ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রূপগঞ্জে মসজিদে পিস্তল নিয়ে হামলা, শিক্ষার্থী আহত : পিস্তল উদ্ধার

মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে মুসুল্লিদের টেনে সরিয়ে সামনের কাতারে বসা নিয়ে হারুন উর রশিদ নামের এক প্রভাবশালীর সাথে মাদরদসা শিক্ষার্থী ও মুসুল্লিদের সাথে বাকবিতন্ডার জেরে ওই প্রভাবশালী পিস্তল নিয়ে হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এতে মিজানুর রহমান নামের ১ জন মাদরাসা শিক্ষার্থী আহত হয়। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে উপজেলার বাড়িয়াছনি গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।

বাড়িয়াছনির বাবুস সালাম মাদরাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ মাওলানা ফাইজ উল্লাহ বলেন, হারুন অর রশিদ নামীয় এক লোক বহুদিন ধরেই প্রভাব খাটিয়ে মুসুল্লিদের সরিয়ে নামাজের সামনের কাতারে বসতেন। এছাড়াও ইসলামী মাসআলা নিয়ে ইমাম ও মাদরাসা শিক্ষার্থী নিয়ে কুটুক্তি করে।

এ নিয়ে হারুন অর রশিদ ফজরের নামাজের পর ছাত্রদের সাথে বিতর্কের জেরে পিস্তল নিয়ে হামলা করে মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজ মিজানুর রহমানকে আহত করে। এ সময় ছাত্ররা পিস্তলসহ তাকে আটক করে রূপগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শুধুমাত্র পিস্তল থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় মুসুল্লি সিরাজ মিয়া বলেন, হারুন অর রশিদ নামীয় ব্যক্তি বাড়িয়া ছনি এলাকায় জমি কিনে ঘরবাড়ি করে বসবাস করছেন। তার সাথে যে কেউ তর্ক করলে ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে গুলি করার ভয় দেখায়।

 

একইভাবে আজ সকালে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে পিস্তল দিয়ে বারি দিয়ে আহত করে। এরআগে প্রকাশ্যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করে জমি দখল করতে গেলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হারুন উর রশিদ বলেন, আমি যে মসজিদে নামাজ পড়ি তারা হানাফী মাজহাবের অনুসারী, আর আমি হাম্বলী তরিকায় নামাজ পড়ি। তাই ইসলামী মাসআলা নিয়ে তর্ক হয়। এতোদিন সামনের কাতারেই বসতাম।

আজ ভোরে নামাজ পড়তে গেলে তারা ব্লক করে সামনের কাতারে দাড়ায়। এতে আমি অপমানিত হই। পরবর্তীতে তর্কের জেরে দলবেঁধে আমাকে হামলা করতে চায়। তাই শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাতে আমার লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে যাই,কিন্তু কাউকে মারিনি। আমার দ্বারা আঘাত পায়নি।

পরবর্তীতে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ আমার পিস্তল নিয়ে যায়। লাইসেন্স দেখিয়ে তা ফেরতের কথা বলে। আমি তা নিয়ে আসবো।

 

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীর উপর হামলা বিষয়ে মৌখিক জেনেছি। একটি বৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছি। তবে অভিযোগ না পাওয়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এলাকাবাসী ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিষয়টি এলাকায় বসে মিমাংসা করেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে মসজিদে পিস্তল নিয়ে হামলা, শিক্ষার্থী আহত : পিস্তল উদ্ধার

আপডেট সময় ০২:১৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে মুসুল্লিদের টেনে সরিয়ে সামনের কাতারে বসা নিয়ে হারুন উর রশিদ নামের এক প্রভাবশালীর সাথে মাদরদসা শিক্ষার্থী ও মুসুল্লিদের সাথে বাকবিতন্ডার জেরে ওই প্রভাবশালী পিস্তল নিয়ে হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এতে মিজানুর রহমান নামের ১ জন মাদরাসা শিক্ষার্থী আহত হয়। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে উপজেলার বাড়িয়াছনি গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।

বাড়িয়াছনির বাবুস সালাম মাদরাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ মাওলানা ফাইজ উল্লাহ বলেন, হারুন অর রশিদ নামীয় এক লোক বহুদিন ধরেই প্রভাব খাটিয়ে মুসুল্লিদের সরিয়ে নামাজের সামনের কাতারে বসতেন। এছাড়াও ইসলামী মাসআলা নিয়ে ইমাম ও মাদরাসা শিক্ষার্থী নিয়ে কুটুক্তি করে।

এ নিয়ে হারুন অর রশিদ ফজরের নামাজের পর ছাত্রদের সাথে বিতর্কের জেরে পিস্তল নিয়ে হামলা করে মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজ মিজানুর রহমানকে আহত করে। এ সময় ছাত্ররা পিস্তলসহ তাকে আটক করে রূপগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শুধুমাত্র পিস্তল থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় মুসুল্লি সিরাজ মিয়া বলেন, হারুন অর রশিদ নামীয় ব্যক্তি বাড়িয়া ছনি এলাকায় জমি কিনে ঘরবাড়ি করে বসবাস করছেন। তার সাথে যে কেউ তর্ক করলে ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে গুলি করার ভয় দেখায়।

 

একইভাবে আজ সকালে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে পিস্তল দিয়ে বারি দিয়ে আহত করে। এরআগে প্রকাশ্যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করে জমি দখল করতে গেলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হারুন উর রশিদ বলেন, আমি যে মসজিদে নামাজ পড়ি তারা হানাফী মাজহাবের অনুসারী, আর আমি হাম্বলী তরিকায় নামাজ পড়ি। তাই ইসলামী মাসআলা নিয়ে তর্ক হয়। এতোদিন সামনের কাতারেই বসতাম।

আজ ভোরে নামাজ পড়তে গেলে তারা ব্লক করে সামনের কাতারে দাড়ায়। এতে আমি অপমানিত হই। পরবর্তীতে তর্কের জেরে দলবেঁধে আমাকে হামলা করতে চায়। তাই শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাতে আমার লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে যাই,কিন্তু কাউকে মারিনি। আমার দ্বারা আঘাত পায়নি।

পরবর্তীতে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ আমার পিস্তল নিয়ে যায়। লাইসেন্স দেখিয়ে তা ফেরতের কথা বলে। আমি তা নিয়ে আসবো।

 

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীর উপর হামলা বিষয়ে মৌখিক জেনেছি। একটি বৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছি। তবে অভিযোগ না পাওয়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এলাকাবাসী ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিষয়টি এলাকায় বসে মিমাংসা করেছে।