ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পরের ডিসেম্বরে আমার মেয়াদ শেষ, মির্জা ফখরুল কত বছর মহাসচিব?

বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলটির মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের কি বৈধ অধিকার রয়েছে? তার গঠনতন্ত্র সে লঙ্ঘন করেছে।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগ সারা দেশে অসংখ্য বেনজীর আহমেদ ও আজিজ আহমেদ সৃষ্টি করেছে, তাদের খুঁজে বের করতে নিজস্ব তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলেছে বিএনপি’, এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির গঠনতন্ত্র পড়েছেন? মির্জা ফখরুল কত বছর থাকতে পারেন? এই ডিসেম্বরের পরের ডিসেম্বর আমার টার্ম শেষ। যথাসময়ে সম্মেলন হবে আমাদের।’

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল কত বছর ধরে তার গঠনতন্ত্রকে লঙ্ঘন করে মহাসচিব হিসেবে আছেন? তারাই গণতান্ত্রিক দল নয়, তারা নিজেরা ঘরে গণতন্ত্র চর্চা করে না, দেশের গণতন্ত্র কীভাবে প্রতিষ্ঠা করবে? মির্জা ফখরুলের কি বৈধ অধিকার রয়েছে? তার গঠনতন্ত্র সে লঙ্ঘন করেছে। সম্মেলন ছাড়া মহাসচিব কত বছর, সেটা আগে জিজ্ঞেস করুন।’

বিএনপি দুর্নীতিগ্রস্তদের তালিকা করতে পারে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘লিস্ট করলে তো প্রথমে বিএনপি নেতাদের নাম লিখতে হবে। কারণ দুর্নীতি-লুটপাটের শিরোমণি তারা। বিএনপি নেতাদের নাম আগে আসবে। তারপর অন্য লিস্ট দেখা যাবে।’

বেনজীর আহমেদের গ্রেফতার হওয়া না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটার তো প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়ায় দুদক তদন্ত করছে। দুদক যদি মামলা করে, তারপর আদালত ঠিক করবে গ্রেফতার করবে, কখন করবে, জেলে পাঠাবে। বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হবে। আমরা সরকার কী আদেশ দিবো?’

অনেক গণমাধ্যম জানাচ্ছে বেনজীর সপরিবারে দেশত্যাগ করেছে, তার আগেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি এটা জানি না, এটা এখনও পরিষ্কার না।’

বেনজীর ৩২টি ব্যাংক থেকে ইতোমধ্যে তার টাকা তুলে ফেলেছে বলে শোনা যাচ্ছে, এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসব বিষয়ে যেহেতু আমি অবহিত নই, এটা আইনের বিষয়। দুদক বলছে তারা টের পেয়েছে, দুদক সেটা প্রমাণ করুক।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়া এ দেশে দুর্নীতি, লুটপাট, গণতন্ত্র ধ্বংস, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ-চেতনা নিশ্চিহ্ন করা, যুদ্ধের রণধ্বনিকে নির্বাসনে পাঠানো—এসব অপকর্ম যার হাতে, তার পক্ষে বলার কিছু নেই। সেবাদাস কে কার? বঙ্গবন্ধুকন্যা কারও সেবাদাস নয়। এখন তাদের মুখের বিষটাই বড় করে আমরা দেখতে পাচ্ছি। তারা একরাশ ব্যর্থতার স্তূপকৃত আবর্জনার ওপর দাঁড়িয়ে মানসিক অশান্তিতে ভুগছে। সেই মানসিক অশান্তির মধ্যে সত্য কথা বলতে তারা ভুলে গেছে। এসব দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

পরের ডিসেম্বরে আমার মেয়াদ শেষ, মির্জা ফখরুল কত বছর মহাসচিব?

আপডেট সময় ০৮:৫৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলটির মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের কি বৈধ অধিকার রয়েছে? তার গঠনতন্ত্র সে লঙ্ঘন করেছে।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগ সারা দেশে অসংখ্য বেনজীর আহমেদ ও আজিজ আহমেদ সৃষ্টি করেছে, তাদের খুঁজে বের করতে নিজস্ব তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলেছে বিএনপি’, এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির গঠনতন্ত্র পড়েছেন? মির্জা ফখরুল কত বছর থাকতে পারেন? এই ডিসেম্বরের পরের ডিসেম্বর আমার টার্ম শেষ। যথাসময়ে সম্মেলন হবে আমাদের।’

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল কত বছর ধরে তার গঠনতন্ত্রকে লঙ্ঘন করে মহাসচিব হিসেবে আছেন? তারাই গণতান্ত্রিক দল নয়, তারা নিজেরা ঘরে গণতন্ত্র চর্চা করে না, দেশের গণতন্ত্র কীভাবে প্রতিষ্ঠা করবে? মির্জা ফখরুলের কি বৈধ অধিকার রয়েছে? তার গঠনতন্ত্র সে লঙ্ঘন করেছে। সম্মেলন ছাড়া মহাসচিব কত বছর, সেটা আগে জিজ্ঞেস করুন।’

বিএনপি দুর্নীতিগ্রস্তদের তালিকা করতে পারে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘লিস্ট করলে তো প্রথমে বিএনপি নেতাদের নাম লিখতে হবে। কারণ দুর্নীতি-লুটপাটের শিরোমণি তারা। বিএনপি নেতাদের নাম আগে আসবে। তারপর অন্য লিস্ট দেখা যাবে।’

বেনজীর আহমেদের গ্রেফতার হওয়া না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটার তো প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়ায় দুদক তদন্ত করছে। দুদক যদি মামলা করে, তারপর আদালত ঠিক করবে গ্রেফতার করবে, কখন করবে, জেলে পাঠাবে। বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হবে। আমরা সরকার কী আদেশ দিবো?’

অনেক গণমাধ্যম জানাচ্ছে বেনজীর সপরিবারে দেশত্যাগ করেছে, তার আগেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি এটা জানি না, এটা এখনও পরিষ্কার না।’

বেনজীর ৩২টি ব্যাংক থেকে ইতোমধ্যে তার টাকা তুলে ফেলেছে বলে শোনা যাচ্ছে, এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসব বিষয়ে যেহেতু আমি অবহিত নই, এটা আইনের বিষয়। দুদক বলছে তারা টের পেয়েছে, দুদক সেটা প্রমাণ করুক।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়া এ দেশে দুর্নীতি, লুটপাট, গণতন্ত্র ধ্বংস, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ-চেতনা নিশ্চিহ্ন করা, যুদ্ধের রণধ্বনিকে নির্বাসনে পাঠানো—এসব অপকর্ম যার হাতে, তার পক্ষে বলার কিছু নেই। সেবাদাস কে কার? বঙ্গবন্ধুকন্যা কারও সেবাদাস নয়। এখন তাদের মুখের বিষটাই বড় করে আমরা দেখতে পাচ্ছি। তারা একরাশ ব্যর্থতার স্তূপকৃত আবর্জনার ওপর দাঁড়িয়ে মানসিক অশান্তিতে ভুগছে। সেই মানসিক অশান্তির মধ্যে সত্য কথা বলতে তারা ভুলে গেছে। এসব দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না।