বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সিদ্ধিরগঞ্জে মো. রাকিব (১৮) ও মো. মিরাজ (১৪) গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে ভিকটিম রাকিবের বাবা মো. কবির হোসেন ২৯ জন এবং মিরাজের মা মোসাঃ মিলন বেগম ৩৩ জন আসামির নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করেছেন। এছাড়াও মামলা দুটিতে অজ্ঞাত আরও ৬শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দুই মামলায় শামীম ওসমান ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুদ্দিন মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলগের প্রচার সম্পাদক তাজিম বাবু,
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গত ২০ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের সামনে এবং চিটাগাংরোড অংশে ভিকটিম মো. রাকিব এবং মো. মিরাজ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল।
তখন আন্দোলন দমাতে শামীম ওসমানের নির্দেশনায় এজাহারে উল্লেখিত আসামিগণ ও অজ্ঞাতরা ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ করলে ভিকটিমরা গুলিবিদ্ধ হন।
পরবর্তীতে তাদের চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে ভিকটিম রাকিবের পা কাটা গেছে ও আরেক ভুক্তভোগী মিরাজের পেট ফুটো করে গুলি বের করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
মো. কবির হোসেনের দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হলেন –
১/ একেএম শামিম ওসমান,
২/ ইয়াসিন হাজী,
৩/ আজমেরী ওসমান,
৪/ আলহাজ্ব মোঃ মজিবুর রহমান,
৫/ অয়ন ওসমান,
৬/ সফিকুল ইসলাম,
৭/ পিয়ার আলী,
৮/ আলী নুর,
৯/ জুলহাস,
১০/ মোঃ সুফিয়ান
১১/ পানি আক্তার,
১২/ মানিক মাষ্টার,
১৩/ নূর উদ্দিন মিয়া
১৪/ শাহজালাল বাদল,
১৫/ সিরাজ মন্ডল,
১৬/ চাঁন মিয়া, বঙ্গবন্ধু র্কমজীবিলীগ চেয়ারম্যান,
১৭/ সিব্বির
১৮/ তাজিম বাবু,
১৯/ ইকবাল,
২০/ আমিনুল হক রাজু,
২১/ মোঃ শরিফ.
২২/ শাহ নিজাম
২৩/ সামাদ ব্যাপারি
২৪/ তানজিম কবির সজু.
২৫/ মো: রমজান,
২৬/ মোঃ ফারুক,
২৭/ শুভ (যুবলীগ ক্যাডার),
২৮/ মোঃ খোকন,
২৯/ সীমান্ত ( প্রতিষ্ঠাতা টেনশনগ্রুপ),
মোসাঃ মিলন বেগমের দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হলেন –
১/ একেএম শামিম ওসমান,
২/ ইয়াসিন হাজী,
৩/ আজমেরী ওসমান,
৪/ আলহাজ্ব মোঃ মজিবর রহমান,
৫/ অয়ন ওসমান,
৬/ সফিকুল ইসলাম,
৭/ পিয়ার আলী,
৮/ আলীনুর,
৯/ জুলহাস,
১০/ মোঃ সুফিয়ান,
১১/ পানি আক্তার,
১২/ মানিক মাষ্টার,
১৩/ নূর উদ্দিন মিয়া,
১৪/ শাহজালাল বাদল,
১৫/ সিরাজ মন্ডল,
১৬/ চাঁন মিয়া, বঙ্গবন্ধু কর্মজীবিলীগ চেয়ারম্যান,
১৭/ সিব্বির,
১৮/ তাজিম বাবু,
১৯/ ইকবাল,
২০/ আমিনুল হক রাজু,
২১/ মোঃ শরিফ,
২২/ শাহ নিজাম,
২০/ সামাদ ব্যাপারি,
২১/ তানজিম করির সাজু,
২২/ রমজান,
২৩/ মোঃ ফারুক,
২৪/ শুভ (যুবলীগ ক্যাডার),
২৫/ মোঃ খোকন (এল এক্স) (যুবলীগ ক্যাডার),
২৬/ সীমান্ত (ছাত্রলীগ নেতা প্রতিষ্ঠাতা টেনশনগ্রুপ),
২৭/ এমদাদুল,
২৮/ নূরুল ইসলাম মেম্বার,
২৯/ সুমন রহমান,
৩১/ মোঃ মাহফুজ রহমান
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন মামলা দুটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।