স্টাফ রিপোর্টারঃ সোনারগাঁয়ে মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মানববন্ধন করে কয়েকটি অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে অপ-প্রচার চালানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হাজী মোঃ আব্দুল মতিন।
২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পৌর-ভবনাথপুর এলাকায় আব্দুল মতিন তার নিজ বাসভবনে বিভিন্ন ইলেট্রনিক্স, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে গত ২৭ অক্টোবর রবিবার সকালে মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজের সামনে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মতিন বলেন, মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজের সামনে ১০৩ শতাংশ সম্পত্তি রেকর্ডীয় মালিকদের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। তার কাছে প্রয়োজনীয় মালিকানার সকল কাগজপত্র রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এর সুরাহাও হয়েছে। কিভাবে রেকর্ডীয় সম্পত্তি হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাগজপত্র নিয়ে বসলেই এটি ব্যক্তি সম্পত্তি নাকি সরকারী সম্পত্তি পরিস্কার হয়ে যাবে। একটি কুচক্রী মহল কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে অপ-প্রচার চালিয়ে আমার জমি দখলের পায়তারা করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সোনারগাঁয়ে গাছ বাওয়া বানর হিসেবে সুপরিচিত নামধারী যুবদল নেতা আশরাফ প্রধান আমার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করলে আমি দিতে রাজি হইনি বলে আমার বিরুদ্ধে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভূল বুঝিয়ে মানববন্ধন করেছে। তার সাথে আওয়ামীলীগ আমলের জাতীয়পার্টি নেতা এবং বর্তমান থানা বিএনপির সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম বিডিআর, বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানা, সফিকুল ইসলাম মাষ্টারদের যোগসাজশে আমাকে সমাজের চোখে হেয়-প্রতিপন্ন করে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল করার পায়তারা করছে। নামধারী বিএনপি নেতা স্ত্রী হত্যার আসামী রফিকুল ইসলাম বিডিআর ও গাছ বাওয়া বানর হিসেবে খ্যাত যুবদল নেতা আশরাফ প্রধান যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সেই দলের নেতাকর্মীদের সাথে আতাত করে বিভিন্ন অপ-কর্ম করে থাকে বলেও জানান তিনি।
বিগত সরকারের আমলে আপনার যায়গা কিভাবে স্কুলের দখলে ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মতিন বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে বড় বড় রাঘব বোয়ালরা জোরপূর্বক আমার জায়গা দখলে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা অফিস, মসজিদ ও বাজার তৈরী করে দখলে রেখেছে। এ বিষয়ে আমি মামলা করলেও কোন ন্যায় বিচার পাইনি। ছয় শতাংশ যায়গা ব্যতিত এখানে স্কুলের কোনো জায়গা নেই। কাগজে কলমে পুরো সম্পত্তির মালিক আমি। স্কুলের ছয় শতাংশ জায়গা ব্যতিত যদি অন্য কোনো কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেন পুরো সম্পত্তি স্কুলের নামে লিখে দেব বলেও চ্যালেঞ্জ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মতিন তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।