ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প, পুতিনকে নিয়ে অসন্তোষ Logo বেনারসি, ভারী গহনায় চমকে দিলেন পরীমণি Logo সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের Logo বই পড়ার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় : ডিসি Logo সোনারগাঁয়ে ৩ টি অবৈধ চুনা কারখানা গুড়িয়ে দিয়ে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন Logo নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের সামনে সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ চরমে Logo পানিতে তলিয়ে আছে সিদ্ধিরগঞ্জের ইকবাল গ্রুপ, কোটি কোটি টাকার ক্ষতি, ব্যবস্থা নেওয়া হবে সিইও Logo রূপগঞ্জ মধুখালি তিনরাস্তার মোড়ে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের উৎপাত; প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন Logo রূপগঞ্জে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মশাল মিছিল নিহত সোহাগসহ সব হত্যার বিচার দাবি Logo এবার কি অন্যের ঘরভাঙার কারণ হচ্ছেন সামান্থা?

সিদ্ধিরগঞ্জে চুনা কারখানায় কোটি কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা লাইমস, আরাফাত লাইমস, মেঘনা লাইমস ও জাজিরা লাইমস চুনা কারখানা গুলোর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে।
নাম দেখানো মাত্র ভ্যাট দিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আত্মসাৎ করেছে উক্ত চুনা কারখানাগুলো মালিকরা এমনটাই দাবি সূত্রের।

নাসিক ১ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ঢাকা লাইমসের মালিক নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড আওয়মীলীগের সভাপতি হাজী খোরশেদ আলম, আরাফাত লাইমসের মালিক হাজী হজরত আলী, জাজিরা লাইমসের মালিক নাসিক ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আনোয়ার ইসলাম এবং নাসিক ৪ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মেঘলা লাইমসের মালিক ও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হাই মেম্বার।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উক্ত চুনার কারখানা গুলো থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার চুনা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মন চুনার দাম ৪৮০ টাকা। প্রতি ট্রাকে ৫০০ মন চুন ধরে। যার বাজার মূল্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। এতে সরকার ভ্যাট পাওয়ার কথা ৩৬ হাজার টাকা। প্রতি ট্রাক চুনায় ভ্যাট ৩৬ হাজার টাকা আসলে ৩০ দিনে ৩০ ট্রাক চুনার গাড়ী থেকে ভ্যাট আসার কথা ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক ব্যক্তি বলেন, উক্ত চুনা প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে করে লক্ষ লক্ষ টাকার চুনা বিক্রি করলেও সঠিক ভাবে সরকারকে রাজস্ব দিচ্ছ না মালিকরা। ভ্যাট ফাঁকির জন্য ভুয়া চালান দিয়ে এসব চুনা বিক্রি করে। রাজস্ব ফাঁকি আর গ্যাস চুরি করে রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন চুনা ব্যবসায়ীরা। একসময় হতদরিদ্র মালিকরা চুনা কারখানা দিয়ে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আলাদিনের চেরাগের মত হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তারা। নামে-বেনামে ব্যাংক ব্যালেন্স, বাড়ী, গাড়ী সহ ইত্যাদি সম্পদ করেছেন উক্ত চুনা ব্যবসায়ীরা। যা দুদক উক্ত চুনা ব্যবসায়ীদের সম্পদের হিসাব নিলেই বের হয়ে আসবে।

তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমসকে ম্যানেজ করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে চুনা ব্যবসায়ীরা। কাস্টমস কর্মকর্তারা রহস্যজনক কারনে উক্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। নামমাত্র ভ্যাট দিয়ে কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে তারা।

সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমসের রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা কাজী ফারুক বলেন,
প্রতিটি চুনা কারখানা থেকে মালিকরা আমাদের প্রতি মাসে আনুমানিক ৯০ থেকে ১ লক্ষ টাকা ভ্যাট দিচ্ছে। তারা বিক্রি অনুযায়ী এ ভ্যাট প্রদান করছে। তবে আমরা উক্ত চুনা কারখানা গুলোকে আমাদের নজরদারিতে রাখবো, যদি ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

উক্ত বিষয়ে জানতে চুনা কারখানার মালিকদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা করা সম্ভব হয়নি।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প, পুতিনকে নিয়ে অসন্তোষ

সিদ্ধিরগঞ্জে চুনা কারখানায় কোটি কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:২৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা লাইমস, আরাফাত লাইমস, মেঘনা লাইমস ও জাজিরা লাইমস চুনা কারখানা গুলোর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে।
নাম দেখানো মাত্র ভ্যাট দিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আত্মসাৎ করেছে উক্ত চুনা কারখানাগুলো মালিকরা এমনটাই দাবি সূত্রের।

নাসিক ১ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ঢাকা লাইমসের মালিক নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড আওয়মীলীগের সভাপতি হাজী খোরশেদ আলম, আরাফাত লাইমসের মালিক হাজী হজরত আলী, জাজিরা লাইমসের মালিক নাসিক ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আনোয়ার ইসলাম এবং নাসিক ৪ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মেঘলা লাইমসের মালিক ও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হাই মেম্বার।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উক্ত চুনার কারখানা গুলো থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার চুনা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মন চুনার দাম ৪৮০ টাকা। প্রতি ট্রাকে ৫০০ মন চুন ধরে। যার বাজার মূল্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। এতে সরকার ভ্যাট পাওয়ার কথা ৩৬ হাজার টাকা। প্রতি ট্রাক চুনায় ভ্যাট ৩৬ হাজার টাকা আসলে ৩০ দিনে ৩০ ট্রাক চুনার গাড়ী থেকে ভ্যাট আসার কথা ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক ব্যক্তি বলেন, উক্ত চুনা প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে করে লক্ষ লক্ষ টাকার চুনা বিক্রি করলেও সঠিক ভাবে সরকারকে রাজস্ব দিচ্ছ না মালিকরা। ভ্যাট ফাঁকির জন্য ভুয়া চালান দিয়ে এসব চুনা বিক্রি করে। রাজস্ব ফাঁকি আর গ্যাস চুরি করে রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন চুনা ব্যবসায়ীরা। একসময় হতদরিদ্র মালিকরা চুনা কারখানা দিয়ে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আলাদিনের চেরাগের মত হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তারা। নামে-বেনামে ব্যাংক ব্যালেন্স, বাড়ী, গাড়ী সহ ইত্যাদি সম্পদ করেছেন উক্ত চুনা ব্যবসায়ীরা। যা দুদক উক্ত চুনা ব্যবসায়ীদের সম্পদের হিসাব নিলেই বের হয়ে আসবে।

তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমসকে ম্যানেজ করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে চুনা ব্যবসায়ীরা। কাস্টমস কর্মকর্তারা রহস্যজনক কারনে উক্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। নামমাত্র ভ্যাট দিয়ে কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে তারা।

সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমসের রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা কাজী ফারুক বলেন,
প্রতিটি চুনা কারখানা থেকে মালিকরা আমাদের প্রতি মাসে আনুমানিক ৯০ থেকে ১ লক্ষ টাকা ভ্যাট দিচ্ছে। তারা বিক্রি অনুযায়ী এ ভ্যাট প্রদান করছে। তবে আমরা উক্ত চুনা কারখানা গুলোকে আমাদের নজরদারিতে রাখবো, যদি ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

উক্ত বিষয়ে জানতে চুনা কারখানার মালিকদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা করা সম্ভব হয়নি।