ঢাকা , সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাষণ্ড স্বামীর হাতে গৃহবধূ খুন!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে পাষণ্ড স্বামীর হাতে শেখ তানিয়া বেগম (৪০) নামে পাঁচ সন্তানের জননী নিহত হয়েছেন৷

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূ মারা যায়। সোমবার রাতে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের মনিবাগ গ্রামে এই নির্মম ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী উজ্জল মিয়া পলাতক রয়েছেন।

নিহতের সন্তান ও স্বজনরা জানান, উজ্জল বিভিন্ন সময় তানিয়ার উপর কোন কারন ছাড়াই মারধর করত। সোমবার রাতে উজ্জ্বল ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে ভারি বস্তু দিয়ে তানিয়ার উপর পৈশাচিকভাবে নির্যাতন চালায়। রাতভর তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে । এ সময় ছেলে- মেয়েরা বাধা দিলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে মঙ্গলবার দিনভর তানিয়াকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে তানিয়ার বড় মেয়ে জয়া ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে অবগত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিয়াকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি করে। সেখানে তানিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি ঘাতক উজ্জলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ খবর পেয়ে তানিয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানে হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতক স্বামীকে আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

কেন্দ্রীয় খাদ্য পরিবহন ঠিকাদারদের ১২ কোটি টাকা লোপাট

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাষণ্ড স্বামীর হাতে গৃহবধূ খুন!

আপডেট সময় ১১:১১:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে পাষণ্ড স্বামীর হাতে শেখ তানিয়া বেগম (৪০) নামে পাঁচ সন্তানের জননী নিহত হয়েছেন৷

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূ মারা যায়। সোমবার রাতে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের মনিবাগ গ্রামে এই নির্মম ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী উজ্জল মিয়া পলাতক রয়েছেন।

নিহতের সন্তান ও স্বজনরা জানান, উজ্জল বিভিন্ন সময় তানিয়ার উপর কোন কারন ছাড়াই মারধর করত। সোমবার রাতে উজ্জ্বল ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে ভারি বস্তু দিয়ে তানিয়ার উপর পৈশাচিকভাবে নির্যাতন চালায়। রাতভর তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে । এ সময় ছেলে- মেয়েরা বাধা দিলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে মঙ্গলবার দিনভর তানিয়াকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে তানিয়ার বড় মেয়ে জয়া ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে অবগত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিয়াকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি করে। সেখানে তানিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি ঘাতক উজ্জলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ খবর পেয়ে তানিয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানে হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতক স্বামীকে আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।