ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির পুরোটাই মিথ্যা —মির্জা ফখরুল

সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যে প্রতিশ্রুতি দেয় তা পুরোপুরি মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা এখন সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে, বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। মূলত ওয়াকওভার নিয়ে আবার সরকার গঠন করার জন্যই তারা এমন করছে।’

 

গতকাল বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে গণঅধিকার পরিষদের এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য বিএনপি প্রত্যাখ্যান করেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‌তারা (সরকার) আবার বলতে শুরু করেছে এবং জোরেশোরে চিৎকার করে বলছে যে আমরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করব, সেভাবেই নির্বাচন হবে এবং সেটা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। কিছুক্ষণ আগে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করে একই কথা বলেছেন। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা দিয়ে মানুষকে প্রতারণা করা, তাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করা এবং খালি মাঠে আমরা যেটাকে বলি ওয়াকওভার নিয়ে আবার সরকার গঠন করা।

এটা করার ব্যাপারে বাধা এসেছে। কোত্থেকে এসেছে? পশ্চিমা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাধা দিয়েছে। বলেছে, ওই ধরনের ওয়াকওভার মার্কা নির্বাচন চলবে না। এবার একটা সুষ্ঠু, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে। আমরা বলেছি, ওই নির্বাচন হতে হলে হাসিনার অধীনে হবে না, সম্ভব নয়। সুতরাং আমাদের একটাই কথা, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।’

বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা-হামলার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‌আপনারা বারবার বলেন যে নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ হবে, নিরপেক্ষ হবে। যদি আপনি পেছন দিকে তাকিয়ে দেখেন গত ১৫ বছরে বিরোধী দল তথা বিএনপির ৪৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন, আপনারা ছয় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করে দিয়েছেন, হাজার হাজার মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করেছেন এবং পত্রপত্রিকায় এখন বেরিয়ে এসেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যত মামলা। আমাদের সাইফুল ইসলাম নিরবের বিরুদ্ধে সাড়ে পাঁচশ মামলা, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে তিনশ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে আছে প্রায় চারশ। এ রকম সব নেতার বিরুদ্ধে এমনকি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টা মামলা, আমার বিরুদ্ধে আছে ৯৮টা। এ রকম সব নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা আছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‌এত বছর তারা এ মামলাগুলো ফেলে রেখেছিল। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, এখন তারা অতি দ্রুত মামলাগুলো নিষ্পত্তি করে বিরোধীদলীয় নেতাদের সাজা দেয়ার জন্য স্পেশাল সেল তৈরি করেছে। তারা ম্যাজিস্ট্রেট-বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছে—বিচার দুই মাসের মধ্যে শেষ করো। পরিষ্কার বলেছে, যেগুলোর চার্জশিট হয়নি, সেগুলোর চার্জশিট করো অতি দ্রুত। এগুলোর নাম হচ্ছে তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আমরা ঐক্য গঠন করেছি। যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এ সরকারকে পরিষ্কার করে এক দফা দাবি জানিয়েছি। এক দফা দাবিতে কোনোমতে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হতে পারে না, তাকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। বশংবদ চাটুকার নির্বাচন কমিশনকে বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে।’

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে, তারা এমন কথা বলছে যা মুখে আনা যায় না। অশালীন অরুচিকর কথা। এটা পরিষ্কার আপনি যে তার মৃত্যু চান, তাকে হত্যা করতে চান। আপনার কথায় এটা পরিষ্কার যে আর কত বাঁচবে? বাঁচানোর মালিক আল্লাহ, মান দেয়ার মালিক আল্লাহ। পরিষ্কার করে বলতে চাই, এবার আপনাকেও গুনতে হবে। আপনি কতদিন টিকে থাকবেন এ ক্ষমতায়। জনগণ আপনাকে টেনেহিঁচড়ে নামাবে।’

নির্বাচন উপলক্ষে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা সবসময় সংবিধান অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তার এ কথা যে পুরোটাই মিথ্যা তার বড় প্রমাণ ২০১৮ সালের নির্বাচন। ওই নির্বাচনের আগে তিনি দেশবাসীর সামনে বলেছিলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। অথচ আমরা দেখলাম আগের দিন রাতে ভোট হয়ে গেল। আর ২০১৪ সালে কেমন ভোট হয়েছে তাও আমরা দেখেছি। ওই নির্বাচনে আমরা যাইনি। আবারো শেখ হাসিনা একটি ভোটারবিহীন পাতানো নির্বাচন করতে চান। সে লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তিনি। কিন্তু এবার দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় না রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মানুষ এখন সব ভয়কে জয় করতে রাজপথমুখী।’

গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোড মোড়ে ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার’ প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের সঞ্চালনায় সংহতি সমাবেশে বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, রিপাবলিকান পার্টির কেএম আবু হানিফ, সম্মিলিত শ্রমিক অধিকার পরিষদের এএম ফয়েজ উদ্দিন, গণঅধিকার পরিষদের সাইদুজ্জামান খান, হানিফ খান প্রদীপ, আবদুর জাহের, ফাতেমা জেসমিন, নূরে ইফাত সিদ্দিকী, আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আবদুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের আরিফুল হক প্রমুখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগের সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির পুরোটাই মিথ্যা —মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৯:৪০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যে প্রতিশ্রুতি দেয় তা পুরোপুরি মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা এখন সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে, বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। মূলত ওয়াকওভার নিয়ে আবার সরকার গঠন করার জন্যই তারা এমন করছে।’

 

গতকাল বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে গণঅধিকার পরিষদের এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য বিএনপি প্রত্যাখ্যান করেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‌তারা (সরকার) আবার বলতে শুরু করেছে এবং জোরেশোরে চিৎকার করে বলছে যে আমরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করব, সেভাবেই নির্বাচন হবে এবং সেটা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। কিছুক্ষণ আগে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করে একই কথা বলেছেন। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা দিয়ে মানুষকে প্রতারণা করা, তাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করা এবং খালি মাঠে আমরা যেটাকে বলি ওয়াকওভার নিয়ে আবার সরকার গঠন করা।

এটা করার ব্যাপারে বাধা এসেছে। কোত্থেকে এসেছে? পশ্চিমা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাধা দিয়েছে। বলেছে, ওই ধরনের ওয়াকওভার মার্কা নির্বাচন চলবে না। এবার একটা সুষ্ঠু, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে। আমরা বলেছি, ওই নির্বাচন হতে হলে হাসিনার অধীনে হবে না, সম্ভব নয়। সুতরাং আমাদের একটাই কথা, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।’

বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা-হামলার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‌আপনারা বারবার বলেন যে নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ হবে, নিরপেক্ষ হবে। যদি আপনি পেছন দিকে তাকিয়ে দেখেন গত ১৫ বছরে বিরোধী দল তথা বিএনপির ৪৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন, আপনারা ছয় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করে দিয়েছেন, হাজার হাজার মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করেছেন এবং পত্রপত্রিকায় এখন বেরিয়ে এসেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যত মামলা। আমাদের সাইফুল ইসলাম নিরবের বিরুদ্ধে সাড়ে পাঁচশ মামলা, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে তিনশ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে আছে প্রায় চারশ। এ রকম সব নেতার বিরুদ্ধে এমনকি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টা মামলা, আমার বিরুদ্ধে আছে ৯৮টা। এ রকম সব নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা আছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‌এত বছর তারা এ মামলাগুলো ফেলে রেখেছিল। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, এখন তারা অতি দ্রুত মামলাগুলো নিষ্পত্তি করে বিরোধীদলীয় নেতাদের সাজা দেয়ার জন্য স্পেশাল সেল তৈরি করেছে। তারা ম্যাজিস্ট্রেট-বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছে—বিচার দুই মাসের মধ্যে শেষ করো। পরিষ্কার বলেছে, যেগুলোর চার্জশিট হয়নি, সেগুলোর চার্জশিট করো অতি দ্রুত। এগুলোর নাম হচ্ছে তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আমরা ঐক্য গঠন করেছি। যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এ সরকারকে পরিষ্কার করে এক দফা দাবি জানিয়েছি। এক দফা দাবিতে কোনোমতে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হতে পারে না, তাকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। বশংবদ চাটুকার নির্বাচন কমিশনকে বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে।’

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে, তারা এমন কথা বলছে যা মুখে আনা যায় না। অশালীন অরুচিকর কথা। এটা পরিষ্কার আপনি যে তার মৃত্যু চান, তাকে হত্যা করতে চান। আপনার কথায় এটা পরিষ্কার যে আর কত বাঁচবে? বাঁচানোর মালিক আল্লাহ, মান দেয়ার মালিক আল্লাহ। পরিষ্কার করে বলতে চাই, এবার আপনাকেও গুনতে হবে। আপনি কতদিন টিকে থাকবেন এ ক্ষমতায়। জনগণ আপনাকে টেনেহিঁচড়ে নামাবে।’

নির্বাচন উপলক্ষে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা সবসময় সংবিধান অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তার এ কথা যে পুরোটাই মিথ্যা তার বড় প্রমাণ ২০১৮ সালের নির্বাচন। ওই নির্বাচনের আগে তিনি দেশবাসীর সামনে বলেছিলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। অথচ আমরা দেখলাম আগের দিন রাতে ভোট হয়ে গেল। আর ২০১৪ সালে কেমন ভোট হয়েছে তাও আমরা দেখেছি। ওই নির্বাচনে আমরা যাইনি। আবারো শেখ হাসিনা একটি ভোটারবিহীন পাতানো নির্বাচন করতে চান। সে লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তিনি। কিন্তু এবার দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় না রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মানুষ এখন সব ভয়কে জয় করতে রাজপথমুখী।’

গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোড মোড়ে ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার’ প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের সঞ্চালনায় সংহতি সমাবেশে বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, রিপাবলিকান পার্টির কেএম আবু হানিফ, সম্মিলিত শ্রমিক অধিকার পরিষদের এএম ফয়েজ উদ্দিন, গণঅধিকার পরিষদের সাইদুজ্জামান খান, হানিফ খান প্রদীপ, আবদুর জাহের, ফাতেমা জেসমিন, নূরে ইফাত সিদ্দিকী, আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আবদুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের আরিফুল হক প্রমুখ।