ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বন্দরে ৬ প্রতারকের বিরুদ্ধে আদালতে চাজশীট দাখিল

স্টাফ রিপোর্টার : বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত বন্দর থানা এলাকার ৬ প্রতারকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে থানা পুলিশ। মামলা নং-১৮।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকার মীরকুন্ডি চর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন এর ছেলে মোঃ সাজুকে দক্ষিন কোরিয়া নেওয়ার কথা বলে শীর্ষ প্রতারক অর্থ আত্মসাৎকারী কামাল প্রধান নগদ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা নেয় এবং দীর্ঘদিন ধরে কালক্ষেপন করে বিদেশ পাঠাতে না পারলে ভুক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিন টাকা ফেরত চাইলে কামাল সহ অন্যান্য বিবাদী আলমগীর প্রধান, রূপালী আক্তার, নিপা আক্তার, জলি বেগম ও রাজু হুমকী প্রদান করে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখায়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্দর থানাধীন বাগবাড়ী এলাকায় বিবাদীদের বাড়ীতে গিয়ে প্রতারক কামালের খোঁজ করে টাকা চাইতে গেলে আলমগীর প্রধান, জলি বেগম ও রাজু সাজুকে এলোপাথারি কিল-ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থান নীলাফুলা জখম করে এবং রিয়াজ উদ্দিন ও সাজু জামা কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলে ১২০০ টাকার ক্ষতি সাধন করে। প্রতারক কামাল, রূপালী আক্তার ও নিপা আক্তার অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত হইয়া সাজুকে কোপাইয়া মারিয়া ফেলিবে বলে হুমকী প্রদান করে।

এই ঘটনায় রিয়াজ উদ্দিন বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এএসআই মোঃ রিপন মিয়াকে তদন্তের দায়িত্ব দিলে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতিক্রমে অপরাধটি সরজমিন ঘটনাস্থলে প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করে এবং এছাড়াও বাদীর মনোনীত সাক্ষীসহ নিরপেক্ষ সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পায় পুলিশ। লিখিত অভিযোগে ৮ জন আসামী হলে ২ জনকে বাদ দিয়ে ৬ জন অপরাধিকে দোষি স্বাব্যস্থ করে গত ২৮ মে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ নারায়ণগঞ্জ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত চার্জশীট আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য যে, ভুক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিন ও তার ছেলে সাজুর কাছ থেকে বিদেশে নেওয়ার কথা বলে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার উপরে নিয়ে আত্মসাৎ করার পরিকল্পনায় প্রতারক কামাল প্রধান তার বহু অপকর্মের হোতা মক্ষীরানী বোন রূপালী আক্তারকে দিয়ে ঐ ঘটনার দিন তারিখ দিয়ে আদালতে একটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানী করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। অবশেষে সত্য প্রকাশ পেল এবং মিথ্যা মামলায় হয়রানী করার জন্য বিজ্ঞ আদালত মামালাবাজ রূপালীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে ভুক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিন সহ অন্যান্যরা আশাবাদী।

এছাড়াও রিয়াজ উদ্দিন হয়রানীর শিকার হয়ে প্রতারক কামাল, আলমগীর, রূপালী, নিপা আক্তার, জলি বেগম, সুমাইয়া, হাফিজ, রাজু, আবুল কাশেমসহ আরও কয়েকজনকে আসামী করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আরও দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলাগুলি আদালতে চলমান রয়েছে। মামলাগুলি উঠিয়ে নেওয়ার জন্য বাদীকে অব্যাহত হুমকী দিয়ে যাচ্ছে বিবাদীরা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

বন্দরে ৬ প্রতারকের বিরুদ্ধে আদালতে চাজশীট দাখিল

আপডেট সময় ১০:২১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত বন্দর থানা এলাকার ৬ প্রতারকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে থানা পুলিশ। মামলা নং-১৮।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকার মীরকুন্ডি চর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন এর ছেলে মোঃ সাজুকে দক্ষিন কোরিয়া নেওয়ার কথা বলে শীর্ষ প্রতারক অর্থ আত্মসাৎকারী কামাল প্রধান নগদ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা নেয় এবং দীর্ঘদিন ধরে কালক্ষেপন করে বিদেশ পাঠাতে না পারলে ভুক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিন টাকা ফেরত চাইলে কামাল সহ অন্যান্য বিবাদী আলমগীর প্রধান, রূপালী আক্তার, নিপা আক্তার, জলি বেগম ও রাজু হুমকী প্রদান করে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখায়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্দর থানাধীন বাগবাড়ী এলাকায় বিবাদীদের বাড়ীতে গিয়ে প্রতারক কামালের খোঁজ করে টাকা চাইতে গেলে আলমগীর প্রধান, জলি বেগম ও রাজু সাজুকে এলোপাথারি কিল-ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থান নীলাফুলা জখম করে এবং রিয়াজ উদ্দিন ও সাজু জামা কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলে ১২০০ টাকার ক্ষতি সাধন করে। প্রতারক কামাল, রূপালী আক্তার ও নিপা আক্তার অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত হইয়া সাজুকে কোপাইয়া মারিয়া ফেলিবে বলে হুমকী প্রদান করে।

এই ঘটনায় রিয়াজ উদ্দিন বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এএসআই মোঃ রিপন মিয়াকে তদন্তের দায়িত্ব দিলে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতিক্রমে অপরাধটি সরজমিন ঘটনাস্থলে প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করে এবং এছাড়াও বাদীর মনোনীত সাক্ষীসহ নিরপেক্ষ সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পায় পুলিশ। লিখিত অভিযোগে ৮ জন আসামী হলে ২ জনকে বাদ দিয়ে ৬ জন অপরাধিকে দোষি স্বাব্যস্থ করে গত ২৮ মে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ নারায়ণগঞ্জ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত চার্জশীট আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য যে, ভুক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিন ও তার ছেলে সাজুর কাছ থেকে বিদেশে নেওয়ার কথা বলে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার উপরে নিয়ে আত্মসাৎ করার পরিকল্পনায় প্রতারক কামাল প্রধান তার বহু অপকর্মের হোতা মক্ষীরানী বোন রূপালী আক্তারকে দিয়ে ঐ ঘটনার দিন তারিখ দিয়ে আদালতে একটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানী করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। অবশেষে সত্য প্রকাশ পেল এবং মিথ্যা মামলায় হয়রানী করার জন্য বিজ্ঞ আদালত মামালাবাজ রূপালীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে ভুক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিন সহ অন্যান্যরা আশাবাদী।

এছাড়াও রিয়াজ উদ্দিন হয়রানীর শিকার হয়ে প্রতারক কামাল, আলমগীর, রূপালী, নিপা আক্তার, জলি বেগম, সুমাইয়া, হাফিজ, রাজু, আবুল কাশেমসহ আরও কয়েকজনকে আসামী করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আরও দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলাগুলি আদালতে চলমান রয়েছে। মামলাগুলি উঠিয়ে নেওয়ার জন্য বাদীকে অব্যাহত হুমকী দিয়ে যাচ্ছে বিবাদীরা।