ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবজির বাজারে অস্থিরতা, কমছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করলেও কমছে না সবজির দাম। ক্রেতারা দাম শুনে চাহিদার থেকে কম পরিমাণে সবজি সংগ্রহ করছেন। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব সবজিতে কেজিতে গড়ে ৫ থেকে ১০ টাকা মূল্য বেড়েছে। বাড়তি দামে আটকে আছে অন্য সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ আগের তুলনায় প্রায় সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এবং নিত্যপণ্যের দামও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

আজ রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি শিম ১০০ টাকা, চায়না গাজর ১২০ টাকা, মুলা ১০০টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৫০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুরমুখি ৯০ টাকা এবং কচুর লতি ৮০ টাকা, লাউয়ের পিস ৬০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা ও কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে লাল ডিমের ডজন ১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু ৪৫-৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাড়তি দামে আটকে আছে চালের বাজার। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৭০-৮০ টাকা, আটাশ চাল ৫৫-৬০ টাকা, মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকা, নাজিরশাল ৭০-৮৫ টাকা, বাসমতি চাল ৮৯-৯০ টাকা, চিনিগুঁড়া চাল ১২০-১৫০ টাকা, কাটারি ৮০-৯০ টাকা, আমন ৬৫ টাকা, আউশ ৭৫ টাকা ও জিরাশাইল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর নিউমার্কেটের সবজি বিক্রেতা খালেক মোল্লা রাইজিংবিডিকে জানান, বাজারে শীতের সবজি আসতে শুরু করেছে। এখনো দাম কমেনি। আর কিছুদিন গেলে শীতকালীন সবজির দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন কম বেশি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর ধানমন্ডির সালেক গার্ডেন বাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী হাসিব মাহমুদ রাইজিংবিডিকে বলেন, আমাদের মত নির্ধারিত বেতনের যারা চাকরি করি তাদের এই বাজারে দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাছের বাজার থেকে শুরু করে সবজির বাজার, মুদি বাজার ও মাংসের বাজার কোন জায়গায়ই হাত দেওয়ার মত অবস্থা নেই। এখন চাহিদার থেকে অনেক কম কিনতে হচ্ছে। কিছু করার নেই।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সবজির বাজারে অস্থিরতা, কমছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

আপডেট সময় ০৪:০১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করলেও কমছে না সবজির দাম। ক্রেতারা দাম শুনে চাহিদার থেকে কম পরিমাণে সবজি সংগ্রহ করছেন। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব সবজিতে কেজিতে গড়ে ৫ থেকে ১০ টাকা মূল্য বেড়েছে। বাড়তি দামে আটকে আছে অন্য সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ আগের তুলনায় প্রায় সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এবং নিত্যপণ্যের দামও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

আজ রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি শিম ১০০ টাকা, চায়না গাজর ১২০ টাকা, মুলা ১০০টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৫০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুরমুখি ৯০ টাকা এবং কচুর লতি ৮০ টাকা, লাউয়ের পিস ৬০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা ও কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে লাল ডিমের ডজন ১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু ৪৫-৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাড়তি দামে আটকে আছে চালের বাজার। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৭০-৮০ টাকা, আটাশ চাল ৫৫-৬০ টাকা, মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকা, নাজিরশাল ৭০-৮৫ টাকা, বাসমতি চাল ৮৯-৯০ টাকা, চিনিগুঁড়া চাল ১২০-১৫০ টাকা, কাটারি ৮০-৯০ টাকা, আমন ৬৫ টাকা, আউশ ৭৫ টাকা ও জিরাশাইল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর নিউমার্কেটের সবজি বিক্রেতা খালেক মোল্লা রাইজিংবিডিকে জানান, বাজারে শীতের সবজি আসতে শুরু করেছে। এখনো দাম কমেনি। আর কিছুদিন গেলে শীতকালীন সবজির দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন কম বেশি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর ধানমন্ডির সালেক গার্ডেন বাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী হাসিব মাহমুদ রাইজিংবিডিকে বলেন, আমাদের মত নির্ধারিত বেতনের যারা চাকরি করি তাদের এই বাজারে দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাছের বাজার থেকে শুরু করে সবজির বাজার, মুদি বাজার ও মাংসের বাজার কোন জায়গায়ই হাত দেওয়ার মত অবস্থা নেই। এখন চাহিদার থেকে অনেক কম কিনতে হচ্ছে। কিছু করার নেই।