সোনারগাঁ উপজেলার পঞ্চমী ঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন,একই বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষিকা বিলকিস আক্তার এর অনৈতিক অযৌক্তিক দাবি পূরণ না হওয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়েবিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক এর নামে অপপ্রচার সহ অন্যান্য শিক্ষকদের নামে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যে কাল্পনিক অভিযোগ দিয়ে হয়রানি সহ বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার পায়তারা করিতেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান তিনি অত্রবিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্ব থেকেই উক্ত বিল কিস আক্তার খন্ডকালীন অফিস সহকারি পদে অত্র বিদ্যালয় কর্মরত ছিলেন বর্তমানে তিনি খন্ডকালীন বাংলা শিক্ষিকা হিসেবে অত্র বিদ্যালয় কর্মরত আছেন, তিনি খন্ডকালীন বাংলা শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় গত ২০২৩ সনে বিদ্যালয়এ সরকারিভাবে অফিস সহকারীনিয়োগেরজন্য জথাজথ কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন, সে সময় উক্ত বিলকিস আক্তার উক্ত অফিস সহকারী পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আমি সহ বিদ্যালয় এর অন্যান্য অনেক শিক্ষকের সাথে এমনকি ম্যানেজিং কমিটির অনেকের সাথেও আলোচনা করেন,তিনি সকলকে একই কথা বলেন তিনি নামমাত্র পরীক্ষা দিবেন যেকোনোভাবেই হোক তাকে নিয়োগএর ব্যাবস্থা করে দিতে হবে, তার অনৈতিক ও অযৌক্তিক দাবি কেউই কর্ণপাত করেননি তাকে নিয়ম অনুযায়ীআবেদন করে নিয়োগ পরীক্ষা য়অংশগ্রহণের জন্য বলা হয়েছিল কিন্তু তার অযৌক্তিক দাবিঅনুযায়ী ফলপ্রসু আস্বাষ না পাওয়ার কারণে তিনি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করেননি যথাযথ কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে উপযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছেন,এরপর থেকে বিলকিস আক্তার আমি সহ বিদ্যালয়ের তৎকালীন শিক্ষক প্রতিনিধি বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক যার সাথে তাদের পারিবারিক অনেক সুসম্পর্ক তাকেও তার চাকরির নিশ্চয়তা না পাওয়ার জন্য দোষারোপ করতে থাকে, তারই ধারাবাহিকতায় উক্ত বিলকিস আক্তার তার স্বামী আলমাস ও তার মেয়েবুশরা তিন জন ই আমাকে সহ বিদ্যালয়ের আরো কয়েকজন শিক্ষক এমনকি একজন অফিস সহায়কের নামেও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কাল্পনিক কিছু অভিযোগ দায়ের করেছেন সমস্ত অভিযোগগুলোই বর্তমানে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে, কোন অভিযোগেই আমি তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছি সে কথা উল্লেখ না করলেও গত ১৩/৪/২০২৫ইং তারিখ অনলাইনে এক সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি বলেনআমি তাকে কু প্রস্তাব দিয়েছি , পাশাপাশি তার স্বামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর সহ কু প্রস্তাব দেয়ারএকটি অভিযোগ থানায় দায়ের করেন থানার তদন্ত কর্মকর্তা সরজমিনে তদন্ত করে উক্ত ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা পাননি এমনকি উক্ত বিলকিস আক্তার নিজেও স্থানীয় লোকজনের সামনে আমার বিরুদ্ধে আনীত কু প্রস্তাবের বিষয়ে কোন অভিযোগ বা কোন কথা বলেননি, যার ফলে বিলকিস আক্তারের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগ গ্রহণ করেননি, তা সত্ত্বেও বিলকিস আক্তার আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় সংবাদ কর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায়, এ বিষয়ে আমি আইসিটি সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি,থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের পর থেকে বিলকিস আক্তার বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত আছেন, তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয় সম্পর্কে না না খারাপ ধারণা দিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যালয় সম্পর্কে অপপ্রচার করে যাচ্ছেন,
স্থানীয়ভাবে তদন্ত করে জানা যায় উক্ত বিলকিস এর স্বামী একজন মামলাবাজ ভূমিদস্যু ও হত্যা মামলার আসামি, বিলকিস এর চাকরি সরকারি না হওয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে পুরো পরিবার মিলে বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকদের হয় রানী পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শুনাম নষ্ট করার পায়তারা করে যাচ্ছে,এর প্রতিবাদে গত ২৮ শে এপ্রিল বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রছাত্রী শিক্ষক ও অভিবাবক রা বিদ্যালয় এর মাঠে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়েছে,পাশাপাশি এই অপপ্রচার কারীদের শাস্তি দাবী করেছেন।