ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সংকটে পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে সশস্ত্র বাহিনী: প্রধানমন্ত্রী Logo পুলিশ-সাংবাদিক-আইনজীবী স্টিকারের ছড়াছড়ি, ব্যবস্থা নিতে মাঠে নেমেছে পুলিশ Logo এমপি স্ত্রীকে হারিয়ে ৬ ভোটে স্কুল কমিটির সভাপতি বদি Logo লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা Logo নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩ Logo সোনারগাঁয়ে ডিবি’র হাতে ‘টাইগার মোমেন’ গ্রেপ্তার Logo রূপগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাবিবুর রহমানের গণসংযোগ Logo মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী Logo গণতান্ত্রিক বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে : ওবায়দুল কাদের Logo জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেট

থমথমে থানচি, চাপা আতঙ্কে স্থানীয়রা

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। গোলাগুলির কারণে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে। কখন কী হয় সে চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটছে থানচিবাসীর।

পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিস্থিতি কখন কী হয় বোঝা যাচ্ছে না। আমরা কখনো ভাবিনি এমন পরিস্থিরি শিকার হতে হবে।পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা থানচি ব্রিজের কাছে চেকপোস্টে হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি থানচি বাজার, হাসপাতালের পেছনে,পুলিশ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়ও হামলা চালিয়েছে তারা। ভয় আর আতঙ্কে আমরা নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ভেতরে বসেছিলাম। অনেকেই যে যেখানে আছেন সেখান থেকে রাস্তায় বের হচ্ছেন না। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।

গোলাগুলির বিষয়ে থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই হ্লা মং মারমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গোলাগুলির শব্দে ভয়ে ছিলাম। এমন পরিস্থিতি আগে কখনো হয়নি। আমি বাজারে ছিলাম, বাজারের পেছনে খুবই গোলাগুলি হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা দোকানপাঠ বন্ধ করে যে যার মতো নিরাপদে চলে গেছে। তবে কারা হামলা করেছে এ ব্যাপারে জানি না। সকলে কুকি চিন সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে বলে আমাকে জানিয়েছেন। তবে এখনও পরিস্থিতি থমথমে।

এ বিষয়ে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই শান্ত। সন্ত্রাসীরা বড় ধরনের পরিকল্পনা করে বাজার ও পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়েছিল। পুলিশ, বিজিবি তাদের প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের চেয়ে আরও অধিক সংখ্যক পুলিশ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নিয়োজিত আছে। বর্তমানে পুলিশ ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

এছাড়াও সংর্ষের ঘটনায় আতঙ্কে ছোটাছুটি করে নিরাপদে আশ্রয় নিতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থানচি বাজার, হাসপাতালের পেছনে,পুলিশ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের ব্যাপক গোলাগুলি ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, সন্ত্রাসীরা বড় ধরনের নাশকতার উদ্দেশ্যে থানায় হামলা চালাতে পারে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সংকটে পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে সশস্ত্র বাহিনী: প্রধানমন্ত্রী

থমথমে থানচি, চাপা আতঙ্কে স্থানীয়রা

আপডেট সময় ০৪:২৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। গোলাগুলির কারণে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে। কখন কী হয় সে চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটছে থানচিবাসীর।

পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিস্থিতি কখন কী হয় বোঝা যাচ্ছে না। আমরা কখনো ভাবিনি এমন পরিস্থিরি শিকার হতে হবে।পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা থানচি ব্রিজের কাছে চেকপোস্টে হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি থানচি বাজার, হাসপাতালের পেছনে,পুলিশ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়ও হামলা চালিয়েছে তারা। ভয় আর আতঙ্কে আমরা নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ভেতরে বসেছিলাম। অনেকেই যে যেখানে আছেন সেখান থেকে রাস্তায় বের হচ্ছেন না। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।

গোলাগুলির বিষয়ে থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই হ্লা মং মারমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গোলাগুলির শব্দে ভয়ে ছিলাম। এমন পরিস্থিতি আগে কখনো হয়নি। আমি বাজারে ছিলাম, বাজারের পেছনে খুবই গোলাগুলি হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা দোকানপাঠ বন্ধ করে যে যার মতো নিরাপদে চলে গেছে। তবে কারা হামলা করেছে এ ব্যাপারে জানি না। সকলে কুকি চিন সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে বলে আমাকে জানিয়েছেন। তবে এখনও পরিস্থিতি থমথমে।

এ বিষয়ে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই শান্ত। সন্ত্রাসীরা বড় ধরনের পরিকল্পনা করে বাজার ও পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়েছিল। পুলিশ, বিজিবি তাদের প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের চেয়ে আরও অধিক সংখ্যক পুলিশ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নিয়োজিত আছে। বর্তমানে পুলিশ ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

এছাড়াও সংর্ষের ঘটনায় আতঙ্কে ছোটাছুটি করে নিরাপদে আশ্রয় নিতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থানচি বাজার, হাসপাতালের পেছনে,পুলিশ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের ব্যাপক গোলাগুলি ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, সন্ত্রাসীরা বড় ধরনের নাশকতার উদ্দেশ্যে থানায় হামলা চালাতে পারে।