ঢাকা , বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo না.গঞ্জে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটালাইজেশন প্রশিক্ষণ কর্মশালা Logo কলাগাছিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জামান মিয়ার প্রতি ইউপি সদস্যদের অনাস্থা Logo রূপগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট Logo লোক দেখানো মানবতার ফেরিওয়ালা হতে নয়, মন থেকে মানুষের পাশে থাকতে চাই Logo রোজা রেখেই খেলছেন ইয়ামাল, ইফতার ও সেহরিতে বিশেষ ব্যবস্থা Logo ৭ মাস পর অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারীর লাশ উত্তোলন Logo জেলেনস্কিকে তাচ্ছিল্য করায় জেডি ভ্যান্সের সমালোচনা করলেন তার কাজিন Logo শেখ হাসিনা-রেহানা-জয়-পুতুলের ১২৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ Logo পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরের মধ্যে ফিরিয়ে আনা সম্ভব Logo এ বছর সর্বনিম্ন ফিতরা ১১০ টাকা, সর্বোচ্চ ২৮০৫

বিকল ট্রেনের যাত্রীদের খাবার খাইয়ে প্রশংসায় ভাসছেন পাবনাবাসী

বিকল ট্রেনের ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত যাত্রীদের খাবার খাইয়ে প্রশংসায় ভাসছেন পাবনাবাসী। এ নিয়ে ফেইসবুক পোস্টে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। পোস্টে পাবনার মানুষের মানবিকতার প্রশংসা করেছেন খোদ রেল কর্মকর্তা ও যাত্রীরা।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ট্রেনটির টিটিই আব্দুল আলিম মিঠু ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন। ছড়িয়ে পড়া সেই পোস্টে এই প্রশংসা উঠে এসেছে।

পোস্টে বলা হয়, ‘রোববার পাবনার লোকজন দেখিয়ে দিলেন তারা কতটা উদার মনের মানুষ। এদিন সকালে ঢালারচর থেকে ছেড়ে আসা চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন পাবনার সাঁথিয়ার রাজাপুর স্টেশন পার হওয়ার পর হঠাৎ বিকল হয়ে যায়। বিকল্প ইঞ্জিন আনতে আনতে বেলা পেরিয়ে দুপুর হয়ে যায়। এর মাঝে যাত্রীসহ আমরা যারা ট্রেনের স্টাফ ছিলাম তারা অনেকেই ছিলেন ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত। রেললাইন থেকে কিছু দূরের বাসিন্দারা ওই সময় ঢালারচর ট্রেনের সবার জন্য যা করলেন তা এক কথায় অবিস্মরণীয়! যার যা সামর্থ্য আছে তা দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন। কারো হাতে ছিল ভাত-ডাল, কারো হাতে খিচুড়ি, কারো হাতে রুটি-সবজি, কারো হাতে পানি। কেউবা তখন কিছু রান্না করে নিয়ে আসার জন্য উদগ্রীব। এতদিন শুধু শুনে এসেছি পাবনার মানুষ বিরাট মনের মানুষ হয়, আজ স্বচক্ষে পাবনার মানুষের আতিথেয়তা দেখে মুগ্ধ হলাম।’

টিটিই আব্দুল আলিম মিঠু বলেন, ট্রেনের স্টাফ ও যাত্রীসহ আমরা যারা ছিলাম তারা সবাই কমবেশি ক্ষুধার্ত। কিন্তু তারা এসে শিশু ও বয়স্কদের দিকে আগে নজর দিলেন। যারা এসব খাবার নিয়ে এসেছিলেন, আমি নিশ্চিত তারা সবাই দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। দুর্মূল্যের বাজারে তাদের সংসার চালানো দায়, কিন্তু এসব কিছুই ভাবেননি তারা। ঘরের খাবারতো এনেছেনই, কেউ কেউ আবার বলেছেন রান্নার ব্যবস্থা করার কথা। পুরো দৃশ্যে আমি অসম্ভব রকমের অবাক হয়েছি। বিশাল মন না থাকলে এগুলো করা সম্ভব নয়। তাদের এ কাজে মুগ্ধ হওয়া ও প্রশংসা করা ছাড়া কিছু বলার নেই।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

না.গঞ্জে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটালাইজেশন প্রশিক্ষণ কর্মশালা

বিকল ট্রেনের যাত্রীদের খাবার খাইয়ে প্রশংসায় ভাসছেন পাবনাবাসী

আপডেট সময় ১১:০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিকল ট্রেনের ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত যাত্রীদের খাবার খাইয়ে প্রশংসায় ভাসছেন পাবনাবাসী। এ নিয়ে ফেইসবুক পোস্টে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। পোস্টে পাবনার মানুষের মানবিকতার প্রশংসা করেছেন খোদ রেল কর্মকর্তা ও যাত্রীরা।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ট্রেনটির টিটিই আব্দুল আলিম মিঠু ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন। ছড়িয়ে পড়া সেই পোস্টে এই প্রশংসা উঠে এসেছে।

পোস্টে বলা হয়, ‘রোববার পাবনার লোকজন দেখিয়ে দিলেন তারা কতটা উদার মনের মানুষ। এদিন সকালে ঢালারচর থেকে ছেড়ে আসা চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন পাবনার সাঁথিয়ার রাজাপুর স্টেশন পার হওয়ার পর হঠাৎ বিকল হয়ে যায়। বিকল্প ইঞ্জিন আনতে আনতে বেলা পেরিয়ে দুপুর হয়ে যায়। এর মাঝে যাত্রীসহ আমরা যারা ট্রেনের স্টাফ ছিলাম তারা অনেকেই ছিলেন ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত। রেললাইন থেকে কিছু দূরের বাসিন্দারা ওই সময় ঢালারচর ট্রেনের সবার জন্য যা করলেন তা এক কথায় অবিস্মরণীয়! যার যা সামর্থ্য আছে তা দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন। কারো হাতে ছিল ভাত-ডাল, কারো হাতে খিচুড়ি, কারো হাতে রুটি-সবজি, কারো হাতে পানি। কেউবা তখন কিছু রান্না করে নিয়ে আসার জন্য উদগ্রীব। এতদিন শুধু শুনে এসেছি পাবনার মানুষ বিরাট মনের মানুষ হয়, আজ স্বচক্ষে পাবনার মানুষের আতিথেয়তা দেখে মুগ্ধ হলাম।’

টিটিই আব্দুল আলিম মিঠু বলেন, ট্রেনের স্টাফ ও যাত্রীসহ আমরা যারা ছিলাম তারা সবাই কমবেশি ক্ষুধার্ত। কিন্তু তারা এসে শিশু ও বয়স্কদের দিকে আগে নজর দিলেন। যারা এসব খাবার নিয়ে এসেছিলেন, আমি নিশ্চিত তারা সবাই দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। দুর্মূল্যের বাজারে তাদের সংসার চালানো দায়, কিন্তু এসব কিছুই ভাবেননি তারা। ঘরের খাবারতো এনেছেনই, কেউ কেউ আবার বলেছেন রান্নার ব্যবস্থা করার কথা। পুরো দৃশ্যে আমি অসম্ভব রকমের অবাক হয়েছি। বিশাল মন না থাকলে এগুলো করা সম্ভব নয়। তাদের এ কাজে মুগ্ধ হওয়া ও প্রশংসা করা ছাড়া কিছু বলার নেই।