ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কপাল পোড়া ডর্টমুন্ডকে কাঁদিয়ে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল

বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের পোড়া কপাল! এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ছড়ি ঘুরালো তারা। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের টেনে ধরেছিল। প্রথমার্ধে কি সুযোগই না পেয়েছিল তারা এগিয়ে যাওয়ার, একটা নয়, তিনটি! গোল মুখ ফিরিয়ে নেয় তাদের কাছ থেকে। শেষ পর্যন্ত কাঁদতে হয় জার্মানদের। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ২-০ গোলে জিতে ১৫তম ট্রফি জিতলো রিয়াল মাদ্রিদ।

ম্যাচের আগের কয়েক দিন অনিশ্চিত থাকা থিবো কোর্তোয়া একাদশে জায়গা পেয়ে বীরোচিত সব সেভ করলেন। গোলপোস্টও বাধা হয়ে দাঁড়ালো। সব মিলিয়ে এদিন ডর্টমুন্ডের আরেক নাম দুর্ভাগা হয়ে দাঁড়ায়। ছোট গড়নের দানি কারভাহাল এতটা যে উঁচুতে উঠতে পারেন, কল্পনার বাইরে ছিল। টনি ক্রুসের কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বলের গতি বুঝে তিনি লাফিয়ে উঠলেন, কাছের পোস্ট থেকে বলের গতিপথ পাল্টে দিলেন জালের দিকে। ডর্টমুন্ড কিপার গ্রেগর কোবেলও বুঝতে পেরেছিলেন কিছুই করার নেই তার। হাতের নাগালের বাইরে দিয়ে জাল কাঁপায়। বারবার সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় গোল থেকে বেঁচে যাওয়ার আনন্দে ভাসতে থাকা সমর্থকদের আনন্দ বেড়ে দাঁড়ায় বহুগুণ।

এর কিছুক্ষণ পর ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোল ডর্টমুন্ডের ফেরার সব আশা শেষ করে দেয়। ৯ মিনিটে দুটি গোল করে রিয়াল। মূল সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে ডর্টমুন্ড একটি গোল শোধ দিলেও অফসাইডে তা বাতিল হয়। তারও আগে প্রথমার্ধে ডর্টমুন্ড ছয় মিনিটে তিনটি সুযোগ নষ্ট করে। তারই খেসারত দিতে হয়েছে কড়ায়গণ্ডায়।

২১ মিনিটে কারিম আদেমেয়ি বল পায়ে নিয়ে বক্সে ঢোকেন। দারুণ দক্ষতায় কোর্তোয়াকে বোকা বানিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যান তিনি। কিন্তু বেশি বাঁ দিকে চলে গিয়েছিলেন। তিনি খালি জাল পেলেও কারভাহাল শেষ মুহূর্তে তাকে ঠেকিয়ে দেন। দুই মিনিট পর নিকলাস ফুলক্রুগের শট কোর্তোয়াকে পরাস্ত করলেও ডানপাশের পোস্টে আঘাত করে জার্মান ক্লাবকে হতাশায় ভাসায়। ২৭তম মিনিটে ফুলক্রুগের শট দারুণভাবে সেভ করে রিয়ালকে বাঁচান কোর্তোয়া।

গোল করতে না পারলেও মাদ্রিদ ক্লাবের আত্মবিশ্বাসে কাঁপন ধরিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে ডর্টমুন্ড। ৬৩তম মিনিটে আদেমেয়ির ক্রসে ফুলক্রুগের ক্ষিপ্রগতির আরেকটি হেড ঠেকান রিয়াল কিপার। এর কিছুক্ষণ পর গোলমুখের সামনে ভাসানো ভিনিসিয়ুসের বলে জুড বেলিংহ্যাম মাথা ছোঁয়াতে না পারায় গোলমুখ খুলতে পারেনি রিয়াল। কারভাহালও নষ্ট করেন সুযোগ, তার দুর্বল শট কোবেল সহজে আটকে দেন।

 

অবশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ৭৪ মিনিটে কর্নার থেকে ক্রুসের বাড়ানো ক্রস এবং পাঁচ বছরে করা চ্যাম্পিয়নস লিগে কারভাহালের প্রথম গোল। ষষ্ঠবার ইউরোপ চ্যাম্পিয়নের পদক গলায় ঝুলানোর পথ নিজেই তৈরি করে দেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। ৮৩ মিনিটে বেলিংহ্যামের পাস ধরে ভিনিসিয়ুসের শটে গোলকিপারের হাত ছুঁয়ে বল জালে জড়ায়।

তিন মিনিট পর মাঠ ছাড়েন ক্রুস। তাকে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানান মাদ্রিদ সমর্থকরা। জার্মান মিডফিল্ডার ক্লাব ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে। কোচ কার্লো আনচেলত্তির নামের পাশে জোটে পঞ্চম চ্যাম্পিয়নশিপের মর্যাদা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

কপাল পোড়া ডর্টমুন্ডকে কাঁদিয়ে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল

আপডেট সময় ০৯:২৩:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের পোড়া কপাল! এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ছড়ি ঘুরালো তারা। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের টেনে ধরেছিল। প্রথমার্ধে কি সুযোগই না পেয়েছিল তারা এগিয়ে যাওয়ার, একটা নয়, তিনটি! গোল মুখ ফিরিয়ে নেয় তাদের কাছ থেকে। শেষ পর্যন্ত কাঁদতে হয় জার্মানদের। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ২-০ গোলে জিতে ১৫তম ট্রফি জিতলো রিয়াল মাদ্রিদ।

ম্যাচের আগের কয়েক দিন অনিশ্চিত থাকা থিবো কোর্তোয়া একাদশে জায়গা পেয়ে বীরোচিত সব সেভ করলেন। গোলপোস্টও বাধা হয়ে দাঁড়ালো। সব মিলিয়ে এদিন ডর্টমুন্ডের আরেক নাম দুর্ভাগা হয়ে দাঁড়ায়। ছোট গড়নের দানি কারভাহাল এতটা যে উঁচুতে উঠতে পারেন, কল্পনার বাইরে ছিল। টনি ক্রুসের কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বলের গতি বুঝে তিনি লাফিয়ে উঠলেন, কাছের পোস্ট থেকে বলের গতিপথ পাল্টে দিলেন জালের দিকে। ডর্টমুন্ড কিপার গ্রেগর কোবেলও বুঝতে পেরেছিলেন কিছুই করার নেই তার। হাতের নাগালের বাইরে দিয়ে জাল কাঁপায়। বারবার সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় গোল থেকে বেঁচে যাওয়ার আনন্দে ভাসতে থাকা সমর্থকদের আনন্দ বেড়ে দাঁড়ায় বহুগুণ।

এর কিছুক্ষণ পর ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোল ডর্টমুন্ডের ফেরার সব আশা শেষ করে দেয়। ৯ মিনিটে দুটি গোল করে রিয়াল। মূল সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে ডর্টমুন্ড একটি গোল শোধ দিলেও অফসাইডে তা বাতিল হয়। তারও আগে প্রথমার্ধে ডর্টমুন্ড ছয় মিনিটে তিনটি সুযোগ নষ্ট করে। তারই খেসারত দিতে হয়েছে কড়ায়গণ্ডায়।

২১ মিনিটে কারিম আদেমেয়ি বল পায়ে নিয়ে বক্সে ঢোকেন। দারুণ দক্ষতায় কোর্তোয়াকে বোকা বানিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যান তিনি। কিন্তু বেশি বাঁ দিকে চলে গিয়েছিলেন। তিনি খালি জাল পেলেও কারভাহাল শেষ মুহূর্তে তাকে ঠেকিয়ে দেন। দুই মিনিট পর নিকলাস ফুলক্রুগের শট কোর্তোয়াকে পরাস্ত করলেও ডানপাশের পোস্টে আঘাত করে জার্মান ক্লাবকে হতাশায় ভাসায়। ২৭তম মিনিটে ফুলক্রুগের শট দারুণভাবে সেভ করে রিয়ালকে বাঁচান কোর্তোয়া।

গোল করতে না পারলেও মাদ্রিদ ক্লাবের আত্মবিশ্বাসে কাঁপন ধরিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে ডর্টমুন্ড। ৬৩তম মিনিটে আদেমেয়ির ক্রসে ফুলক্রুগের ক্ষিপ্রগতির আরেকটি হেড ঠেকান রিয়াল কিপার। এর কিছুক্ষণ পর গোলমুখের সামনে ভাসানো ভিনিসিয়ুসের বলে জুড বেলিংহ্যাম মাথা ছোঁয়াতে না পারায় গোলমুখ খুলতে পারেনি রিয়াল। কারভাহালও নষ্ট করেন সুযোগ, তার দুর্বল শট কোবেল সহজে আটকে দেন।

 

অবশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ৭৪ মিনিটে কর্নার থেকে ক্রুসের বাড়ানো ক্রস এবং পাঁচ বছরে করা চ্যাম্পিয়নস লিগে কারভাহালের প্রথম গোল। ষষ্ঠবার ইউরোপ চ্যাম্পিয়নের পদক গলায় ঝুলানোর পথ নিজেই তৈরি করে দেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। ৮৩ মিনিটে বেলিংহ্যামের পাস ধরে ভিনিসিয়ুসের শটে গোলকিপারের হাত ছুঁয়ে বল জালে জড়ায়।

তিন মিনিট পর মাঠ ছাড়েন ক্রুস। তাকে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানান মাদ্রিদ সমর্থকরা। জার্মান মিডফিল্ডার ক্লাব ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে। কোচ কার্লো আনচেলত্তির নামের পাশে জোটে পঞ্চম চ্যাম্পিয়নশিপের মর্যাদা।