সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ–পিরোজপুর থেকে ভাটের চর নতুন রাস্তা পর্ষন্ত প্রায় ৪০টি অবৈধ চুনাভাট্রি রয়েছে। যে ভাট্টিগুলো দিনের পর দিন অবৈধ তিতাস গ্যাসের আগুনে জ্বলছে। আর এ চুনা ভাট্টিগুলো কে নিয়ন্ত্রণ করছে? তা জানা না গেলেও লোকমুখে মন্জুর হোসেন মন্জু নামে একজনের নাম ভেসে আসছে। আর চুনাপাথরের ভাট্টিগলো নিয়ন্ত্রণ করছে মন্জুর হোসেন মন্জু। যিনি সৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগ হাসিনা সরকারের মদদদাতা। যিনি বন্দর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ সেলিম ওসমানের বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড ছিলেন। যার পরিচয় আর ক্ষমতা ব্যবহার করে পিরোজপুর থেকে ভাটেরচর নতুন রাস্তা পর্যন্ত প্রায় ৪০টি চুনা ভাট্টিতে অবৈধ গ্যাসের যোগান দিয়ে থাকেন। বিনিময়ে হাতিয়ার নেন প্রতি মাসে বিশ থেকে ত্রিশ লক্ষ টাকা। গত ৫ আগষ্ট হাসিনা সরকারের পতন হলেও তার কোন প্রভাব পড়েনি। এখন আবার এলাকার কতিপয় কিছু বিএনপি নেতা আর অসাধু তিতাস গ্যাস কোম্পানির কর্মচারীদের নিয়মিত মাসিক মাসোহারা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ চুনা ভাট্টি। নিয়ন্ত্রণ করা মন্জুর হোসেন মন্জুর পরিচয় বলতে পিতা-মৃত গিয়াসউদ্দিন, গ্রাম- মালিবাগ ভাটগাও, পোঃ- বারপাড়া,থানা-বন্দর, নারায়নগঞ্জ। একসময়ে সৈরাচার হাসিনার দোসর সেলিম ওসমানের লোক হলেও বর্তমানে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের একান্ত লোক বলে পরিচয় দেয়। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় মান্নানের সাথে তার তেমন কোন সম্পর্কই নেই। মন্জুর রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। যার মাধ্যমে মেঘনা থেকে চিটাগাংরোড পর্যন্ত তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দাবিয়ে । তার ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না। তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার প্রতিবাদ করলে হয় মিথ্যা মামলা না হয় খুন গুম সহ নানা প্রকার অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়। মন্জুর হোসেন মন্জুর নিজেরও ৮টি অবৈধ চুনা ভাট্টি রয়েছে। যার মধ্যে শুকতারা পাম্পের দক্ষিণ পাশে মুজাফ্ফর ফাউন্ডেশনের ভিতরে তিনটি ভাট্টি। এছাড়া মেঘনা নদীর ওপারে ভাটেরচর নতুন রাস্তায় সেভেন ষ্টার হোটেলের পেছনে ৫ টি। এভাবে মোট ৮টি ভাট্টি তার নিজের মালিকানাধীন। এতে করে তিতাসের গ্যাস চুরি হয় প্রতি মাসে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা। তাছাড়া ভ্যাট- ট্যাক্স প্রতি মাসে দশ লক্ষ টাকা। রয়েছে চিটাগাংরোড অবৈধ আবাসিক হোটেল। যেখানে রমরমা পতিতা ব্যাবসা চালু রয়েছে। সাবেক সাজেদা হাসপাতাল হলেও বর্তমানে অবৈধ জাহিদ আবাসিক হোটেল নামে পরিচিত । মন্জুর প্রকৃত ব্যবসা হলো সুদের ব্যবসা। চিটাগংরোড কাসসাফ ও আহসানউল্লাহ সুপার মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে দোকানে তার কয়েক কোটি সুদের টাকা লাগানো আছে। এভাবে তার অবৈধ উপায়ে মাসিক আয় প্রায় পঞ্চাশ থেকে ষাট লক্ষ টাকা। এ সকল অবৈধ অর্থের জোরে তার বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন সহ স্থানীয় নেতারা কিছুই ব্যবস্থা নিতে পারছেনা। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যেকটি স্পটের এলাকাবাসীর দাবী সঠিক তদন্তের ভিত্তিতে মন্জুর হোসেন মন্জুর বিরুদ্ধে যেন প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
ঢাকা
,
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :










সোনারগাঁ পিরোজপুর থেকে ভাটেরচর পর্যন্ত অবৈধ চুনাভাটার মদদদাতা কে এই মন্জু?
-
রুদ্রকন্ঠ ডেস্ক :
- আপডেট সময় ০২:০৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
- 11
জনপ্রিয় সংবাদ