ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে আবারো বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব বেলা সোয়া একটার দিকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে গিয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন। পিটার হাসের আমন্ত্রণে মির্জা ফখরুল ইসলাম গিয়েছিলেন এবং এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে তিনি একাই ছিলেন বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল বিএনপির মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে তাঁর সঙ্গে বিএনপির আরও দুজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, সে ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকার যেহেতু নির্বাচনী প্রক্রিয়াসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে, সে প্রেক্ষাপটে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে এই ভিসা নীতি দিতে হয়েছে বলে আমরা মনে করি। আমাদের এ অবস্থানই পিটার হাসের কাছে তুলে ধরেছি।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচনসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বিএনপির বক্তব্য জানতে চান বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না বলে তাঁরা মনে করেন। এ বক্তব্যই তিনি তুলে ধরেন পিটার হাসের কাছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি পিটার হাসকে জানান যে, নতুন মার্কিন ভিসানীতি বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক। সরকার ও রাষ্ট্রযন্ত্রের অপকর্ম ও অপশাসনের কারণে এমনটি হয়েছে। তবে দেশের মানুষ একে স্বাগত জানিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি