হয়। এক যুগ পরে? ওই সময়ের মধ্যে ওই মহাসড়ক সংস্কারও হয়েছে কয়েকবার। এরপর আলামত কিভাবে পেলেন। কিভাবে সত্যতার প্রমাণ করছেন এবং আদালতও কিভাবে গ্রহণ করলেন এটা কারও কাছে বোধগম্য নয়। এসব করে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা পুরোপুরি চলে যাচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাবিবকে সাজা প্রদান সরকারের নীলনকশার অংশ। এটা শুধু হাবিব নয়। খুব দ্রুত বিএনপি ও বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের অনেককেই এই ধরনের মিথ্যা মামলায় সাজা দেবে। ইতোমধ্যে লক্ষ্য করছি, মামলাগুলো খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এসব করে যদি তারা মনে করে থাকেন, জনগণের আন্দোলনকে নস্যাৎ করবেন, তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সোমবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব। বঙ্গবাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জন্য সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করে এসব অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবিও জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় চার্জ গঠন ও বিচার শুরু করায় আদালতের নির্দেশে ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মিথ্যা মামলায় বিচার কাজ শুরু করার লক্ষ্য হচ্ছে তারেক রহমানকে রাজনীতির বাইরে রাখা। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে এ চক্রান্ত জনগণ সহ্য করবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও সদস্য সচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

আ.লীগই অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা, বিদেশিদের কাছেও ধরনা দেয়: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৪:৪২:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩

আওয়ামী লীগই অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা বলে পালটা অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বিএনপি কখনোই অগ্নিসন্ত্রাস করেনি। এ সন্ত্রাস আওয়ামী লীগের জিনে আছে। আওয়ামী লীগের বডি কেমিস্ট্রিতে দুটো ব্যাপার আছে, একটা সন্ত্রাস ও আরেকটা দুর্নীতি। এ থেকে তারা বেরুতে পারেন না। যখন তারা ক্ষমতা পান তখন সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, সবকিছু লুট করে নিয়ে যান। বর্গীরা যেমন লুট করে নিয়ে চলে যায়, তেমনি তারা ক্ষমতায় এসে লুট করে নিয়ে চলে যান। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ।’

বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠকের পর আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করছেন, বিএনপি নেতারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বিদেশিদের কাছে আমরা যাই না। তারা আমাদের আমন্ত্রণ করেছেন বলে গিয়েছি। যতবার গিয়েছি তাদের আমন্ত্রণে গিয়েছি। আমাদের চেয়ে একশ ভাগ বেশি আওয়ামী লীগ গেছে, এখনো যাচ্ছে। সেদিনও ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক) তাদের টিম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের কাছে গেছেন। তাহলে ধরনা কারা দিচ্ছেন? আওয়ামী লীগ নেতারা দিচ্ছেন।’

কোটি কোটি ডলারে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে আওয়ামী লীগ দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবখানে গিয়ে তারা বলছে, ভাই এবারকার নির্বাচনটা করতে দাও। এভাবে করতে দাও যাতে আমাদের প্রতিপক্ষ কেউ না থাকে। যাতে করে আগেরমতোই ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করতে পারি। তাই একথাগুলো (বিএনপি ধরনা দিচ্ছে) একেবারেই অবান্তর। এ কথাগুলোর কোনো মূল্য নেই।’

রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে না। ফায়ার ব্রিগেডও বলছ, এটা শর্ট-সার্কিটে হতে পারে। সবগুলোতে খেয়াল করে দেখবেন। এখানে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তারা কথা বলার আগেই একজন বলে দিলেন এটাতে বিএনপি জড়িত আছে কিনা দেখতে হবে। এখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলছেন, অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপি। আরে অগ্নিসন্ত্রাসের মূল হোতা আওয়ামী লীগ।’

তিনি বলেন, ‘জনগন এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাদের উচিত হবে সময় থাকতেই বিরোধী দলের দাবি মেনে নেওয়া। পদত্যাগ করা, সংসদ বিলুপ্ত করা এবং একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হন্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশন করে নির্বাচন করা। এটাই হচ্ছে একমাত্র পথ।’

বিরোধী নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার নীলনকশা করছে সরকার বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের আগেই বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে আছে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রাখা। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, যেমন তিনবারের সংসদ-সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের মতো নেতাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রাখার একটা প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘হাবিব একজন ছাত্রনেতা ছিলেন, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে তিনি ভালো ভূমিকা রেখেছেন। যে কারণে দেশের মানুষের বিশেষ করে তার এলাকার মানুষের কাছে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যতগুলো আন্দোলন হয়েছে, প্রতিটি আন্দোলনে তিনি একজন সম্মুখসারির নেতা ছিলেন। এ ধরনের একজন রাজনৈতিক নেতাকে ২১ বছর পরে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া-এটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, চক্রান্তমূলক, প্রতিহিংসামূলক। এই সাজা সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার পরিপন্থি।’

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর জব্দ তালিকা প্রণয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১২ বছর পরে জব্দ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। মহাসড়কেরর ওপর থেকে বুলেটের খোসা, একটা কালো রঙের মুজিব কোট, দুটি স্যান্ডেল ইত্যাদি উদ্ধার করে আলামত দেখানো হয়। এক যুগ পরে? ওই সময়ের মধ্যে ওই মহাসড়ক সংস্কারও হয়েছে কয়েকবার। এরপর আলামত কিভাবে পেলেন। কিভাবে সত্যতার প্রমাণ করছেন এবং আদালতও কিভাবে গ্রহণ করলেন এটা কারও কাছে বোধগম্য নয়। এসব করে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা পুরোপুরি চলে যাচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাবিবকে সাজা প্রদান সরকারের নীলনকশার অংশ। এটা শুধু হাবিব নয়। খুব দ্রুত বিএনপি ও বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের অনেককেই এই ধরনের মিথ্যা মামলায় সাজা দেবে। ইতোমধ্যে লক্ষ্য করছি, মামলাগুলো খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এসব করে যদি তারা মনে করে থাকেন, জনগণের আন্দোলনকে নস্যাৎ করবেন, তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সোমবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব। বঙ্গবাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জন্য সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করে এসব অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবিও জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় চার্জ গঠন ও বিচার শুরু করায় আদালতের নির্দেশে ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মিথ্যা মামলায় বিচার কাজ শুরু করার লক্ষ্য হচ্ছে তারেক রহমানকে রাজনীতির বাইরে রাখা। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে এ চক্রান্ত জনগণ সহ্য করবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও সদস্য সচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।