ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি

টানা বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সুনামগঞ্জের প্রধান নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে খুব দ্রুত গতিতে। এছাড়া, যাদুকাটা ও ধোপজান নদীতেও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার রাত ৯টা থেকে আজ শনিবার (১৭ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে সুরমা নদীতে। ভারতের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। জেলার তাহিরপুর উপজেলার শক্তিয়ার খোলা এলাকার এক কিলোমিটার সড়ক যাদুকাটা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলেও জানান তারা। বর্তমানে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই নদীর পানি ছাতক উপজেলায় বিপৎসীমার মাত্র ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি সূত্র।

 

আজ ভোর থেকে সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শ্রমিক, রিকশা চালক, জেলেসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অধিকাংশ মানুষ বাড়িতে বসেই বেকার সময় পাড় করছেন।

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের লঞ্চঘাট এলাকার রিকশা চালক মোহাম্মদ আল হাবিব রাইজিংবিডিকে বলেন, ভোর থেকেই খুব বৃষ্টি হচ্ছে। রিকশা নিয়ে বসে আছি। বৃষ্টির জন্য অনেকেই বাসা থেকে বের হতে পারছেন না। গত তিনদিন থেকেই আমাদের এই অবস্থা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনো মত আছি।

সুরমা নদীর তীরে দুই মেয়ে এক ছেলেকে নিয়ে ঝুঁকিতে দিন কাটছে আব্দুল্লাহ মিয়ার। তিনি বলেন ‘নদীর পাড়ে সন্তানদের নিয়ে আমি থাকি। নদীর পানি বাড়ায় এখন রাতে ঘুম হয় না। মাথায় শুধু এই চিন্তা চলে কখন যে গতবারের মতো বন্যা সব ডুবিয়ে দেয়।’

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা বলেন, সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আরও দুদিন ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। বড় বন্যার তেমন আশঙ্কা নেই। জেলার নিচু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি

আপডেট সময় ০৪:১৮:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

টানা বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সুনামগঞ্জের প্রধান নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে খুব দ্রুত গতিতে। এছাড়া, যাদুকাটা ও ধোপজান নদীতেও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার রাত ৯টা থেকে আজ শনিবার (১৭ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে সুরমা নদীতে। ভারতের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। জেলার তাহিরপুর উপজেলার শক্তিয়ার খোলা এলাকার এক কিলোমিটার সড়ক যাদুকাটা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলেও জানান তারা। বর্তমানে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই নদীর পানি ছাতক উপজেলায় বিপৎসীমার মাত্র ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি সূত্র।

 

আজ ভোর থেকে সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শ্রমিক, রিকশা চালক, জেলেসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অধিকাংশ মানুষ বাড়িতে বসেই বেকার সময় পাড় করছেন।

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের লঞ্চঘাট এলাকার রিকশা চালক মোহাম্মদ আল হাবিব রাইজিংবিডিকে বলেন, ভোর থেকেই খুব বৃষ্টি হচ্ছে। রিকশা নিয়ে বসে আছি। বৃষ্টির জন্য অনেকেই বাসা থেকে বের হতে পারছেন না। গত তিনদিন থেকেই আমাদের এই অবস্থা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনো মত আছি।

সুরমা নদীর তীরে দুই মেয়ে এক ছেলেকে নিয়ে ঝুঁকিতে দিন কাটছে আব্দুল্লাহ মিয়ার। তিনি বলেন ‘নদীর পাড়ে সন্তানদের নিয়ে আমি থাকি। নদীর পানি বাড়ায় এখন রাতে ঘুম হয় না। মাথায় শুধু এই চিন্তা চলে কখন যে গতবারের মতো বন্যা সব ডুবিয়ে দেয়।’

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা বলেন, সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আরও দুদিন ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। বড় বন্যার তেমন আশঙ্কা নেই। জেলার নিচু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।