ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

‘চোকার্স’ দ. আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

বিশ্বকাপের মঞ্চে এলে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা যেন খেই হারিয়ে ফেলে। গায়ে লেগেছে চোকার্স তকমা। এবারও হলো তাই! ব্যাট হাতে ব্যর্থতার মিছিল, ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ মিসের মহড়ায় কপাল পুড়েছে প্রোটিয়াদের।

ইডেন গার্ডেনসে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ২১২ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরুর পরও বিপাকে পড়ে অজিরা। তবে শেষ পর্যন্ত ১৬ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় নিয়ে অস্ট্রেলিয়া অষ্টমবারের মতো ফাইনালে নাম লিখিয়েছে।

আগামী রোববার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনালে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। অজিদের সামনে মিশন হেক্সা আর ভারতের সামনে তৃতীয় ট্রফির হাতছানি।

সেট ব্যাটার জস ইংলিস (২৮) যখন আউট হন তখনও অজিদের প্রয়োজন ২০ রান। সংখ্যায় কম হলেও এই রান ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী পাহাড়সম। এমন সময়েও ক্যাচ ফেলে দ. আফ্রিকা। সব মিলিয়ে পাঁচটি ক্যাচ ফেলে টেম্বা বাভুমার দল।

ইংলিসের আউটের পর অবশ্য আর কোনো উইকেট হারায়নি অস্ট্রেলিয়া। মিচেল স্টার্কের সঙ্গে কামিন্সের ২২ রানের জুটি অজিদের পৌঁছে দেয় জয়ের বন্দরে। কামিন্স ১৪ ও স্টার্ক ১৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।

এমনিতে স্কোরবোর্ড কম পুঁজি। অজিদের শুরুটা হয় উড়ন্ত। ৬ ওভার না হতেই স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৬০ রান। এই শুরুটা শেষে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার কাল হয়ে দাঁড়ালো।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান আসে ত্রাভিস হেডের ব্যাট থেকে। ডেবিড ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। মাঝে স্টিভেন স্মিথ ৩০ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন সাজঘরে। ১৮ রান আসে মার্নাস ল্যাবুশেনের ব্যাট থেকে।

কম পুঁজির এই ম্যাচে প্রোটিয়াদের টিকিয়ে রাখে স্পিনাররা। সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন তাবরেজ শামসি-জেরাল্ড কোয়েটজে। এ ছাড়া এইডেন মার্করাম, কাগিসো রাবাদা ও কেশব মহারাজ নেন ১টি করে উইকেট।

এর আগে প্রোটিয়া ব্যাটারদের ব্যর্থতার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন ডেভিড মিলার। ২১১ রানের মধ্যে মিলার একাই করেন ১০১ রান। ১১৬ বল খেলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় এই রান করেন তিনি। এছাড়া হেনরিক ক্লাসেন ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৭, জেরাল্ড কোয়েটজে ১৯, এইডেন মার্করাম ও কাগিসু রাবাদা ১০টি করে রান করেন।

বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩৪ রান দিয়ে ৩টি এবং প্যাট কামিন্স ৯.৪ ওভারে ৫১ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। ৮ ওভার বল করে ৩ মেডেনসহ মাত্র ১২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন জশ হ্যাজলেউড। এছাড়া ত্রাভিস হেড ৫ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

‘চোকার্স’ দ. আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

আপডেট সময় ০৪:০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

বিশ্বকাপের মঞ্চে এলে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা যেন খেই হারিয়ে ফেলে। গায়ে লেগেছে চোকার্স তকমা। এবারও হলো তাই! ব্যাট হাতে ব্যর্থতার মিছিল, ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ মিসের মহড়ায় কপাল পুড়েছে প্রোটিয়াদের।

ইডেন গার্ডেনসে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ২১২ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরুর পরও বিপাকে পড়ে অজিরা। তবে শেষ পর্যন্ত ১৬ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় নিয়ে অস্ট্রেলিয়া অষ্টমবারের মতো ফাইনালে নাম লিখিয়েছে।

আগামী রোববার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনালে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। অজিদের সামনে মিশন হেক্সা আর ভারতের সামনে তৃতীয় ট্রফির হাতছানি।

সেট ব্যাটার জস ইংলিস (২৮) যখন আউট হন তখনও অজিদের প্রয়োজন ২০ রান। সংখ্যায় কম হলেও এই রান ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী পাহাড়সম। এমন সময়েও ক্যাচ ফেলে দ. আফ্রিকা। সব মিলিয়ে পাঁচটি ক্যাচ ফেলে টেম্বা বাভুমার দল।

ইংলিসের আউটের পর অবশ্য আর কোনো উইকেট হারায়নি অস্ট্রেলিয়া। মিচেল স্টার্কের সঙ্গে কামিন্সের ২২ রানের জুটি অজিদের পৌঁছে দেয় জয়ের বন্দরে। কামিন্স ১৪ ও স্টার্ক ১৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।

এমনিতে স্কোরবোর্ড কম পুঁজি। অজিদের শুরুটা হয় উড়ন্ত। ৬ ওভার না হতেই স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৬০ রান। এই শুরুটা শেষে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার কাল হয়ে দাঁড়ালো।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান আসে ত্রাভিস হেডের ব্যাট থেকে। ডেবিড ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। মাঝে স্টিভেন স্মিথ ৩০ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন সাজঘরে। ১৮ রান আসে মার্নাস ল্যাবুশেনের ব্যাট থেকে।

কম পুঁজির এই ম্যাচে প্রোটিয়াদের টিকিয়ে রাখে স্পিনাররা। সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন তাবরেজ শামসি-জেরাল্ড কোয়েটজে। এ ছাড়া এইডেন মার্করাম, কাগিসো রাবাদা ও কেশব মহারাজ নেন ১টি করে উইকেট।

এর আগে প্রোটিয়া ব্যাটারদের ব্যর্থতার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন ডেভিড মিলার। ২১১ রানের মধ্যে মিলার একাই করেন ১০১ রান। ১১৬ বল খেলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় এই রান করেন তিনি। এছাড়া হেনরিক ক্লাসেন ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৭, জেরাল্ড কোয়েটজে ১৯, এইডেন মার্করাম ও কাগিসু রাবাদা ১০টি করে রান করেন।

বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩৪ রান দিয়ে ৩টি এবং প্যাট কামিন্স ৯.৪ ওভারে ৫১ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। ৮ ওভার বল করে ৩ মেডেনসহ মাত্র ১২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন জশ হ্যাজলেউড। এছাড়া ত্রাভিস হেড ৫ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।