ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ওসমান সাম্রাজ্যের বলয়ে মাস্টার মাইন্ড এস এম রানা আত্মগোপনে থেকেও দখল বাণিজ্য চলছে Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শান্তদের সাক্ষাৎ আজ Logo টরন্টোতে দ্যুতি ছড়ালেন মেহজাবীন Logo দ্বিতীয় বিতর্ক চায় কমলা শিবির Logo বিশ্বব্যাংক-এডিবি দেবে ১৭৫ কোটি ডলার Logo গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতের পরিবারকে সহায়তায় গঠিত হলো ফাউন্ডেশন Logo উগ্রবাদ ইস্যুতে ভারতের মনোভাবের পরিবর্তন প্রয়োজন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান গ্রেফতার Logo নাঃগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাবেশে সাধারণ ছাত্রজনতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) অংশ গ্রহণ Logo সোনারগাঁয়ে চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা বাড়ি ঘর ও গরু লুটপাট চালিয়েছে -থানায় অভিযোগ

ডিম-মুরগির যৌক্তিক দাম নির্ধারণ চান খামারিরা

সারাদেশে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দামের অস্থিরতা নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপে যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার দাবি করেছেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) খামারিরা। গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব খন্দকার মো. মহসিন। সংবাদ সম্মেলনে খামারি নেতারা জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ পড়ছে ১৬৭ টাকা, যেখানে খামারি বিক্রি করছে ১৯০-২০০ টাকায়। ঢাকার বাজারে এই মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা পর্যন্ত দামে। কিন্তু এই দামটা যৌক্তিক পর্যায়ে নেই। অন্যদিকে প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ হচ্ছে ১১.৭১ টাকা, যেখানে খামারি লোকসান দিয়ে বিক্রি করছে ৯.৪৫ টাকায়। এটাও যৌক্তিক দামে বিক্রি হচ্ছে না। এই অবস্থার অবসানের জন্য খামারিরা সরকারের হস্তক্ষেপে ডিম ও মুরগির যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার দাবি করেন। অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব খন্দকার মো. মহসিন বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ডিম ও মুরগির মাংসের খুচরা দাম নিয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। দীর্ঘদিন খামারিরা ভালো দাম না পাওয়ার কারণে খামার বন্ধ করে দিয়েছে।

বর্তমানে ১.৫৮ লাখ খামারের মধ্যে ৯৫ হাজার ৫২৩টি খামার রয়েছে। বাকিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে লোকসানের কারণে। ফলে প্রতিদিনের মুরগির উৎপাদন সক্ষমতা ৫ হাজার ২৭৩ মেট্রিক টন থেকে কমে ৪ হাজার ২১৯ মেট্রিক টন নেমেছে। অর্থাৎ মাংসের উৎপাদন কমেছে ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। একইভাবে ডিমের উৎপাদন প্রতিদিন ৬ দশমিক ৬৪ কোটি পিস থেকে কমে ৪ দশমিক ৩২ পিসে নেমেছে। যেখানে উৎপাদন কমেছে ২৫ ভাগ। খন্দকার মো. মহসিন বলেন, দীর্ঘদিন লোকসানের কারণেই খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন যারা আছে তারা কিছুটা লাভ পাচ্ছে। বাজারে যে দাম সেটাও যৌক্তিক না, আমরা চাই এই অস্থিরতা না থাকুক। এ কারণে ২০১০ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রধান করে যে দাম নির্ধারণ কমিটি করা হয়েছে, তাদের কাছে দাবি তারা উৎপাদন খরচ বিবেচনায় নিয়ে মাসে অন্তত দু’বার যেন যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেয়। তাতে করে বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে।

এদিকে দাম নির্ধারণে ২০১০ সালে কমিটি হলেও সেই কমিটি অকার্যকর হয়ে আছে বলে খামারি নেতারা দাবি করেন। এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার মনির আহম্মেদ বলেন, এখন মুরগির যে উৎপাদন খরচ, তার থেকে ১০-১৫ টাকা লাভে বিক্রি করলে সেটা হবে যৌক্তিক দাম। এ ছাড়া একটা ডিমের উৎপাদন খরচ থেকে ২৫-৫০ পয়সা বেশি হলেই খামারিরা টিকে থাকতে পারবে। এজন্য সরকারের হস্তক্ষেপ দরকার। কারণ ফিড, বিদ্যুৎ বিল, মেডিসিনসহ সব কিছুর দামই এখন চড়া। এই অবস্থায় সরকারের উচিত আসলে দাম কত হওয়া দরকার সেটা বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে স্বতন্ত্রভাবে অ্যানালাইসিস করা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ওসমান সাম্রাজ্যের বলয়ে মাস্টার মাইন্ড এস এম রানা আত্মগোপনে থেকেও দখল বাণিজ্য চলছে

ডিম-মুরগির যৌক্তিক দাম নির্ধারণ চান খামারিরা

আপডেট সময় ০৩:৫৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

সারাদেশে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দামের অস্থিরতা নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপে যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার দাবি করেছেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) খামারিরা। গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব খন্দকার মো. মহসিন। সংবাদ সম্মেলনে খামারি নেতারা জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ পড়ছে ১৬৭ টাকা, যেখানে খামারি বিক্রি করছে ১৯০-২০০ টাকায়। ঢাকার বাজারে এই মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা পর্যন্ত দামে। কিন্তু এই দামটা যৌক্তিক পর্যায়ে নেই। অন্যদিকে প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ হচ্ছে ১১.৭১ টাকা, যেখানে খামারি লোকসান দিয়ে বিক্রি করছে ৯.৪৫ টাকায়। এটাও যৌক্তিক দামে বিক্রি হচ্ছে না। এই অবস্থার অবসানের জন্য খামারিরা সরকারের হস্তক্ষেপে ডিম ও মুরগির যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার দাবি করেন। অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব খন্দকার মো. মহসিন বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ডিম ও মুরগির মাংসের খুচরা দাম নিয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। দীর্ঘদিন খামারিরা ভালো দাম না পাওয়ার কারণে খামার বন্ধ করে দিয়েছে।

বর্তমানে ১.৫৮ লাখ খামারের মধ্যে ৯৫ হাজার ৫২৩টি খামার রয়েছে। বাকিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে লোকসানের কারণে। ফলে প্রতিদিনের মুরগির উৎপাদন সক্ষমতা ৫ হাজার ২৭৩ মেট্রিক টন থেকে কমে ৪ হাজার ২১৯ মেট্রিক টন নেমেছে। অর্থাৎ মাংসের উৎপাদন কমেছে ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। একইভাবে ডিমের উৎপাদন প্রতিদিন ৬ দশমিক ৬৪ কোটি পিস থেকে কমে ৪ দশমিক ৩২ পিসে নেমেছে। যেখানে উৎপাদন কমেছে ২৫ ভাগ। খন্দকার মো. মহসিন বলেন, দীর্ঘদিন লোকসানের কারণেই খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন যারা আছে তারা কিছুটা লাভ পাচ্ছে। বাজারে যে দাম সেটাও যৌক্তিক না, আমরা চাই এই অস্থিরতা না থাকুক। এ কারণে ২০১০ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রধান করে যে দাম নির্ধারণ কমিটি করা হয়েছে, তাদের কাছে দাবি তারা উৎপাদন খরচ বিবেচনায় নিয়ে মাসে অন্তত দু’বার যেন যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেয়। তাতে করে বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে।

এদিকে দাম নির্ধারণে ২০১০ সালে কমিটি হলেও সেই কমিটি অকার্যকর হয়ে আছে বলে খামারি নেতারা দাবি করেন। এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার মনির আহম্মেদ বলেন, এখন মুরগির যে উৎপাদন খরচ, তার থেকে ১০-১৫ টাকা লাভে বিক্রি করলে সেটা হবে যৌক্তিক দাম। এ ছাড়া একটা ডিমের উৎপাদন খরচ থেকে ২৫-৫০ পয়সা বেশি হলেই খামারিরা টিকে থাকতে পারবে। এজন্য সরকারের হস্তক্ষেপ দরকার। কারণ ফিড, বিদ্যুৎ বিল, মেডিসিনসহ সব কিছুর দামই এখন চড়া। এই অবস্থায় সরকারের উচিত আসলে দাম কত হওয়া দরকার সেটা বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে স্বতন্ত্রভাবে অ্যানালাইসিস করা।