করাচিতে সরফরাজ আহমেদের লড়াকু সেঞ্চুরিতে এক পর্যায়ে পাকিস্তানের জয়ের পাল্লাই ছিল ভারি। পাকিস্তানি ব্যাটার ফেরার পর ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিতে থাকে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু শেষ উইকেট জুটিতে রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠা দ্বিতীয় টেস্টে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পাকিস্তান। তাতে দুটি টেস্টই ড্রয়ের মুখ দেখেছে।
অথচ ৩১৯ রান তাড়ায় শূন্য রানে ২ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ই চোখ রাঙাচ্ছিল। এক পর্যায়ে স্কোর ছিল ৮০ রানে ৫ উইকেট। সেখান থেকে লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেন সরফরাজ। সৌদ শাকিলের সঙ্গে ১২৩ রানের দারুণ জুটিতে মূল প্রতিরোধটা গড়েছিলেন। শাকিল ৩২ রানে ফিরলে তার পরও থেমে থাকেননি। আগা সালমানকে নিয়ে তার পর ৭০ রান যোগ করেছেন। সালমান, হাসান আলীর পর সরফরাজ নিজেও ১১৮ রানে বিদায় নিলে ম্যাচ ফের ঝুঁকে পড়ে কিউইদের দিকে।
মূলত দিনের শেষ ভাগে দ্বিতীয় নতুন বল হাতে নেওয়ার পরই ইনিংসের দৃশ্যপট বদলেছে। তখন জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল আর এক উইকেট। কিন্তু বড় শট খেলে ম্যাচটা রোমাঞ্চকর অবস্থায় দাঁড় করাতে সক্ষম হন শেষ দুই ব্যাটার নাসিম শাহ ও আবরার। জয় পেতে পাকিস্তানের তখনও প্রয়োজন ছিল আর ১৫ রান। কিন্তু আলোর স্বল্পতায় ৩ ওভার আগেই ড্রয়ে নিষ্পত্তি হয়েছে এই টেস্ট।
৭৮ ও ১১৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন সরফরাজ আহমেদ। সিরিজ সেরাও তিনি। সিরিজে তার মোট সংগ্রহ ৩৩৫ রান।
৭৫ রানে ৫ উইকেট নেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। দুটি করে নিয়েছেন টিম সাউদি ও ইশ সোধি। একটি করে নেন ম্যাট হেনরি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ১৩১ ওভারে ৪৪৯ (ল্যাথাম ৭১, কনওয়ে ১২২, হেনরি ৬৮* ব্লান্ডেল ৫১; আবরার ৪/১৪৯, নাসিম ৩/৭১, আগা ৩/৭৫)
নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ ওভারে ২৭৭/৫ ডি. (ল্যাথাম ৬২, ব্লান্ডেল ৭৪, ব্রেসওয়েল ৭৪*)
পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ১৩৩ ওভারে ৪০৮ (ইমাম ৮৩, সৌদ শাকিল ১২৫*, সরফরাজ ৭৮; আজাজ ৩/৮৮, সোধি ৩/৯৫)
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইংনিসে ৯০ ওভারে ৩০৪/৯ (সরফরাজ ১১৮, শান ৩৫, সৌদ ৩২, আগা ৩০; ব্রেসওয়েল ৪/৭৫)
ফল: ম্যাচ ড্র।