ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদারীপুরে সাড়ে তিন বছর পর চালু ২৫০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম

মাদারীপুরে হস্তান্তরের সাড়ে তিনবছর পর জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আংশিক কার্যক্রম চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ২৫০ শয্যার মধ্যে মাত্র ৫০ শয্যা চালুর উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খান।

জেলাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরলেও জনস্বার্থে দ্রুত পূর্ণাঙ্গভাবে হাসপাতালটির চালুর দাবি রোগী, স্বজন ও এলাকাবাসীর।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র বিভাগ জানায়, জেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় তিন কোটি টাকার সিটি স্ক্যান মেশিন, ডিজিটাল এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ১০টি কার্ডিয়াক মনিটরসহ কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি আনা হয় এখানে। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে লিফটের ব্যবস্থা। হাসপাতাল চালুর দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন এমনকি উচ্চ আদালতের মাধ্যমে চিঠি। কোনোকিছুই বাদ যায়নি। ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালের সাততলা ভবন সৈয়দারবালীতে নির্মাণের পর ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর স্বাস্থ্য বিভাগের হস্তান্তর করে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

এটি চালুতে সর্বশেষ ১৪ নভেম্বর উচ্চ আদালতের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল আশিক। এটি পূর্ণাঙ্গ চালু করা গেলে জেলার সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় আমল পরিবর্তন আসবে বলে প্রত্যাশা জেলাবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদি হাসান শুভ বলেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল নির্মাণ হলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না। দ্রুত এখান থেকে সবধরনের সেবা প্রত্যাশা করছি।

সাহিত্যিক ও ইতিহাস গবেষক সুবল বিশ্বাস বলেন, পুরোপুরি হাসপাতাল চালু না হলে সব ধরনের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই জেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য এটি দ্রুত চালু করা হোক।

মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মেদ খান বলেন, ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চালু জন্য যে জনবলের দরকার সেটা তো দূরের কথা ১০০ শয্যার হাসপাতাল চালানোর জনবলও সংকট রয়েছে। আপাতত বিভিন্ন উপজেলার থেকে কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্স এনে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শিগগিরই পুরোদমে চালুর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, আমরা হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর লক্ষ্যে সবধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। মূলত জনবল নিয়োগের জন্য কয়েকটি মন্ত্রণালয় জড়িত রয়েছে, তাই একটু দেরি হচ্ছে।

পর্যায়ক্রমে পুরো ২৫০ শয্যা চালুর আশ্বাস দিয়ে মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান জানান, বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংসদেও একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি শিগগিরই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারীপুরে সাড়ে তিন বছর পর চালু ২৫০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম

আপডেট সময় ০৪:২০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মাদারীপুরে হস্তান্তরের সাড়ে তিনবছর পর জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আংশিক কার্যক্রম চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ২৫০ শয্যার মধ্যে মাত্র ৫০ শয্যা চালুর উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খান।

জেলাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরলেও জনস্বার্থে দ্রুত পূর্ণাঙ্গভাবে হাসপাতালটির চালুর দাবি রোগী, স্বজন ও এলাকাবাসীর।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র বিভাগ জানায়, জেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় তিন কোটি টাকার সিটি স্ক্যান মেশিন, ডিজিটাল এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ১০টি কার্ডিয়াক মনিটরসহ কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি আনা হয় এখানে। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে লিফটের ব্যবস্থা। হাসপাতাল চালুর দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন এমনকি উচ্চ আদালতের মাধ্যমে চিঠি। কোনোকিছুই বাদ যায়নি। ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালের সাততলা ভবন সৈয়দারবালীতে নির্মাণের পর ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর স্বাস্থ্য বিভাগের হস্তান্তর করে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

এটি চালুতে সর্বশেষ ১৪ নভেম্বর উচ্চ আদালতের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল আশিক। এটি পূর্ণাঙ্গ চালু করা গেলে জেলার সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় আমল পরিবর্তন আসবে বলে প্রত্যাশা জেলাবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদি হাসান শুভ বলেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল নির্মাণ হলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না। দ্রুত এখান থেকে সবধরনের সেবা প্রত্যাশা করছি।

সাহিত্যিক ও ইতিহাস গবেষক সুবল বিশ্বাস বলেন, পুরোপুরি হাসপাতাল চালু না হলে সব ধরনের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই জেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য এটি দ্রুত চালু করা হোক।

মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মেদ খান বলেন, ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চালু জন্য যে জনবলের দরকার সেটা তো দূরের কথা ১০০ শয্যার হাসপাতাল চালানোর জনবলও সংকট রয়েছে। আপাতত বিভিন্ন উপজেলার থেকে কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্স এনে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শিগগিরই পুরোদমে চালুর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, আমরা হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর লক্ষ্যে সবধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। মূলত জনবল নিয়োগের জন্য কয়েকটি মন্ত্রণালয় জড়িত রয়েছে, তাই একটু দেরি হচ্ছে।

পর্যায়ক্রমে পুরো ২৫০ শয্যা চালুর আশ্বাস দিয়ে মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান জানান, বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংসদেও একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি শিগগিরই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।