ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী লীগের দোসর যুবলীগ সভাপতি গোলাম কাদির মেম্বারের আমলনামার কুকীর্তি ফাঁস Logo মানবিক ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী Logo সম্পত্তির জন্য পিতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম, ছেলে রুবেল গ্রেফতার Logo “গ্রীন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ” কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বৃক্ষরোপণ অভিযান Logo কুমিল্লায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেফতার Logo ৩ আগস্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ইশতেহার পাঠ করা হবে : নাহিদ ইসলাম Logo লাঙ্গল মার্কা লোকেরা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না : এড.টিপু Logo সোনারগাঁয়ে আ’লীগের হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা আহত Logo আমি মেইড ইন নারায়ণগঞ্জ : মাসুদুজ্জান মাসুদ Logo বন্দরে আকিজ ফিড ফ্যাক্টরীর বায়ু দূষণের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি

সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতার ওপর দিনে সশস্ত্র হামলা, রাতে বাড়িতে আগুন

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ সুজাত মিয়ার ওপর একদিনে দুটি পৃথক ঘটনা ঘটেছে—দুপুরে হামলা ও রাতে বাসায় অগ্নিকাণ্ড। বিএনপি নেতাকর্মীরা একে পরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন। পুরো নবীগঞ্জজুড়ে এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১ মে) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কের তিমিরপুর এলাকায় নবীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত র‍্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন শেখ সুজাত মিয়া। অনুষ্ঠান শেষে দুপুরের দিকে গাড়িতে ওঠার সময় হঠাৎ করে মৃত আহমদ মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা জামির হোসেনসহ কয়েকজন যুবক দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। শেখ সুজাত মিয়ার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তুললে হামলাকারীরা পালানোর চেষ্টা করে।

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারী জামিরকে অস্ত্রসহ আটক করে। এ ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা দেখা দেয়। শেখ সুজাত দাবি করেন, ‘এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। আমাকে টার্গেট করেই অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।’

হামলার প্রতিবাদে বিকালেই নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি নতুন বাজার মোড়ে গিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় বক্তারা হামলার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর, রাত আনুমানিক ১১টার দিকে শেখ সুজাত মিয়ার নবীগঞ্জ শহরের হাসপাতাল সড়কের আক্রমপুর এলাকার নিজ বাসায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন লাগে বাড়ির পেছনের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে, যেখানে কেউ বসবাস করতেন না। আগুনে কিছু আসবাবপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

স্থানীয়দের চিৎকারে দ্রুত আশপাশের মানুষ এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছি। আগুন কীভাবে লেগেছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।’

সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া এ বিষয়ে বলেন, ‘গতকালই আমার ওপর হামলা হয়েছে, আর আজ রাতে বাসায় আগুন লাগানো হলো। এটি নিঃসন্দেহে একটি ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আমার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।’

এ দুটি ঘটনায় নবীগঞ্জ ও এর আশপাশে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগের দোসর যুবলীগ সভাপতি গোলাম কাদির মেম্বারের আমলনামার কুকীর্তি ফাঁস

সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতার ওপর দিনে সশস্ত্র হামলা, রাতে বাড়িতে আগুন

আপডেট সময় ১২:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ সুজাত মিয়ার ওপর একদিনে দুটি পৃথক ঘটনা ঘটেছে—দুপুরে হামলা ও রাতে বাসায় অগ্নিকাণ্ড। বিএনপি নেতাকর্মীরা একে পরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন। পুরো নবীগঞ্জজুড়ে এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১ মে) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কের তিমিরপুর এলাকায় নবীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত র‍্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন শেখ সুজাত মিয়া। অনুষ্ঠান শেষে দুপুরের দিকে গাড়িতে ওঠার সময় হঠাৎ করে মৃত আহমদ মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা জামির হোসেনসহ কয়েকজন যুবক দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। শেখ সুজাত মিয়ার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তুললে হামলাকারীরা পালানোর চেষ্টা করে।

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারী জামিরকে অস্ত্রসহ আটক করে। এ ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা দেখা দেয়। শেখ সুজাত দাবি করেন, ‘এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। আমাকে টার্গেট করেই অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।’

হামলার প্রতিবাদে বিকালেই নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি নতুন বাজার মোড়ে গিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় বক্তারা হামলার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর, রাত আনুমানিক ১১টার দিকে শেখ সুজাত মিয়ার নবীগঞ্জ শহরের হাসপাতাল সড়কের আক্রমপুর এলাকার নিজ বাসায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন লাগে বাড়ির পেছনের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে, যেখানে কেউ বসবাস করতেন না। আগুনে কিছু আসবাবপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

স্থানীয়দের চিৎকারে দ্রুত আশপাশের মানুষ এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছি। আগুন কীভাবে লেগেছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।’

সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া এ বিষয়ে বলেন, ‘গতকালই আমার ওপর হামলা হয়েছে, আর আজ রাতে বাসায় আগুন লাগানো হলো। এটি নিঃসন্দেহে একটি ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আমার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।’

এ দুটি ঘটনায় নবীগঞ্জ ও এর আশপাশে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।