ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক দুর্ঘটনা: নিহত ১, আহত ১৫ Logo চুলের রহস্য ফাঁস করলেন ক্যাটরিনা Logo গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন Logo ১২ ম্যাচে নবম হার ম্যানসিটির, আর্সেনালের বড় জয় Logo নারায়নগঞ্জ ক্লাবের নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হলেন- মোঃ সোলায়মান Logo ডোপ টেস্টে চালকসহ দুইজনের মদপানের সত্যতা মিলেছে Logo জিয়াউর রহমানকে ‘খুনি-রাজাকার’ বলায় যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা Logo ৩০ ডিসেম্বর চুনকা পাঠাগারে আন্তর্জাতিক লেখক দিবস উদযাপন করবে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব নারায়ণগঞ্জ Logo মদনগঞ্জ দারুস সালাম মাদরাসা’র বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ, পুরস্কার বিতরণ ও দোয়ার অনুষ্ঠান Logo উত্তর ভারতের প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামানো হচ্ছে ‘পুষ্পা-২’

ওলট-পালট বোলিংয়ে ভারতের রেকর্ড

গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারার কারণ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যেত ‘অচেনা মাঠ’। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২৭ রানে অলআউট হওয়ার পেছনে সেদিন ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১.৫ ওভারে টপকে যায় ভারত। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে আছে সেটি আরেকবার প্রমাণ হয় সেদিন। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতলেও আর ঝুঁকি নিতে চাননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দারুণ সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। এ মাঠে ২০১৯ সালে ভারতকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে হারায় টাইগাররা। সেদিনও আগে ব্যাট করে ভারত ১৪৮ রান করলে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। এবারও তেমন কিছুর আভাস দিয়েছিলেন টাইগার বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ওপেনার সাঞ্জু স্যামসনকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মার স্টাম্প উড়িয়ে দেন তানজিম হাসান সাকিব। বিধ্বংসী হওয়ার আগে সূর্যকুমার যাদবকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।
এমন একটা শুরুর পরও মুহূর্তেই পালটে যায় দৃশ্যপট। রিঙ্কু সিং আর নিতিশ কুমারের জুটিতে ওলট-পালট হয়ে যায় বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। স্পিনারদের বিপক্ষে ৫৫ রান একাই তোলেন নিতিশ। যা ভারতের পক্ষে রেকর্ড। ইনিংসের ৭ থেকে ১৫ ওভারের ভেতর একটি উইকেট হারিয়ে ১২০ রান তোলে ভারত। ৪১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ১৪৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৩৪ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন নিতিশ।

এদিন শুরুর ওভার করতে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে বল তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত তিনি চার ওভার বোলিংও করতে পারেননি। তিন ওভারেই দেন ৪৬ রান। তানজিম দুটি উইকেট নিলেও চার ওভারে দেন ৫০ রান। রিশাদ হোসেন তিনটি উইকেট নিলেও দেন ৫৫ রান। মোস্তাফিজ ৩৬ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। সবচেয়ে কম ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তাসকিন নেন দুটি উইকেট।
সফরকারী বোলারদের বাজে বোলিংয়ের সুযোগটা ভালোভাবেই নেন রিঙ্কু সিং-হার্দিক পান্ডিয়ারা। ২৯ বলে পাঁচটি চার আর তিন ছয়ে ৫৩ রান করেন রিঙ্কু। ১৯ বলে সমান দুটি চার ও ছক্কায় ৩২ করেন পান্ডিয়া। ইনিংসের শেষ ওভারে রিশাদ তিনটি উইকেট নিলেও ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ ২২১ রান তোলে ভারত।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক দুর্ঘটনা: নিহত ১, আহত ১৫

ওলট-পালট বোলিংয়ে ভারতের রেকর্ড

আপডেট সময় ০৪:২০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারার কারণ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যেত ‘অচেনা মাঠ’। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২৭ রানে অলআউট হওয়ার পেছনে সেদিন ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১.৫ ওভারে টপকে যায় ভারত। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে আছে সেটি আরেকবার প্রমাণ হয় সেদিন। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতলেও আর ঝুঁকি নিতে চাননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দারুণ সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। এ মাঠে ২০১৯ সালে ভারতকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে হারায় টাইগাররা। সেদিনও আগে ব্যাট করে ভারত ১৪৮ রান করলে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। এবারও তেমন কিছুর আভাস দিয়েছিলেন টাইগার বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ওপেনার সাঞ্জু স্যামসনকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মার স্টাম্প উড়িয়ে দেন তানজিম হাসান সাকিব। বিধ্বংসী হওয়ার আগে সূর্যকুমার যাদবকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।
এমন একটা শুরুর পরও মুহূর্তেই পালটে যায় দৃশ্যপট। রিঙ্কু সিং আর নিতিশ কুমারের জুটিতে ওলট-পালট হয়ে যায় বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। স্পিনারদের বিপক্ষে ৫৫ রান একাই তোলেন নিতিশ। যা ভারতের পক্ষে রেকর্ড। ইনিংসের ৭ থেকে ১৫ ওভারের ভেতর একটি উইকেট হারিয়ে ১২০ রান তোলে ভারত। ৪১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ১৪৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৩৪ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন নিতিশ।

এদিন শুরুর ওভার করতে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে বল তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত তিনি চার ওভার বোলিংও করতে পারেননি। তিন ওভারেই দেন ৪৬ রান। তানজিম দুটি উইকেট নিলেও চার ওভারে দেন ৫০ রান। রিশাদ হোসেন তিনটি উইকেট নিলেও দেন ৫৫ রান। মোস্তাফিজ ৩৬ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। সবচেয়ে কম ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তাসকিন নেন দুটি উইকেট।
সফরকারী বোলারদের বাজে বোলিংয়ের সুযোগটা ভালোভাবেই নেন রিঙ্কু সিং-হার্দিক পান্ডিয়ারা। ২৯ বলে পাঁচটি চার আর তিন ছয়ে ৫৩ রান করেন রিঙ্কু। ১৯ বলে সমান দুটি চার ও ছক্কায় ৩২ করেন পান্ডিয়া। ইনিংসের শেষ ওভারে রিশাদ তিনটি উইকেট নিলেও ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ ২২১ রান তোলে ভারত।