ঢাকা , রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দুর্ভোগে মানুষ Logo নারায়ণগঞ্জকে সুনামের পথে নিয়ে আনতে চেষ্টা করছি : গিয়াস উদ্দিন Logo বন্দরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, ২ নারী গ্রেপ্তার Logo বন্দরে সিটিটোল আদায়কে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৫ Logo আল্লাহর রহমতে জনগণের ভোটে জামায়াত যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় ” তাহলে মহিলারা সবচাইতে ভালো থাকবে Logo সাংবাদিক ইমনের মায়ের রুহের মাগফিরাত কামনায় বন্দর উপজেলা প্রেসক্লাবের দোয়া Logo তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে নেতাকর্মীদের আহবান Logo ৫ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো সরকার Logo ছাত্র প্রতিনিধি বললেন, ১০ লাখ টাকার এক পয়সাও কম হবে না Logo পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ রোধকল্পে শহরে অভিযান

আই. ই. টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তারের অনিয়ম ও দুর্নীতি তুঙ্গে, শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি : আওয়ামী মদদপুষ্ট শামীম ওসমানের ছত্রছায়ায় ইসলামিক এডুকেশনাল ট্রাস্ট (আই, ই, টি ) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের (১১২৪১৬) এর প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার (একই বিদ্যালয়ে ৩৪ বছর) ও সহকারী শিক্ষক মো: আউয়াল হোসেন এর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ইসলামিক এডুকেশনাল ট্রাস্ট (আই, ই, টি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যুষিত এলাকাবাসী। স্কুলটি নারায়ণগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী বয়েজ স্কুল। কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে বিদ্যালয়টি শিক্ষা ও প্রশাসনিকভাবে অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্থ। প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার ২০১৮ হতে ২০১৯ সালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা থাকাকালীন মোঃ আউয়াল হোসেন ও প্রধান শিক্ষিকা পাঞ্জেরী ও এডভান্স পাবলিকেশনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মোটা অংকের ঘুষের মাধ্যমে অত্র বিদ্যালয়ের গাইড বই বাধ্যতামূলক পাঠ্য করেন। বিষয়টি আদালত ও জেলা প্রশাসক জানাজানি হলে আওয়ামী রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপে ও মোটা অংকের ঘুষের মাধ্যমে উক্ত মামলা ধামাচাপা দেয়া হয়। প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার টিফিন ফান্ডের টাকা লুটপাট করে নিম্নমানের খাবার বাচ্চাদের দেয়। এমনকি অধিকাংশ সময় টিফিন খরচ বাঁচাতে ৩য় পিরিয়ডের পরে ছুটি দিয়ে দেন। অর্থনৈতিক লেনদেন যাতে কে

জানতে না পারে সেজন্যে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী ইসমাইল কে দিয়ে সব লেনদেন করেন। অফিস সহকারী কে

কোন বিষয় জানানো হয় না। ২০১৯ সালের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা থাকা কালীন যেসব দুর্নীতি, অনিয়ম,

নিয়োগ বানিজ্য করেছেন সেই সব ফাইল ডকুমেন্ট বিনষ্ট করতে জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এর আগষ্ট মাসের ৮

তারিখে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে অগ্নিকান্ড ঘটায়। এখনো যার আলামত হলুদ কাঠের আলমারির পিছেন

আছে। তিনি যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন, সেইসব পুরাতন ফাইল বিনষ্ট করে

ছাত্রদের উপর দায়ভার চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। অনেক নতুন পুরাতন ফাইল ও কাগজপত্র পুড়েছে। এমন একটি স্পর্শকাতর ঘটনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। জাতির এমন একটি ক্রান্তি কালে সি সি ক্যামেরা থাকার পরেও সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল। তিনি একজন ফ্যাসিস্ট সরকারের দোষর এ বিদ্যালয়ে তিনি দীর্ঘ ৩৪ বছর যাবৎ শিক্ষকতা করতেছেন। সেলিনা আক্তার এর এক ভাই তিনি নারায়ণগঞ্জের গডফাদার খ্যাত শামীম ওসমানের একনিষ্ঠ সহচর। শামীম ওসমানের সহযোগিতায় এ বিদ্যালয়ের ১৯৯১ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ও পরবর্তীতে ১২-০৬-২০২২ তারিখে একই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হন। একই স্থানে দীর্ঘ ৩৪ বছর চাকরির সুবাধে বড় বড় দুর্নীতি করে চাপা দিয়েছেন এবং সাবেক প্রায়ত প্রধান শিক্ষক মালেক স্যারকে স্কাউটের শিক্ষার্থী দ্বারা মারধর করার অভিযোগ রয়েছে। বিপুল পরিমান অর্থের ও বাড়ির মালিক হন। তিনি কোনো প্রকার ঋণ ব্যতীত হাজীগঞ্জের গোপ্টা এলাকায় ৫ শতাংশ জায়গার উপর ৫ তলা বাড়ি করেছেন। আরামবাগে তিনি বিপুল পরিমান জায়গার মালিক

হয়েছেন। বিদ্যালয়ের জিনিসপত্র কেনাকাটায় কোনো কমিটি নেই। একমাত্র সহকারী শিক্ষক মোঃ আউয়াল

হোসেন সমস্ত কেনাকাটা করেন । পুরাতন আসবাবপত্র, কাঠ, বই টেন্ডার ছাড়া বিক্রি করে চালানোর মাধ্যমে ট্রেজারিতে জমা দেননা। বিজ্ঞানাগার কখনো ব্যবহার করেন না বা করতে নির্দেশ দেননা। বিজ্ঞানাগারে নতুন নতুন মালামাল আসলে তা রাতের আঁধারে বিক্রি করে ফেলার অভিযোগও রয়েছে। হাজিগঞ্জ বাসী একাধিকবার প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন। উক্ত বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে এমন দুষ্কৃতকারী প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী শিক্ষক আউয়ালের শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দুর্ভোগে মানুষ

আই. ই. টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তারের অনিয়ম ও দুর্নীতি তুঙ্গে, শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:১৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি : আওয়ামী মদদপুষ্ট শামীম ওসমানের ছত্রছায়ায় ইসলামিক এডুকেশনাল ট্রাস্ট (আই, ই, টি ) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের (১১২৪১৬) এর প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার (একই বিদ্যালয়ে ৩৪ বছর) ও সহকারী শিক্ষক মো: আউয়াল হোসেন এর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ইসলামিক এডুকেশনাল ট্রাস্ট (আই, ই, টি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যুষিত এলাকাবাসী। স্কুলটি নারায়ণগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী বয়েজ স্কুল। কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে বিদ্যালয়টি শিক্ষা ও প্রশাসনিকভাবে অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্থ। প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার ২০১৮ হতে ২০১৯ সালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা থাকাকালীন মোঃ আউয়াল হোসেন ও প্রধান শিক্ষিকা পাঞ্জেরী ও এডভান্স পাবলিকেশনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মোটা অংকের ঘুষের মাধ্যমে অত্র বিদ্যালয়ের গাইড বই বাধ্যতামূলক পাঠ্য করেন। বিষয়টি আদালত ও জেলা প্রশাসক জানাজানি হলে আওয়ামী রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপে ও মোটা অংকের ঘুষের মাধ্যমে উক্ত মামলা ধামাচাপা দেয়া হয়। প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার টিফিন ফান্ডের টাকা লুটপাট করে নিম্নমানের খাবার বাচ্চাদের দেয়। এমনকি অধিকাংশ সময় টিফিন খরচ বাঁচাতে ৩য় পিরিয়ডের পরে ছুটি দিয়ে দেন। অর্থনৈতিক লেনদেন যাতে কে

জানতে না পারে সেজন্যে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী ইসমাইল কে দিয়ে সব লেনদেন করেন। অফিস সহকারী কে

কোন বিষয় জানানো হয় না। ২০১৯ সালের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা থাকা কালীন যেসব দুর্নীতি, অনিয়ম,

নিয়োগ বানিজ্য করেছেন সেই সব ফাইল ডকুমেন্ট বিনষ্ট করতে জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এর আগষ্ট মাসের ৮

তারিখে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে অগ্নিকান্ড ঘটায়। এখনো যার আলামত হলুদ কাঠের আলমারির পিছেন

আছে। তিনি যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন, সেইসব পুরাতন ফাইল বিনষ্ট করে

ছাত্রদের উপর দায়ভার চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। অনেক নতুন পুরাতন ফাইল ও কাগজপত্র পুড়েছে। এমন একটি স্পর্শকাতর ঘটনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। জাতির এমন একটি ক্রান্তি কালে সি সি ক্যামেরা থাকার পরেও সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল। তিনি একজন ফ্যাসিস্ট সরকারের দোষর এ বিদ্যালয়ে তিনি দীর্ঘ ৩৪ বছর যাবৎ শিক্ষকতা করতেছেন। সেলিনা আক্তার এর এক ভাই তিনি নারায়ণগঞ্জের গডফাদার খ্যাত শামীম ওসমানের একনিষ্ঠ সহচর। শামীম ওসমানের সহযোগিতায় এ বিদ্যালয়ের ১৯৯১ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ও পরবর্তীতে ১২-০৬-২০২২ তারিখে একই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হন। একই স্থানে দীর্ঘ ৩৪ বছর চাকরির সুবাধে বড় বড় দুর্নীতি করে চাপা দিয়েছেন এবং সাবেক প্রায়ত প্রধান শিক্ষক মালেক স্যারকে স্কাউটের শিক্ষার্থী দ্বারা মারধর করার অভিযোগ রয়েছে। বিপুল পরিমান অর্থের ও বাড়ির মালিক হন। তিনি কোনো প্রকার ঋণ ব্যতীত হাজীগঞ্জের গোপ্টা এলাকায় ৫ শতাংশ জায়গার উপর ৫ তলা বাড়ি করেছেন। আরামবাগে তিনি বিপুল পরিমান জায়গার মালিক

হয়েছেন। বিদ্যালয়ের জিনিসপত্র কেনাকাটায় কোনো কমিটি নেই। একমাত্র সহকারী শিক্ষক মোঃ আউয়াল

হোসেন সমস্ত কেনাকাটা করেন । পুরাতন আসবাবপত্র, কাঠ, বই টেন্ডার ছাড়া বিক্রি করে চালানোর মাধ্যমে ট্রেজারিতে জমা দেননা। বিজ্ঞানাগার কখনো ব্যবহার করেন না বা করতে নির্দেশ দেননা। বিজ্ঞানাগারে নতুন নতুন মালামাল আসলে তা রাতের আঁধারে বিক্রি করে ফেলার অভিযোগও রয়েছে। হাজিগঞ্জ বাসী একাধিকবার প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন। উক্ত বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে এমন দুষ্কৃতকারী প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী শিক্ষক আউয়ালের শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।