ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে জানান কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা Logo সোনারগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠন Logo সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন Logo মাকসুদ চেয়ারম্যানকে বন্দরের মাটিতে নির্বাচন করতে দিবো না : সাখাওয়াত Logo সাংবাদিক জিএম শহীদের অকাল মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রূপগঞ্জ সকল সাংবাদিকবৃন্দ Logo শহরে জেলা নৌ-যান শ্রমিক কর্মচারী দলের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জুলাই সনদ ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করতে হবে – মমিনুল হক সরকার Logo শাসনগাও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল জুতা ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ Logo ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রাস্তা নয় যেন মরণ ফাঁদ Logo সন্ত্রাসের পুনর্বাসন ও ভয়ের সংস্কৃতি রাজনীতি: একটি জাতীয় সংকট

মক্কায় প্রিয়নবী সা.-এর ইসলাম প্রচারে বাধা সৃষ্টি করতো যারা

মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা.-এর জন্ম বেড়ে ওঠা মক্কায়। এখানেই কেটেছে তার শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য ও যৌবনের সময়কাল। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন ধীরস্থীর, শান্ত বালক। অন্যদের মাঝে কিছুটা ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের।
অন্য শিশুদের মতো দুষ্টামি, দুরন্তপনা তাঁর মাঝে ছিল না। ঝগড়া-বিবাদে জড়ানোর মতো স্বভাবও ছিল তাঁর। শান্ত স্বভাবের মুহাম্মদের জন্য সবার মনে ছিল ভালোবাসা। মক্কার মানুষ তাঁকে ভালোবেসে আল-আমীন উপাধি দিয়েছিল। তাঁর কোনো কথা কেউ অবিশ্বাস করতো না, বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে নিতো।

এমন বিশ্বাসী ও সবার ভালোবাসার একজন যখন সবাইকে এক আল্লাহর পথে আহ্বান করলেন তখন সবাই তাঁর বিরোধীতা করলো। কেউ তাঁকে নবী হিসেবে মেনে নিতে রাজি হলো না।

নবী মুহাম্মদ সা.-কে অমান্য ও বিরোধিতার কাজটা শুরু করেছিলেন সর্বপ্রথম তাঁর চাচা আবু লাহাব। নবীজি যখন সবাইকে বললেন, আমি তোমাদেরকে এক রবের ইবাদত করার ও তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক না করার আহ্বান জানাচ্ছি, তখন আবু লাহাবই সবার আগে বিরোধিতা করে বলে উঠলো, ধ্বংস হও তুমি মুহাম্মদ, এই অনর্থক কথা শোনানোর জন্য তুমি আমাদেরকে এখানে ডেকেছো!

এভাবে বিরোধিতায় বন্ধ ছিল না আবু লাহাবের কার্যক্রম। তার নেতৃত্বে শুরু হয় মুহাম্মদ সা., ইসলাম ও মুসলমানদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন। এ কাজে আবু লাহাবকে সহযোগিতা করে মক্কার আরও অনেকে।

মক্কায় প্রিয়নবী সা.-কে ইসলাম প্রচারের কাজে সব থেকে বেশি বাধা প্রদান করেছে এখানে এমন কয়েকজনের নাম তুলে ধরা হলো—

১. আবু জাহল ইবনে হিশাম।
২. আবু লাহাব ইবনে আব্দুল মুত্তালিব।
৩. আসওয়াদ ইবনে আবদে ইয়াগুস।
৪. হারিস ইবনে কায়েস।

৫. ওলীদ ইবনে মুগীরা।
৬. উমায়্যা ইবনে খালফ।
৭.উবাই ইবনে খালফ।
৮. আবু কাফস ইবনে ফাকাহ।

৯. আস ইবনে ওয়ায়েল।
১০.নাজর ইবনে হারিস।
১১. মানবা ইবনে হাজ্জাজ।
১২. যুহায়র ইবনে আবু উমায়্যা।

১৩. সাইব ইবনে সায়ফী।
১৪. আসওয়াদ ইবনে আবদুল আসওয়াদ।
১৫. আস ইবনে সাঈদ।
১৬. আস ইবনে হাশিম।

১৭. উকবা ইবনে আবু মুয়াইত।
১৮. ইবনুল আসদী।
১৯. হাকাম ইবনে আস।
২০. আদী ইবনে হামরা।

(সীরাতে মুস্তাফা সা. ১/১৪৩)

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে জানান কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা

মক্কায় প্রিয়নবী সা.-এর ইসলাম প্রচারে বাধা সৃষ্টি করতো যারা

আপডেট সময় ১০:২৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা.-এর জন্ম বেড়ে ওঠা মক্কায়। এখানেই কেটেছে তার শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য ও যৌবনের সময়কাল। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন ধীরস্থীর, শান্ত বালক। অন্যদের মাঝে কিছুটা ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের।
অন্য শিশুদের মতো দুষ্টামি, দুরন্তপনা তাঁর মাঝে ছিল না। ঝগড়া-বিবাদে জড়ানোর মতো স্বভাবও ছিল তাঁর। শান্ত স্বভাবের মুহাম্মদের জন্য সবার মনে ছিল ভালোবাসা। মক্কার মানুষ তাঁকে ভালোবেসে আল-আমীন উপাধি দিয়েছিল। তাঁর কোনো কথা কেউ অবিশ্বাস করতো না, বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে নিতো।

এমন বিশ্বাসী ও সবার ভালোবাসার একজন যখন সবাইকে এক আল্লাহর পথে আহ্বান করলেন তখন সবাই তাঁর বিরোধীতা করলো। কেউ তাঁকে নবী হিসেবে মেনে নিতে রাজি হলো না।

নবী মুহাম্মদ সা.-কে অমান্য ও বিরোধিতার কাজটা শুরু করেছিলেন সর্বপ্রথম তাঁর চাচা আবু লাহাব। নবীজি যখন সবাইকে বললেন, আমি তোমাদেরকে এক রবের ইবাদত করার ও তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক না করার আহ্বান জানাচ্ছি, তখন আবু লাহাবই সবার আগে বিরোধিতা করে বলে উঠলো, ধ্বংস হও তুমি মুহাম্মদ, এই অনর্থক কথা শোনানোর জন্য তুমি আমাদেরকে এখানে ডেকেছো!

এভাবে বিরোধিতায় বন্ধ ছিল না আবু লাহাবের কার্যক্রম। তার নেতৃত্বে শুরু হয় মুহাম্মদ সা., ইসলাম ও মুসলমানদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন। এ কাজে আবু লাহাবকে সহযোগিতা করে মক্কার আরও অনেকে।

মক্কায় প্রিয়নবী সা.-কে ইসলাম প্রচারের কাজে সব থেকে বেশি বাধা প্রদান করেছে এখানে এমন কয়েকজনের নাম তুলে ধরা হলো—

১. আবু জাহল ইবনে হিশাম।
২. আবু লাহাব ইবনে আব্দুল মুত্তালিব।
৩. আসওয়াদ ইবনে আবদে ইয়াগুস।
৪. হারিস ইবনে কায়েস।

৫. ওলীদ ইবনে মুগীরা।
৬. উমায়্যা ইবনে খালফ।
৭.উবাই ইবনে খালফ।
৮. আবু কাফস ইবনে ফাকাহ।

৯. আস ইবনে ওয়ায়েল।
১০.নাজর ইবনে হারিস।
১১. মানবা ইবনে হাজ্জাজ।
১২. যুহায়র ইবনে আবু উমায়্যা।

১৩. সাইব ইবনে সায়ফী।
১৪. আসওয়াদ ইবনে আবদুল আসওয়াদ।
১৫. আস ইবনে সাঈদ।
১৬. আস ইবনে হাশিম।

১৭. উকবা ইবনে আবু মুয়াইত।
১৮. ইবনুল আসদী।
১৯. হাকাম ইবনে আস।
২০. আদী ইবনে হামরা।

(সীরাতে মুস্তাফা সা. ১/১৪৩)