ঢাকা , সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সাংবাদিককে অপহরণ ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি। কেন নেয়া হয়নি মামলা ডেমরা থানায়? Logo সিদ্ধিরগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজিজুল হাকিম গ্রেপ্তার Logo বিএনপি নেতা স্বপন মাহমুদ ও হাসান আহমেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বুরুন্দি দুই সমাজের মানুষ Logo বন্দরে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার হামলা-মামলায় বাড়িছাড়া চার পরিবার Logo মানবতার সেবক শান্তা’র সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে ঈদ সামগ্রী বিতরণ Logo ছুটির পর খুললো ব্যাংক, ফুরফুরে মেজাজে কর্মীরা Logo ভিনিসিয়ুসের পেনাল্টি মিসের রাতে রিয়ালের হার Logo ভারতে বাস দুর্ঘটনা, ছিলেন ৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি পর্যটক Logo ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ১৫ কিলোমিটার তীব্র যানজট, ভোগান্তি Logo বন্দরে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী তরুণী ৪ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা

বন্দরে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার হামলা-মামলায় বাড়িছাড়া চার পরিবার

বন্দর প্রতিনিধি: বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাসেল বাহিনীর হামলা-মামলায় বাড়ি ছাড়া যুবদল নেতা সফর আলী সহ তার পরিবার।
গত ২৮ মার্চ তুচ্ছ ঘটনার দ্বন্দ্বের জেরে বন্দর থানাধীন ২৬নং ওয়ার্ডের রামনগর ইস্পাহানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়ে বাড়ি ছাড়ে ২৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি সফর আলী সহ আহত চারটি পরিবার।
আহত সফর আলী জানান, গেলো ২৮ মার্চ বিকেলে ইস্পাহানী বাজারে সদাই কিনতে গিয়ে দেখি ডকইয়ার্ডের সামনে বিএনপি নেতা বিল্লালের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হলে আমি নিষেধ করি। পরবর্তীতে আমাকে রাসেল, তারই পিতা মতি সহ ৪/৫জন মিলে আমাকে ধরে মারধর শুরু করে পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলে। পরে সেখান থেকে বাড়িতে চলে আসলে ইফতারের সময়ের আগ মূহুর্ত পূনরায় ডাকাত সহ ১০০/১৫০ জন লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে এসে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং আমাদের ৪ ভাই ও ৩ ভাতিজাকে কুপিয়ে জখম করে। সেখান থেকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানেও রাসেল বাহিনী এসে মারধর শুরু করে। পরবর্তীতে সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে খানপুর হাসপাতালে রেফার করে।
তিনি আরো জানান, বিএনপি করেও হামলা-মামলার শিকার হয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে আছি, অথচ রাসেল বাহিনী আমাদের উপর হামলা করলো। বন্দর থানায় অভিযোগ করতে গেলেও বন্দর থানা পুলিশ আমাদের অভিযোগ না নিয়ে রাসেল বাহিনীর মামলা আমলে নিয়েছে। এছাড়াও আমার শশুড় বাড়িতে পুলিশ সহ ডাকাতদের নিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর চালায়, সেখানেও আমাদের নামে পুলিশ মামলা দায়ের করে। এর পর থেকে আমরা বাড়ি ছাড়া হয়ে আছি, প্রশাসনকে বলবো তারা যেনো সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
উল্লেখ্য যে, গেলো ২৮ মার্চ বিকেলে রামনগর ইস্পাহানী তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাসেল ও যুবদল নেতা সফর আলীর দ্বন্দ্বের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলে উভয় পক্ষের ৮/১০জন আহত হয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিককে অপহরণ ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি। কেন নেয়া হয়নি মামলা ডেমরা থানায়?

বন্দরে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার হামলা-মামলায় বাড়িছাড়া চার পরিবার

আপডেট সময় ১০:০০:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

বন্দর প্রতিনিধি: বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাসেল বাহিনীর হামলা-মামলায় বাড়ি ছাড়া যুবদল নেতা সফর আলী সহ তার পরিবার।
গত ২৮ মার্চ তুচ্ছ ঘটনার দ্বন্দ্বের জেরে বন্দর থানাধীন ২৬নং ওয়ার্ডের রামনগর ইস্পাহানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়ে বাড়ি ছাড়ে ২৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি সফর আলী সহ আহত চারটি পরিবার।
আহত সফর আলী জানান, গেলো ২৮ মার্চ বিকেলে ইস্পাহানী বাজারে সদাই কিনতে গিয়ে দেখি ডকইয়ার্ডের সামনে বিএনপি নেতা বিল্লালের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হলে আমি নিষেধ করি। পরবর্তীতে আমাকে রাসেল, তারই পিতা মতি সহ ৪/৫জন মিলে আমাকে ধরে মারধর শুরু করে পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলে। পরে সেখান থেকে বাড়িতে চলে আসলে ইফতারের সময়ের আগ মূহুর্ত পূনরায় ডাকাত সহ ১০০/১৫০ জন লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে এসে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং আমাদের ৪ ভাই ও ৩ ভাতিজাকে কুপিয়ে জখম করে। সেখান থেকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানেও রাসেল বাহিনী এসে মারধর শুরু করে। পরবর্তীতে সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে খানপুর হাসপাতালে রেফার করে।
তিনি আরো জানান, বিএনপি করেও হামলা-মামলার শিকার হয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে আছি, অথচ রাসেল বাহিনী আমাদের উপর হামলা করলো। বন্দর থানায় অভিযোগ করতে গেলেও বন্দর থানা পুলিশ আমাদের অভিযোগ না নিয়ে রাসেল বাহিনীর মামলা আমলে নিয়েছে। এছাড়াও আমার শশুড় বাড়িতে পুলিশ সহ ডাকাতদের নিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর চালায়, সেখানেও আমাদের নামে পুলিশ মামলা দায়ের করে। এর পর থেকে আমরা বাড়ি ছাড়া হয়ে আছি, প্রশাসনকে বলবো তারা যেনো সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
উল্লেখ্য যে, গেলো ২৮ মার্চ বিকেলে রামনগর ইস্পাহানী তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাসেল ও যুবদল নেতা সফর আলীর দ্বন্দ্বের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলে উভয় পক্ষের ৮/১০জন আহত হয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।