জুলাই-আগস্টে আন্দোলনে আহত ১০০ জনকে পুলিশে চাকরি দেওয়া হবে। ‘আহতদের সচ্ছলতায় ফেরাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার সবচেয়ে বেশি মানি লন্ডারিং করেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের বিশেষ শাখা এসবি ও সিআইডির প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, সবাইকে তো আর নেওয়া যাবে না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আহতদের মধ্যে থেকে কিছু সংখ্যক আমরা পুলিশ বাহিনীতে নেবো। আপাতত ১০০ জন আহতকে দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি। পরে আমরা এ সংখ্যাটা আরও বাড়াবো।
বিগত সরকারের আমলে সব থেকে বড় সমস্যা ছিল মানিলন্ডারিং। আমি সিআইডি প্রধানকে বলেছি যেন দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনার প্রতিবেদন দেওয়া হয়। তিনি বলেন, তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করে লাভ নেই। আমি একটা রিপোর্ট চাই, কারা কারা মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত, যদি তদন্তের নামে দুই থেকে তিন বছর চলে যায় তাহলে তো এটার কোনো কার্যকারিতা থাকে না।
ট্রাফিকের একটা সমস্যা রয়ে গেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমরা এক হাজার ছাত্রকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত ৪০০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা আরও একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম যে, বিভিন্ন বাহিনী থেকে যারা অবসরে গেছেন তাদের নিয়োগ দিয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলায় নিয়োজিত করতে। তবে অবসরপ্রাপ্তরা এ বিষয়ে রেসপন্স খুব কম দিয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম তারা অনেকে আসতে চাইবে, কিন্তু ওই রকম সংখ্যা আমরা পাইনি। তবে আমরা আপাতত ৫০-৬০ জনের মতো পেয়েছি। আমরা চেয়েছিলাম অন্তত ৫০০ জন দিয়ে শুরু করি।
যানজটের সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‹যানজট দূর করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একার দায়িত্ব না। আমরা তারপরও এক হাজার শিক্ষার্থী দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। তাদের আমরা মিনিমাম একটা পারিশ্রমিক দেবো। শুরুতে ইচ্ছে ছিল ৫০০ জন নিয়ে কাজ করব। তবে সে পরিমাণ লোকবল পাওয়া যায়নি।›
পুলিশ তাদের কাজ শুরু করেছে। পুলিশ এখন একটু সময় নিয়ে কাজ করছে। রাস্তাঘাট চিনতে সময় লাগছে তাদের। গাড়ি নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। আমরা এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।›
পাঁচ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারে পতনের পরে অনেকে পালিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে আপনারা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‹৫-৬ আগস্ট কোনো সরকারই ছিল না। তখন অনেকে পালিয়ে গেছেন। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী দেশে চলে গেছেন অনেকে। তখন তো আমরা ছিলাম না। তবে আমরা সরকারে আসার পর কেউ পালিয়ে গেছে কি না, সেটা বলেন। এরপরও যদি কেউ গিয়ে থাকেন, আমরা বিষয়টি দেখব।