ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাশিপুরে চাঁদা না দেয়ায় জমি দখলের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের কাশিপুরে চাঁদা না দেওয়ায় ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দীর্ঘদিন দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি ‘ভূমিদস্যু চক্রের’ বিরুদ্ধে।
গতকাল (সোমবার ৭ এপ্রিল) ওই জমিতে থাকা সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে ফেলে দেয় চক্রটি। এ ঘটনায় চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ভূক্তভোগী মোঃ সামছুদ্দিন আলম নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন ফতুল্লা থানার কাশিপুর এলাকার মতিন মিয়ার ছেলে আমান উল্লাহ, মৃত আহসান উল্লাহ স্ত্রী সানজিদা আক্তার সুমি, গোপনগর বাড়ির টেক এলাকার মৃত সামেদ মাদবরের ছেলে আলী আকবর, মসিনাবন্দ এলাকার মৃত আলী হোসেন এর ছেলে আলী আক্কাছ।
ভূক্তভোগী মোঃ সামছুদ্দিন আলম জানান, গোপনগর মৌজাস্থ পুরান গোপনগর একটি সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। যাহা দাগ নং- সি.এস-৮১৪, এস.এ-৯৯৫, আর.এস-১০৭। উল্লেথিত সম্পত্তি আমি পাওয়ারে নিয়ে মালিক হই। পরবর্তীতে ওই সম্পত্তি প্লাট করে বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। অথচ চাঁদা না দেওয়ায় আমাদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে এখন আমাকে খুনের হুমকি দিচ্ছে তারা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে বসলেও কোন সুরাহা হয়নি বরং আমাদের কাছে টাকা দাবী করে হুমকি প্রদান করে।
তিনি আরও জানান, গত ৭ এপ্রিল বিকেলে আমাদের জায়গায় গেলে উল্লেখিত অভিযুক্তরা ৫/৬ জন সন্ত্রাসী নিয়ে এসে হুমকি প্রদান করে এবং সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এছাড়াও বর্তমানে আমাদের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবী করে হুমকি প্রদান করে আসছে। এমনকি অজ্ঞাত সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যার করাবে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসাবে বলে হুমকি প্রদান করে।
জায়গার মালিক শফিকুর রহমান জানান, ২০০৯ সালে বছিরুন্নেছার ওয়ারিশ সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে পাওয়ার নিয়ে ৩৭ শতাংশ জমির মালিক হয়েছি। পরে জায়গাটি বালু দিয়ে ভরাট করে প্লাট করে বিক্রি করি। কিন্তু বিক্রি করার পরও আরো ৪/৫ বার সম্পত্তি বিক্রি হয়েছে। হটাৎ করে কিছু ওয়ারিশ ভূয়া দলিল করে নিজের জমি দাবী করে এসে এসিল্যান্ড অফিসে মিসকেচ করে। হটাৎ একদিন ভূমি অফিস থেকে তদন্তে লোক আসে আমরা জানি না। জায়গা আমাদের কিন্তু সাইনবোর্ড টাঙিয়ে তাদের নাকি জায়গা হয়ে গেছে এমন একটি তদন্ত রির্পোট জমা দেন। তবে এখানে যারা প্লটের মালিক তাদেরকে কোন নোটিশও দেওয়া হয়নি। আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এসিল্যান্ড একটি সুন্দর রায় দিবেন।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

কাশিপুরে চাঁদা না দেয়ায় জমি দখলের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:১১:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের কাশিপুরে চাঁদা না দেওয়ায় ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দীর্ঘদিন দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি ‘ভূমিদস্যু চক্রের’ বিরুদ্ধে।
গতকাল (সোমবার ৭ এপ্রিল) ওই জমিতে থাকা সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে ফেলে দেয় চক্রটি। এ ঘটনায় চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ভূক্তভোগী মোঃ সামছুদ্দিন আলম নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন ফতুল্লা থানার কাশিপুর এলাকার মতিন মিয়ার ছেলে আমান উল্লাহ, মৃত আহসান উল্লাহ স্ত্রী সানজিদা আক্তার সুমি, গোপনগর বাড়ির টেক এলাকার মৃত সামেদ মাদবরের ছেলে আলী আকবর, মসিনাবন্দ এলাকার মৃত আলী হোসেন এর ছেলে আলী আক্কাছ।
ভূক্তভোগী মোঃ সামছুদ্দিন আলম জানান, গোপনগর মৌজাস্থ পুরান গোপনগর একটি সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। যাহা দাগ নং- সি.এস-৮১৪, এস.এ-৯৯৫, আর.এস-১০৭। উল্লেথিত সম্পত্তি আমি পাওয়ারে নিয়ে মালিক হই। পরবর্তীতে ওই সম্পত্তি প্লাট করে বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। অথচ চাঁদা না দেওয়ায় আমাদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে এখন আমাকে খুনের হুমকি দিচ্ছে তারা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে বসলেও কোন সুরাহা হয়নি বরং আমাদের কাছে টাকা দাবী করে হুমকি প্রদান করে।
তিনি আরও জানান, গত ৭ এপ্রিল বিকেলে আমাদের জায়গায় গেলে উল্লেখিত অভিযুক্তরা ৫/৬ জন সন্ত্রাসী নিয়ে এসে হুমকি প্রদান করে এবং সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এছাড়াও বর্তমানে আমাদের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবী করে হুমকি প্রদান করে আসছে। এমনকি অজ্ঞাত সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যার করাবে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসাবে বলে হুমকি প্রদান করে।
জায়গার মালিক শফিকুর রহমান জানান, ২০০৯ সালে বছিরুন্নেছার ওয়ারিশ সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে পাওয়ার নিয়ে ৩৭ শতাংশ জমির মালিক হয়েছি। পরে জায়গাটি বালু দিয়ে ভরাট করে প্লাট করে বিক্রি করি। কিন্তু বিক্রি করার পরও আরো ৪/৫ বার সম্পত্তি বিক্রি হয়েছে। হটাৎ করে কিছু ওয়ারিশ ভূয়া দলিল করে নিজের জমি দাবী করে এসে এসিল্যান্ড অফিসে মিসকেচ করে। হটাৎ একদিন ভূমি অফিস থেকে তদন্তে লোক আসে আমরা জানি না। জায়গা আমাদের কিন্তু সাইনবোর্ড টাঙিয়ে তাদের নাকি জায়গা হয়ে গেছে এমন একটি তদন্ত রির্পোট জমা দেন। তবে এখানে যারা প্লটের মালিক তাদেরকে কোন নোটিশও দেওয়া হয়নি। আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এসিল্যান্ড একটি সুন্দর রায় দিবেন।