ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরীয়তপুরে লাকড়ি ঘর থেকে এবার সাপের ডিমসহ বিষধর সাপ উদ্ধার

কিছুদিন পরপরই শরীয়তপুরের সখিপুরে সাপের কামড়ে রোগীর মৃত্যুর খবর আসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এ বছর পদ্মা-মেঘনা নদী বেষ্টিত এই অঞ্চলটির বিভিন্ন বসত বাড়ি থেকে একের পর এক উদ্ধার করা হচ্ছে সাপের ডিমসহ বিষধর সাপ। গতকাল সোমবার (১৩ মে) একটি ঘর থেকে সাপের ডিম উদ্ধার করার পরে আজ আবারো একটি লাকড়ি ঘর থেকে ৩০টি ডিমসহ বিষধর সাপ উদ্ধার করেছে এক সাপুড়ে। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় পাঁচ বছর ধরে সখিপুরে সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের মাদবর কান্দি গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ি থেকে ডিমসহ সাপটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (১২ মে) সখিপুর বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম মাদবরসহ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সখিপুরে সাপের দংশনে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে সখিপুর থানা ভবনসহ থানার আবাসিক এলাকায়ও দেখা গিয়েছিল সাপের উপদ্রব। গতকাল সোমবার বিকেলে চরভাগার ঢালী কান্দি গ্রামের দেওয়ান বাড়ির আকবর দেওয়ানের ফসল ও লাকরি রাখার একটি ঘর থেকে ৩৬টি সাপের ডিম উদ্ধার করে সাপুড়ে মিনু ঢালী। এছাড়াও গত কয়েকদিন আগে মাদবর কান্দি গ্রামের স্যানেটারি ব্যবসায়ী মোক্তার প্রধানিয়ার একটি লাকড়ি ঘরে সাপ দেখতে পায় এক গৃহবধু। পরে সাপুড়ে মিনু ঢালীকে খবর দেওয়া হলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘর থেকে সাপের ৩০টি ডিমসহ গোখরা জাতের একটি সাপ উদ্ধার করে সাপুড়ে মিনু ঢালী।

বাড়ির মালিক মোক্তার প্রধানিয়া বলেন, বাড়ির এক গৃহবধু লাকড়ি ঘরে সাপ দেখার পরে আমরা সবাই আতঙ্কে ছিলাম। পরে সাপটি ধরার জন্য সাপুড়ে মিনু ঢালীকে খবর দেই। এরপর সাপুড়ে এসে লাকড়ি ঘরের মাটি খুঁড়ে একটি বড় সাপ ও ৩০টি ডিম উদ্ধার করেছে। এখনো ঘরে আরও সাপ আছে কিনা বুঝতে পারছি না।

সাপুড়ে মিনু ঢালী বলেন, আমি আসার পরে কিছু সময় মাটি খনন করেছি। খননের এক পর্যায়ে আমি ঘরের মধ্যে সাপের ডিম দেখতে পাই। আমি বুঝতে পেরেছিলাম এখানে বড় সাপ রয়েছে। এরপর আরও একটু খোঁড়ার পরে গোখড়া জাতের একটি সাপ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

বিষয়টি নিয়ে উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. ইউনুছ মোল্লা বলেন, অনেক দিন ধরেই সখিপুরের বিভিন্ন স্থানে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। গতকাল চারভাগা, আজ উত্তর তারাবুনিয়ার মাদবর কান্দিতে সাপের ডিম ও সাপ পাওয়া গেছে। সখিপুরে অল্প দিনের ব্যবধানে দুইজনের মৃত্যুও হয়েছে। সাপের এমন উপদ্রব থেকে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। অসর্তকতাবসত কাউকে সাপে কাটলে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

শরীয়তপুরে লাকড়ি ঘর থেকে এবার সাপের ডিমসহ বিষধর সাপ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৮:৫৬:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

কিছুদিন পরপরই শরীয়তপুরের সখিপুরে সাপের কামড়ে রোগীর মৃত্যুর খবর আসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এ বছর পদ্মা-মেঘনা নদী বেষ্টিত এই অঞ্চলটির বিভিন্ন বসত বাড়ি থেকে একের পর এক উদ্ধার করা হচ্ছে সাপের ডিমসহ বিষধর সাপ। গতকাল সোমবার (১৩ মে) একটি ঘর থেকে সাপের ডিম উদ্ধার করার পরে আজ আবারো একটি লাকড়ি ঘর থেকে ৩০টি ডিমসহ বিষধর সাপ উদ্ধার করেছে এক সাপুড়ে। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় পাঁচ বছর ধরে সখিপুরে সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের মাদবর কান্দি গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ি থেকে ডিমসহ সাপটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (১২ মে) সখিপুর বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম মাদবরসহ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সখিপুরে সাপের দংশনে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে সখিপুর থানা ভবনসহ থানার আবাসিক এলাকায়ও দেখা গিয়েছিল সাপের উপদ্রব। গতকাল সোমবার বিকেলে চরভাগার ঢালী কান্দি গ্রামের দেওয়ান বাড়ির আকবর দেওয়ানের ফসল ও লাকরি রাখার একটি ঘর থেকে ৩৬টি সাপের ডিম উদ্ধার করে সাপুড়ে মিনু ঢালী। এছাড়াও গত কয়েকদিন আগে মাদবর কান্দি গ্রামের স্যানেটারি ব্যবসায়ী মোক্তার প্রধানিয়ার একটি লাকড়ি ঘরে সাপ দেখতে পায় এক গৃহবধু। পরে সাপুড়ে মিনু ঢালীকে খবর দেওয়া হলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘর থেকে সাপের ৩০টি ডিমসহ গোখরা জাতের একটি সাপ উদ্ধার করে সাপুড়ে মিনু ঢালী।

বাড়ির মালিক মোক্তার প্রধানিয়া বলেন, বাড়ির এক গৃহবধু লাকড়ি ঘরে সাপ দেখার পরে আমরা সবাই আতঙ্কে ছিলাম। পরে সাপটি ধরার জন্য সাপুড়ে মিনু ঢালীকে খবর দেই। এরপর সাপুড়ে এসে লাকড়ি ঘরের মাটি খুঁড়ে একটি বড় সাপ ও ৩০টি ডিম উদ্ধার করেছে। এখনো ঘরে আরও সাপ আছে কিনা বুঝতে পারছি না।

সাপুড়ে মিনু ঢালী বলেন, আমি আসার পরে কিছু সময় মাটি খনন করেছি। খননের এক পর্যায়ে আমি ঘরের মধ্যে সাপের ডিম দেখতে পাই। আমি বুঝতে পেরেছিলাম এখানে বড় সাপ রয়েছে। এরপর আরও একটু খোঁড়ার পরে গোখড়া জাতের একটি সাপ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

বিষয়টি নিয়ে উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. ইউনুছ মোল্লা বলেন, অনেক দিন ধরেই সখিপুরের বিভিন্ন স্থানে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। গতকাল চারভাগা, আজ উত্তর তারাবুনিয়ার মাদবর কান্দিতে সাপের ডিম ও সাপ পাওয়া গেছে। সখিপুরে অল্প দিনের ব্যবধানে দুইজনের মৃত্যুও হয়েছে। সাপের এমন উপদ্রব থেকে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। অসর্তকতাবসত কাউকে সাপে কাটলে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।