বিশেষ প্রতিবেদক : বিগত সময় ছিলেন আওয়ামী সরকারের দালাল। বিভিন্নসময়ই মিছিল-সমাবেশে ওই দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে বেশ সখ্যতা লক্ষ্য করা গেছে। পালন করেছেন তৎকালীন আওয়ামীলীগের সভপতি শেখ হাসিনার জন্মদিনও। তবে ৫ আগস্টে প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর খোলস পাল্টে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে যোগসাজোসে ব্যস্ত মো. জাহাঙ্গীর। যাকে বরিশাইল্লা জাহাঙ্গীর হিসেবেই অনেকে চিনে।
জানা গেছে, চাঁদাবাজি মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত তিনি। এছাড়াও এ জাহাঙ্গীর ছিল একসময়কার শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী, কাইয়ুমপুর এলাকার যুবলীগ নেতা ফায়জুলের ঘনিষ্টজন। বর্তমানে পরিবহন সেক্টরে বিএনপি নেতাদের পরিচয়ে প্রভাব বিস্তার করে চলছে এই জাহাঙ্গীর। ইতমধ্যে বন্ধু পরিবহনে চলছে তার দখলদারিত্ব। আর তার কারণে অতিষ্ট পরিবহন ব্যবসায়ীরা। চাপা ক্ষোভ নিয়ে অনেক মালিকরা বাধ্য হয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের পরিবহন ব্যবসা।
সূত্র জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালিনী সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জোসেফের সহযোগীতায় তিনি প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছে। বর্তমানে অন্য মালিকদের পাওনা টাকায়ও ভাগ বসিয়েছেন। যেখানে বন্ধু পরিবহনের মালিককে প্রতি ১০ দিনে দেয়ার কথা সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা। সেখানে তিনি দিচ্ছেন ৩ হাজার ৩০০ টাকা, এমন অভিযোগ মালিকদের। সাধারণ মালিকরা এখন এই পরিবহন ব্যবসায় জাহাঙ্গীরের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে তাদের আক্ষেপ।
আরো জানা গেছে, এই জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলা রয়েছে, সি আর নং ২৬৫/১৪। যার বাদি মাসাদাইর এলাকার বাসিন্দা মাসুদ রানা মিন্টু। এছাড়াও ফতুল্লা থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় ৬২নং আসামী করা হয়েছে তাকে। যার মামলা নং ২৪। তাছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ মামলা নং ১৬, সেখানেও তিনি ৭৪নং আসামী হিসেবে অভিযুক্ত। সেই মামলার বাদি মিজমিজি এলাকার বাসিন্দা সুফিকুল ইসলাম ভূইয়া।
তবে এরআগে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর বলেছিলেন, আমি কারো নাম ভাঙ্গায়তে যামু কে। পরিবহনে আমি আছি। আমার সাথে কথা বলতে হলে নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল আসেন। শ্রমিক সংগঠনের অফিসে এসে কথা বলেন। এরপর শ্রমিক সংগঠনে আপনি কোনো পদে আছেন কিনা? কিংবা শ্রমিক নেতা কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইসা দেইখা যান। একপর্যায়ে অন্যান্য বিষেেয় জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে কলটি কেটে দেন।