ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ইসরায়েলে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের দুঃসংবাদ দিলো মার্কিন দূতাবাস Logo গৌরী খানের রেস্টুরেন্টে রয়েছে গোপন দরজা! Logo বিগ ব্যাশের ড্রাফটে ১১ জন বাংলাদেশি, রিটেনশনের তালিকায় রিশাদ Logo চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে Logo ফতুল্লায় জুস ফ্যাক্টরিতে যৌথবাহিনীর অভিযান, লাখ টাকা জরিমানা Logo মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র ও ফুলবাগান Logo স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুন হত্যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য : আসামির গোপনাঙ্গে শক দিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়ানোর চেষ্টা করে এস আই শামীম ! Logo সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী দোসররা বিএনপিতে বন্ধ হচ্ছে না অনুপ্রবেশ Logo ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের পাল্টা অভিযোগ Logo শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুন হত্যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য : আসামির গোপনাঙ্গে শক দিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়ানোর চেষ্টা করে এস আই শামীম !

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন হোসাইনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে মো. জুয়েল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে শারীরিক নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলাটি ভিন্ন খাতে নেওয়া ও অন্যদের ফাঁসানোর চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে। তবে জামিনে মুক্তি পেয়ে জুয়েল এ ঘটনা পুলিশ কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।

এ ঘটনায় সোমবার (১৬ জুন) নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে নির্যাতনের শিকার হওয়া মো. জুয়েল।

অভিযুক্ত হলেন-ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) শামীম হোসেন। অভিযোগকারী হলেন- মো. জুয়েল পেশায় ট্রাক চালক।

লিখিত অভিযোগে মো. জুয়েল বলেন, আমি একজন পেশায় ট্রাক চালক। গত ১৬ মার্চ আমি আমার বোনের বাড়ি শরীয়তপুর বেড়াতে গেলে ফতুল্লা থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) শামীম হোসেন মামুন হত্যাকাণ্ডের (মামলা নং- ৯(২)২৫) ঘটনায় আমাকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। পথিমধ্যে গাড়িতে আমাকে লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে এবং মামুন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে এ বিষয়ে ‘আমি কিছু জানিনা’ বললে সে আমার ওপর শারিরীক নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে আমাকে থানায় নিয়ে হাত-পা বেঁধে ফের মারধর করে এবং আমার চেহারায় মরিচের গুরো দিয়ে দেয়। এমনকি তিনি আমার পুরুষাঙ্গে বিদ্যুতিক শক দিয়ে আমাকে আদালতে বলতে বলে, ‘আক্তার ও সুমন আমাকে দিয়ে এ হত্যার কাজ করিয়েছে।’ কিন্তু আমি এ কাজ করতে রাজি হইনি এবং আক্তার-সুমনকে চিনিনা। তাছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথেও জড়িত নই।

এদিকে ফতুল্লা থানা পুলিশের হেফাজতে থাকার পরও রিয়াদ চৌধুরীর নির্দেশে বিশেষ পেশার পরিচয় দানকারী নিয়াজ মাসুম নামে এক ব্যক্তি আমার সামনে এস আই শামীমকে টাকা দিয়ে আমাকে মারধর করায়। এ সময় মারধর করে আমাকে এস আই শামীম বলে, ‘আদালতে আক্তার-সুমনের নাম না বললে আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে বলে হুমকি দেয়।’ পরে আমাকে আদালতে পাঠালে শারীরিক নির্যাতনের বক্তব্য মুখে শুনে রিমান্ড বাতিল করে আদালত।

এর পর আমি জামিনে বের হয়ে এসে বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাই ফতুল্লার রিয়াদ মো. চৌধুরী ও বিশেষ পেশার পরিচয়দানকারী পুলিশের সোর্স নিয়াজ মাসুম তাদের কন্ট্রাক্ট কিলার দিয়ে পরিকল্পিতভাবে মামুনকে হত্যা করে। তাদের দুজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হবে। এছাড়া এস আই শামীম বাদীকে ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন নিরিহ মানুষকে আসামি করে মামলা বাণিজ্য করে আসছে।

জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ফতুল্লায় রেললাইনের ওপর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন হোসাইনকে (৪০) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার একদিন পর নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় মো. জুয়েলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করে ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) শামীম হোসেন ভয়েস অব নারায়ণগঞ্জকে বলেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ। তাকে কেউ নির্যাতন করেনি। হত্যা ঘটনার এই মামলার এখনো চার্জশীট হয়নি।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের দুঃসংবাদ দিলো মার্কিন দূতাবাস

স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুন হত্যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য : আসামির গোপনাঙ্গে শক দিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়ানোর চেষ্টা করে এস আই শামীম !

আপডেট সময় ০১:৪১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন হোসাইনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে মো. জুয়েল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে শারীরিক নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলাটি ভিন্ন খাতে নেওয়া ও অন্যদের ফাঁসানোর চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে। তবে জামিনে মুক্তি পেয়ে জুয়েল এ ঘটনা পুলিশ কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।

এ ঘটনায় সোমবার (১৬ জুন) নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে নির্যাতনের শিকার হওয়া মো. জুয়েল।

অভিযুক্ত হলেন-ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) শামীম হোসেন। অভিযোগকারী হলেন- মো. জুয়েল পেশায় ট্রাক চালক।

লিখিত অভিযোগে মো. জুয়েল বলেন, আমি একজন পেশায় ট্রাক চালক। গত ১৬ মার্চ আমি আমার বোনের বাড়ি শরীয়তপুর বেড়াতে গেলে ফতুল্লা থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) শামীম হোসেন মামুন হত্যাকাণ্ডের (মামলা নং- ৯(২)২৫) ঘটনায় আমাকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। পথিমধ্যে গাড়িতে আমাকে লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে এবং মামুন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে এ বিষয়ে ‘আমি কিছু জানিনা’ বললে সে আমার ওপর শারিরীক নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে আমাকে থানায় নিয়ে হাত-পা বেঁধে ফের মারধর করে এবং আমার চেহারায় মরিচের গুরো দিয়ে দেয়। এমনকি তিনি আমার পুরুষাঙ্গে বিদ্যুতিক শক দিয়ে আমাকে আদালতে বলতে বলে, ‘আক্তার ও সুমন আমাকে দিয়ে এ হত্যার কাজ করিয়েছে।’ কিন্তু আমি এ কাজ করতে রাজি হইনি এবং আক্তার-সুমনকে চিনিনা। তাছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথেও জড়িত নই।

এদিকে ফতুল্লা থানা পুলিশের হেফাজতে থাকার পরও রিয়াদ চৌধুরীর নির্দেশে বিশেষ পেশার পরিচয় দানকারী নিয়াজ মাসুম নামে এক ব্যক্তি আমার সামনে এস আই শামীমকে টাকা দিয়ে আমাকে মারধর করায়। এ সময় মারধর করে আমাকে এস আই শামীম বলে, ‘আদালতে আক্তার-সুমনের নাম না বললে আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে বলে হুমকি দেয়।’ পরে আমাকে আদালতে পাঠালে শারীরিক নির্যাতনের বক্তব্য মুখে শুনে রিমান্ড বাতিল করে আদালত।

এর পর আমি জামিনে বের হয়ে এসে বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাই ফতুল্লার রিয়াদ মো. চৌধুরী ও বিশেষ পেশার পরিচয়দানকারী পুলিশের সোর্স নিয়াজ মাসুম তাদের কন্ট্রাক্ট কিলার দিয়ে পরিকল্পিতভাবে মামুনকে হত্যা করে। তাদের দুজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হবে। এছাড়া এস আই শামীম বাদীকে ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন নিরিহ মানুষকে আসামি করে মামলা বাণিজ্য করে আসছে।

জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ফতুল্লায় রেললাইনের ওপর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন হোসাইনকে (৪০) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার একদিন পর নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় মো. জুয়েলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করে ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) শামীম হোসেন ভয়েস অব নারায়ণগঞ্জকে বলেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ। তাকে কেউ নির্যাতন করেনি। হত্যা ঘটনার এই মামলার এখনো চার্জশীট হয়নি।