ঢাকা , রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তাবন্দি দুই নারী ও এক শিশুর খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার

সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বাড়ির পাশ থেকে একই পরিবারে দুই নরী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিম পাড়া বড়বাড়ি এলাকার মরহুম আক্তার হোসনের ভাড়া বাড়ির পাশ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত সামাদের মেয়ে স্বপ্না আক্তার (৩৫) তার ছোট বোন লামিয়া আক্তার (২২) এবং লামিয়ার ছেলে হাবিব (৩)। নিহত স্বপ্না আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন এবং লামিয়া আক্তার পোশাক শ্রমিক ছিলেন।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত লামিয়ার স্বামী ইয়াসিন (৪০) কে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে জনতা। সে পেশায় অটোচালক।

সিদ্ধিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্থানীয়রা বস্তাবন্দী খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ইটের শুরকির নিচ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় স্বপ্না ও লামিয়ার মাথা এবং পা বিচ্ছন্ন অবস্থায় লাশ দুটি উদ্ধার করে।

আরেকটি বস্তায় শিশু লাবিবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের বোন মুনমুন লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিচয় নিশ্চিত করেন। তখন এলাকাবাসী সন্দেহজনকভাবে ইয়াসিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

নিহতের বড় খালা শিরিন বেগম বলেন, আমার বোনের মেয়েরা বাবা-মা হারা। লামিয়া প্রেম করে বিয়ে করে একটি সন্তানের মা হয়ে সংসার করে যাচ্ছে। আর তার বড় বোন স্বপ্না ছিলো মানসিক ভারসাম্যহীন। চারদিন যাবত তাদের খোঁজ পাচ্ছিলাম না। আজ এসে দেখি আমার বোনের মেয়েরা নিহত।

নিহতদের বোন মুনমুন জানান, লামিয়ার স্বামী ইয়াসিন ঈদের তিন দিন আগে জেলখানা থেকে ছাড়া পায়। ইয়াসিন মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এ বিষয়ে প্রায় সময়ই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো। তার দুই বোন এবং ভাগিনাকে ইয়াসিনই হত্যা করেছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী বলেন, ধারনা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। নিহত লামিয়ার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তাবন্দি দুই নারী ও এক শিশুর খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ১০:১৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বাড়ির পাশ থেকে একই পরিবারে দুই নরী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিম পাড়া বড়বাড়ি এলাকার মরহুম আক্তার হোসনের ভাড়া বাড়ির পাশ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত সামাদের মেয়ে স্বপ্না আক্তার (৩৫) তার ছোট বোন লামিয়া আক্তার (২২) এবং লামিয়ার ছেলে হাবিব (৩)। নিহত স্বপ্না আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন এবং লামিয়া আক্তার পোশাক শ্রমিক ছিলেন।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত লামিয়ার স্বামী ইয়াসিন (৪০) কে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে জনতা। সে পেশায় অটোচালক।

সিদ্ধিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্থানীয়রা বস্তাবন্দী খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ইটের শুরকির নিচ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় স্বপ্না ও লামিয়ার মাথা এবং পা বিচ্ছন্ন অবস্থায় লাশ দুটি উদ্ধার করে।

আরেকটি বস্তায় শিশু লাবিবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের বোন মুনমুন লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিচয় নিশ্চিত করেন। তখন এলাকাবাসী সন্দেহজনকভাবে ইয়াসিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

নিহতের বড় খালা শিরিন বেগম বলেন, আমার বোনের মেয়েরা বাবা-মা হারা। লামিয়া প্রেম করে বিয়ে করে একটি সন্তানের মা হয়ে সংসার করে যাচ্ছে। আর তার বড় বোন স্বপ্না ছিলো মানসিক ভারসাম্যহীন। চারদিন যাবত তাদের খোঁজ পাচ্ছিলাম না। আজ এসে দেখি আমার বোনের মেয়েরা নিহত।

নিহতদের বোন মুনমুন জানান, লামিয়ার স্বামী ইয়াসিন ঈদের তিন দিন আগে জেলখানা থেকে ছাড়া পায়। ইয়াসিন মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এ বিষয়ে প্রায় সময়ই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো। তার দুই বোন এবং ভাগিনাকে ইয়াসিনই হত্যা করেছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী বলেন, ধারনা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। নিহত লামিয়ার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।