ঢাকা , রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মরক্কো উপকূলে নৌকা ডুবে ৬৯ অভিবাসীর মৃত্যু

পশ্চিম আফ্রিকা থেকে স্পেনের উদ্দেশে যাত্রা করা একটি নৌকা মরক্কো উপকূলে ডুবে অন্তত ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মালির কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে। নৌকাটি গত সপ্তাহে ডুবে যায় বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

অস্থায়ী নৌকাটি প্রায় ৮০ জন যাত্রী ছিল।তবে মাত্র ১১ জন বেঁচে গেছেন বলে জানিয়েছে মালির প্রবাসী মন্ত্রণালয়। জীবিতদের মধ্যে ৯ জন মালির নাগরিক।এই পরিস্থিতিতে পর্যবেক্ষণের জন্য একটি সংকট ব্যবস্থাপনা দল পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।মালি দীর্ঘদিন ধরে জিহাদি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতার শিকার হয়েছে। এর ফলে ২০২০ এবং ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে।

জান্তা সরকার ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার জন্য নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু এখনও তা হয়নি।দেশের উত্তর এবং পূর্বাঞ্চলের বড় অংশ অশান্তির কারণে শাসনহীন হয়ে পড়েছে।বেকারত্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষিকাজে প্রভাব পড়ায় অনেকেই উন্নত জীবনের সন্ধানে ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছেন।তবে এই যাত্রা অত্যন্ত বিপজ্জনক।

স্পেনের অধিকার রক্ষা সংস্থা কামিনানদো ফ্রনটেরাসের তথ্য অনুযায়ী, এই বছর আফ্রিকা থেকে স্পেনে নৌকায় যাত্রার সময় ১০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।আফ্রিকার মৌরিতানিয়া এবং মরোক্কোর আটলান্টিক উপকূল থেকে স্পেন পর্যন্ত বিস্তৃত এই অভিবাসন পথকে বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক রুট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এই বিপজ্জনক পথে পাড়ি জমানোদের অনেকেই সাব-সাহারান আফ্রিকার বাসিন্দা। নিজ নিজ দেশে দারিদ্র্য এবং সংঘাত থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে যান তারা।মরোক্কো থেকে স্পেনের মূল ভূখণ্ডের সবচেয়ে কাছের দূরত্ব মাত্র আট নটিক্যাল মাইল বা ১৪ কিলোমিটার। তথ্যসূত্র : বিবিসি

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

মরক্কো উপকূলে নৌকা ডুবে ৬৯ অভিবাসীর মৃত্যু

আপডেট সময় ১১:০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

পশ্চিম আফ্রিকা থেকে স্পেনের উদ্দেশে যাত্রা করা একটি নৌকা মরক্কো উপকূলে ডুবে অন্তত ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মালির কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে। নৌকাটি গত সপ্তাহে ডুবে যায় বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

অস্থায়ী নৌকাটি প্রায় ৮০ জন যাত্রী ছিল।তবে মাত্র ১১ জন বেঁচে গেছেন বলে জানিয়েছে মালির প্রবাসী মন্ত্রণালয়। জীবিতদের মধ্যে ৯ জন মালির নাগরিক।এই পরিস্থিতিতে পর্যবেক্ষণের জন্য একটি সংকট ব্যবস্থাপনা দল পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।মালি দীর্ঘদিন ধরে জিহাদি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতার শিকার হয়েছে। এর ফলে ২০২০ এবং ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে।

জান্তা সরকার ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার জন্য নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু এখনও তা হয়নি।দেশের উত্তর এবং পূর্বাঞ্চলের বড় অংশ অশান্তির কারণে শাসনহীন হয়ে পড়েছে।বেকারত্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষিকাজে প্রভাব পড়ায় অনেকেই উন্নত জীবনের সন্ধানে ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছেন।তবে এই যাত্রা অত্যন্ত বিপজ্জনক।

স্পেনের অধিকার রক্ষা সংস্থা কামিনানদো ফ্রনটেরাসের তথ্য অনুযায়ী, এই বছর আফ্রিকা থেকে স্পেনে নৌকায় যাত্রার সময় ১০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।আফ্রিকার মৌরিতানিয়া এবং মরোক্কোর আটলান্টিক উপকূল থেকে স্পেন পর্যন্ত বিস্তৃত এই অভিবাসন পথকে বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক রুট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এই বিপজ্জনক পথে পাড়ি জমানোদের অনেকেই সাব-সাহারান আফ্রিকার বাসিন্দা। নিজ নিজ দেশে দারিদ্র্য এবং সংঘাত থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে যান তারা।মরোক্কো থেকে স্পেনের মূল ভূখণ্ডের সবচেয়ে কাছের দূরত্ব মাত্র আট নটিক্যাল মাইল বা ১৪ কিলোমিটার। তথ্যসূত্র : বিবিসি