ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ আজ Logo মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে ৩২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার Logo নারায়ণগঞ্জে ঝুটবোঝাই চলন্ত ট্রাকে আগুন, চালক আহত Logo চট্টগ্রামে খাল-নালায় ১৫ জনের মৃত্যু, তবু উদাসীন সিটি করপোরেশন ও সিডিএ Logo সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারি জমি দখল নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া Logo নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষকদল কমিটি বিলুপ্ত Logo বিয়ের কথা গোপন করে দুই বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক, লম্পট আটক Logo বন্দরে সন্ত্রাসী পিতাপুত্র গ্রেপ্তার Logo আড়াইহাজার থানার ওসির ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন Logo ৮ জন মেডিকেল শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন

মজলুমদের নেতা মওলানা ভাসানীর আজ মৃত্যুবার্ষিকী

লুঙ্গি পরা লম্বা দাড়ির এক মানুষ; কাঁধে গামছা আর মাথায় তালের টুপি নিয়ে হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের মজলুমদের অবিসংবাদিত নেতা।

কৃষিনির্ভর বাংলায় কৃষকের বেশেই সন্তোষের লাল মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী হয়ে ওঠেন মুক্তির কণ্ঠস্বর। আজ রোববার আওয়ামী মুসলিম লীগের এই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজ, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে আজ সকাল থেকেই ঢল নামবে মানুষের। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রয়াত এই নেতার মাজার জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। কয়েক দিন আগে থেকেই মওলানা ভাসানীর ভক্ত, অনুসারী ও মুরিদরা সন্তোষে এসেছেন। এদিকে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ চলছে।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। লাইন প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনসহ সারাজীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সবশেষ কীর্তি ছিল ফারাক্কা লং মার্চ।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ আজ

মজলুমদের নেতা মওলানা ভাসানীর আজ মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেট সময় ১০:০০:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

লুঙ্গি পরা লম্বা দাড়ির এক মানুষ; কাঁধে গামছা আর মাথায় তালের টুপি নিয়ে হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের মজলুমদের অবিসংবাদিত নেতা।

কৃষিনির্ভর বাংলায় কৃষকের বেশেই সন্তোষের লাল মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী হয়ে ওঠেন মুক্তির কণ্ঠস্বর। আজ রোববার আওয়ামী মুসলিম লীগের এই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজ, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে আজ সকাল থেকেই ঢল নামবে মানুষের। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রয়াত এই নেতার মাজার জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। কয়েক দিন আগে থেকেই মওলানা ভাসানীর ভক্ত, অনুসারী ও মুরিদরা সন্তোষে এসেছেন। এদিকে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ চলছে।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। লাইন প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনসহ সারাজীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সবশেষ কীর্তি ছিল ফারাক্কা লং মার্চ।