ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নগদের গ্রাহকদের অর্থ ঝুঁকিতে: বাংলাদেশ ব্যাংক Logo নাঃগঞ্জ মহানগর জিসাস ও জেলা জিসাস এর উদ্যোগে জিয়াউর রহমান শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠান ও খাবার বিতরন Logo শহীদ জিয়া’র ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ১৫নং ওয়ার্ড নায়ণগঞ্জ মহানগর ও এলাকাবাসী উদ্যোগে মিলাদ, দোয়া Logo আনন্দমুখর সাহিত্য পত্রিকা ও পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠিত হলো কলকাতা বঙ্গ সন্মাননা -২০২৫ Logo রূপগঞ্জ ৪ দিনের টানা বর্ষণে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি Logo হাসিনার বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার আজ Logo জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে আপিল বিভাগের নির্দেশ Logo গাজায় আরও ৬০ মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে প্রায় ৫৪ হাজার ৪০০ Logo ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতল পিএসজি Logo সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য শিক্ষার্থীকে খয়রাতি মার্ক দেয়া হবে না : শিক্ষা উপদেষ্টা

ওলট-পালট বোলিংয়ে ভারতের রেকর্ড

গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারার কারণ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যেত ‘অচেনা মাঠ’। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২৭ রানে অলআউট হওয়ার পেছনে সেদিন ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১.৫ ওভারে টপকে যায় ভারত। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে আছে সেটি আরেকবার প্রমাণ হয় সেদিন। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতলেও আর ঝুঁকি নিতে চাননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দারুণ সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। এ মাঠে ২০১৯ সালে ভারতকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে হারায় টাইগাররা। সেদিনও আগে ব্যাট করে ভারত ১৪৮ রান করলে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। এবারও তেমন কিছুর আভাস দিয়েছিলেন টাইগার বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ওপেনার সাঞ্জু স্যামসনকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মার স্টাম্প উড়িয়ে দেন তানজিম হাসান সাকিব। বিধ্বংসী হওয়ার আগে সূর্যকুমার যাদবকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।
এমন একটা শুরুর পরও মুহূর্তেই পালটে যায় দৃশ্যপট। রিঙ্কু সিং আর নিতিশ কুমারের জুটিতে ওলট-পালট হয়ে যায় বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। স্পিনারদের বিপক্ষে ৫৫ রান একাই তোলেন নিতিশ। যা ভারতের পক্ষে রেকর্ড। ইনিংসের ৭ থেকে ১৫ ওভারের ভেতর একটি উইকেট হারিয়ে ১২০ রান তোলে ভারত। ৪১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ১৪৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৩৪ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন নিতিশ।

এদিন শুরুর ওভার করতে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে বল তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত তিনি চার ওভার বোলিংও করতে পারেননি। তিন ওভারেই দেন ৪৬ রান। তানজিম দুটি উইকেট নিলেও চার ওভারে দেন ৫০ রান। রিশাদ হোসেন তিনটি উইকেট নিলেও দেন ৫৫ রান। মোস্তাফিজ ৩৬ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। সবচেয়ে কম ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তাসকিন নেন দুটি উইকেট।
সফরকারী বোলারদের বাজে বোলিংয়ের সুযোগটা ভালোভাবেই নেন রিঙ্কু সিং-হার্দিক পান্ডিয়ারা। ২৯ বলে পাঁচটি চার আর তিন ছয়ে ৫৩ রান করেন রিঙ্কু। ১৯ বলে সমান দুটি চার ও ছক্কায় ৩২ করেন পান্ডিয়া। ইনিংসের শেষ ওভারে রিশাদ তিনটি উইকেট নিলেও ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ ২২১ রান তোলে ভারত।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

নগদের গ্রাহকদের অর্থ ঝুঁকিতে: বাংলাদেশ ব্যাংক

ওলট-পালট বোলিংয়ে ভারতের রেকর্ড

আপডেট সময় ০৪:২০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারার কারণ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যেত ‘অচেনা মাঠ’। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২৭ রানে অলআউট হওয়ার পেছনে সেদিন ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১.৫ ওভারে টপকে যায় ভারত। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে আছে সেটি আরেকবার প্রমাণ হয় সেদিন। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতলেও আর ঝুঁকি নিতে চাননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দারুণ সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। এ মাঠে ২০১৯ সালে ভারতকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে হারায় টাইগাররা। সেদিনও আগে ব্যাট করে ভারত ১৪৮ রান করলে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। এবারও তেমন কিছুর আভাস দিয়েছিলেন টাইগার বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ওপেনার সাঞ্জু স্যামসনকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মার স্টাম্প উড়িয়ে দেন তানজিম হাসান সাকিব। বিধ্বংসী হওয়ার আগে সূর্যকুমার যাদবকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।
এমন একটা শুরুর পরও মুহূর্তেই পালটে যায় দৃশ্যপট। রিঙ্কু সিং আর নিতিশ কুমারের জুটিতে ওলট-পালট হয়ে যায় বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। স্পিনারদের বিপক্ষে ৫৫ রান একাই তোলেন নিতিশ। যা ভারতের পক্ষে রেকর্ড। ইনিংসের ৭ থেকে ১৫ ওভারের ভেতর একটি উইকেট হারিয়ে ১২০ রান তোলে ভারত। ৪১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ১৪৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৩৪ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন নিতিশ।

এদিন শুরুর ওভার করতে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে বল তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত তিনি চার ওভার বোলিংও করতে পারেননি। তিন ওভারেই দেন ৪৬ রান। তানজিম দুটি উইকেট নিলেও চার ওভারে দেন ৫০ রান। রিশাদ হোসেন তিনটি উইকেট নিলেও দেন ৫৫ রান। মোস্তাফিজ ৩৬ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। সবচেয়ে কম ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তাসকিন নেন দুটি উইকেট।
সফরকারী বোলারদের বাজে বোলিংয়ের সুযোগটা ভালোভাবেই নেন রিঙ্কু সিং-হার্দিক পান্ডিয়ারা। ২৯ বলে পাঁচটি চার আর তিন ছয়ে ৫৩ রান করেন রিঙ্কু। ১৯ বলে সমান দুটি চার ও ছক্কায় ৩২ করেন পান্ডিয়া। ইনিংসের শেষ ওভারে রিশাদ তিনটি উইকেট নিলেও ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ ২২১ রান তোলে ভারত।