ঢাকা , শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ইস্যুতে গ্রেফতার বিচারক

অভিবাসন কর্মকর্তাদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে এক বিচারককে গ্রেফতার করেছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। ওই বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এক অবৈধ অভিবাসীকে মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষের হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করেছিলেন।

 

গ্রেফতার হওয়া হান্নাহ দুগান দেশটির সার্কিট বিচারক। উইসকনসিনের মিলওয়াকির আদালতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে তিনি। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইউএস মার্শালস সার্ভিস গার্ডিয়ানকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

 

সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এফবিআই প্রধান ক্যাশ প্যাটেল লেখেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, বিচারক দুগান ইচ্ছাকৃতভাবে ফেডারেল এজেন্টদের ধোঁকা দিয়েছেন। তার আদালতে এডওয়ার্ডো ফ্লোরস রুইজ নামক অবৈধ অভিবাসী থাকা সত্ত্বেও তাকে গ্রেফতার করতে দেননি দুগান।’

 

ওই পোস্টে ট্রাম্প মনোনীত ক্যাশ প্যাটেল আরও লেখেন, ‘পরবর্তীতে আমাদের এজেন্টরা ওই অবৈধ অভিবাসীকে পাকড়াও করে ধরে ফেলে। তিনি এখন তাদের হেফাজতে রয়েছে। ওই বিচারক সাধারণ মানুষদের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছিলেন।’

 

 

গ্রেফতারের পর শুক্রবার সকালেই মিলওয়াকির ফেডারেল আদালতে তোলা হয় বিচারক দুগানকে। পরে তাকে সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ মে এর দিন ধার্য করে দিয়েছেন আদালত।

 

দুগানের আইনজীবী ক্যারিগ মাসটান্টুঅনো শুনানিতে বলেন, ‘আমার মক্কেল তার কাজের জন্য দুঃখিত এবং নিজের গ্রেফতারের বিরোধীতা করেছিলেন। জননিরাপত্তার স্বার্থে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।’

 

শুনানির সময় মিলওয়াকির ফেডারেল আদালতের বাইরে বেশ কিছু মার্কিনি জড়ো হন। তারা দুগানের মুক্তির জন্য স্লোগান দেন।

 

দুগানের আইনজীবী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হান্নাহ সি দুগান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও আইন মেনে চলেছেন। নিজের কর্মজীবনে তিনি আইনজীবী ও বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন।’

 

এদিকে দুগানের গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে নিজের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লিবস অব টিকটক নামের একটি ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টের পোস্ট শেয়ার করেন দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প। সেই পোস্টে দেখা যায়, বিচারক দুগান একটি কেএন৯৫ মাস্ক পড়ে বিচারকাজ চালাচ্ছেন।

 

দুগানের গ্রেফতারের পর মিলওয়াকির সিটি কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলে, সকালে ফেডারেল কর্তৃপক্ষ বিচারককে গ্রেফতার করেছে। এ খবর অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। দুগানকে নিজের ক্যারিয়ারজুড়ে যেভাবে অন্যদের সম্মান ও যথাযথ প্রক্রিয়া প্রদান করেছেন, একইভাবে তাকেও সম্মান এবং যথাযথ প্রক্রিয়া প্রদান করা উচিত। অভিবাসী ইস্যুতে ওয়াশিংটন ডিসি ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

মিরসরাই-সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ইস্যুতে গ্রেফতার বিচারক

আপডেট সময় ১০:৪১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

অভিবাসন কর্মকর্তাদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে এক বিচারককে গ্রেফতার করেছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। ওই বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এক অবৈধ অভিবাসীকে মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষের হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করেছিলেন।

 

গ্রেফতার হওয়া হান্নাহ দুগান দেশটির সার্কিট বিচারক। উইসকনসিনের মিলওয়াকির আদালতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে তিনি। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইউএস মার্শালস সার্ভিস গার্ডিয়ানকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

 

সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এফবিআই প্রধান ক্যাশ প্যাটেল লেখেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, বিচারক দুগান ইচ্ছাকৃতভাবে ফেডারেল এজেন্টদের ধোঁকা দিয়েছেন। তার আদালতে এডওয়ার্ডো ফ্লোরস রুইজ নামক অবৈধ অভিবাসী থাকা সত্ত্বেও তাকে গ্রেফতার করতে দেননি দুগান।’

 

ওই পোস্টে ট্রাম্প মনোনীত ক্যাশ প্যাটেল আরও লেখেন, ‘পরবর্তীতে আমাদের এজেন্টরা ওই অবৈধ অভিবাসীকে পাকড়াও করে ধরে ফেলে। তিনি এখন তাদের হেফাজতে রয়েছে। ওই বিচারক সাধারণ মানুষদের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছিলেন।’

 

 

গ্রেফতারের পর শুক্রবার সকালেই মিলওয়াকির ফেডারেল আদালতে তোলা হয় বিচারক দুগানকে। পরে তাকে সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ মে এর দিন ধার্য করে দিয়েছেন আদালত।

 

দুগানের আইনজীবী ক্যারিগ মাসটান্টুঅনো শুনানিতে বলেন, ‘আমার মক্কেল তার কাজের জন্য দুঃখিত এবং নিজের গ্রেফতারের বিরোধীতা করেছিলেন। জননিরাপত্তার স্বার্থে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।’

 

শুনানির সময় মিলওয়াকির ফেডারেল আদালতের বাইরে বেশ কিছু মার্কিনি জড়ো হন। তারা দুগানের মুক্তির জন্য স্লোগান দেন।

 

দুগানের আইনজীবী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হান্নাহ সি দুগান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও আইন মেনে চলেছেন। নিজের কর্মজীবনে তিনি আইনজীবী ও বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন।’

 

এদিকে দুগানের গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে নিজের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লিবস অব টিকটক নামের একটি ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টের পোস্ট শেয়ার করেন দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প। সেই পোস্টে দেখা যায়, বিচারক দুগান একটি কেএন৯৫ মাস্ক পড়ে বিচারকাজ চালাচ্ছেন।

 

দুগানের গ্রেফতারের পর মিলওয়াকির সিটি কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলে, সকালে ফেডারেল কর্তৃপক্ষ বিচারককে গ্রেফতার করেছে। এ খবর অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। দুগানকে নিজের ক্যারিয়ারজুড়ে যেভাবে অন্যদের সম্মান ও যথাযথ প্রক্রিয়া প্রদান করেছেন, একইভাবে তাকেও সম্মান এবং যথাযথ প্রক্রিয়া প্রদান করা উচিত। অভিবাসী ইস্যুতে ওয়াশিংটন ডিসি ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।