ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক দুর্ঘটনা: নিহত ১, আহত ১৫ Logo চুলের রহস্য ফাঁস করলেন ক্যাটরিনা Logo গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন Logo ১২ ম্যাচে নবম হার ম্যানসিটির, আর্সেনালের বড় জয় Logo নারায়নগঞ্জ ক্লাবের নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হলেন- মোঃ সোলায়মান Logo ডোপ টেস্টে চালকসহ দুইজনের মদপানের সত্যতা মিলেছে Logo জিয়াউর রহমানকে ‘খুনি-রাজাকার’ বলায় যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা Logo ৩০ ডিসেম্বর চুনকা পাঠাগারে আন্তর্জাতিক লেখক দিবস উদযাপন করবে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব নারায়ণগঞ্জ Logo মদনগঞ্জ দারুস সালাম মাদরাসা’র বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ, পুরস্কার বিতরণ ও দোয়ার অনুষ্ঠান Logo উত্তর ভারতের প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামানো হচ্ছে ‘পুষ্পা-২’

মজলুমদের নেতা মওলানা ভাসানীর আজ মৃত্যুবার্ষিকী

লুঙ্গি পরা লম্বা দাড়ির এক মানুষ; কাঁধে গামছা আর মাথায় তালের টুপি নিয়ে হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের মজলুমদের অবিসংবাদিত নেতা।

কৃষিনির্ভর বাংলায় কৃষকের বেশেই সন্তোষের লাল মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী হয়ে ওঠেন মুক্তির কণ্ঠস্বর। আজ রোববার আওয়ামী মুসলিম লীগের এই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজ, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে আজ সকাল থেকেই ঢল নামবে মানুষের। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রয়াত এই নেতার মাজার জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। কয়েক দিন আগে থেকেই মওলানা ভাসানীর ভক্ত, অনুসারী ও মুরিদরা সন্তোষে এসেছেন। এদিকে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ চলছে।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। লাইন প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনসহ সারাজীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সবশেষ কীর্তি ছিল ফারাক্কা লং মার্চ।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক দুর্ঘটনা: নিহত ১, আহত ১৫

মজলুমদের নেতা মওলানা ভাসানীর আজ মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেট সময় ১০:০০:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

লুঙ্গি পরা লম্বা দাড়ির এক মানুষ; কাঁধে গামছা আর মাথায় তালের টুপি নিয়ে হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের মজলুমদের অবিসংবাদিত নেতা।

কৃষিনির্ভর বাংলায় কৃষকের বেশেই সন্তোষের লাল মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী হয়ে ওঠেন মুক্তির কণ্ঠস্বর। আজ রোববার আওয়ামী মুসলিম লীগের এই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজ, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে আজ সকাল থেকেই ঢল নামবে মানুষের। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রয়াত এই নেতার মাজার জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। কয়েক দিন আগে থেকেই মওলানা ভাসানীর ভক্ত, অনুসারী ও মুরিদরা সন্তোষে এসেছেন। এদিকে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ চলছে।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। লাইন প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনসহ সারাজীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সবশেষ কীর্তি ছিল ফারাক্কা লং মার্চ।