ঢাকা , শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুবলীর ‘পুলসিরাত’ হয়ে গেল ‘সরদার বাড়ির খেলা’ Logo মেসিকে যেভাবে লাল কার্ড থেকে বাঁচিয়েছেন প্রতিপক্ষ কোচ Logo ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান Logo গভীর রাতে ৭৫০ জনকে পুশ-ইনের চেষ্টা, বিজিবি-জনতার বাধায় পিছু হটল বিএসএফ Logo দাবি বাস্তবায়নের নতুন কেন্দ্র হবে কাকরাইল মোড় : রইছ উদ্দিন Logo সাম্য হত্যার জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগ থানা ঘেরাও Logo পাস‌পোর্ট অ‌ফি‌সে দালাল চ‌ক্রের ঠাই হবে না : নব নিযুক্ত উপ-প‌রিচালক শামীম Logo কাঁচপুর জমিজমা সক্রান্ত দ্বন্দ্বে মামা-ভাগিনা সংঘর্ষ, অবশেষে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo ফরাজিকান্দায় আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা পুলিশি বাধায় কাজ বন্ধ Logo আরব আমিরাতের উদ্দেশে তামিম-রিশাদরা

মজলুমদের নেতা মওলানা ভাসানীর আজ মৃত্যুবার্ষিকী

লুঙ্গি পরা লম্বা দাড়ির এক মানুষ; কাঁধে গামছা আর মাথায় তালের টুপি নিয়ে হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের মজলুমদের অবিসংবাদিত নেতা।

কৃষিনির্ভর বাংলায় কৃষকের বেশেই সন্তোষের লাল মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী হয়ে ওঠেন মুক্তির কণ্ঠস্বর। আজ রোববার আওয়ামী মুসলিম লীগের এই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজ, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে আজ সকাল থেকেই ঢল নামবে মানুষের। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রয়াত এই নেতার মাজার জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। কয়েক দিন আগে থেকেই মওলানা ভাসানীর ভক্ত, অনুসারী ও মুরিদরা সন্তোষে এসেছেন। এদিকে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ চলছে।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। লাইন প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনসহ সারাজীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সবশেষ কীর্তি ছিল ফারাক্কা লং মার্চ।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

বুবলীর ‘পুলসিরাত’ হয়ে গেল ‘সরদার বাড়ির খেলা’

মজলুমদের নেতা মওলানা ভাসানীর আজ মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেট সময় ১০:০০:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

লুঙ্গি পরা লম্বা দাড়ির এক মানুষ; কাঁধে গামছা আর মাথায় তালের টুপি নিয়ে হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের মজলুমদের অবিসংবাদিত নেতা।

কৃষিনির্ভর বাংলায় কৃষকের বেশেই সন্তোষের লাল মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী হয়ে ওঠেন মুক্তির কণ্ঠস্বর। আজ রোববার আওয়ামী মুসলিম লীগের এই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজ, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে আজ সকাল থেকেই ঢল নামবে মানুষের। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রয়াত এই নেতার মাজার জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। কয়েক দিন আগে থেকেই মওলানা ভাসানীর ভক্ত, অনুসারী ও মুরিদরা সন্তোষে এসেছেন। এদিকে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ চলছে।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। লাইন প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনসহ সারাজীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সবশেষ কীর্তি ছিল ফারাক্কা লং মার্চ।