ঢাকা , বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিছু স্মৃতি কিছু কথা যা এখন শুধুই স্মৃতি; আমাদের মাঝে স্মৃতি কথা হয়ে চির অম্লান থাকুক তোফাজ্জল ভাই

মোঃ শফিকুল ইসলাম আরজু: শুরুতেই শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি নারায়ণগঞ্জের আপোষহীন নির্ভীক একজন সৎ সাহসি সাংবাদিক এর নাম দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন। যিনি গত ২০২৫ এর ২রা জানুয়ারিতে আমাদের সকলের মায়া ত্যাগ করে পৃথিবীর বুক থেকে চির বিদায় নিয়েছেন। তাঁর এই অসময়ে চলে যাওয়া, চির বিদায় নেয়া, আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ পাকের দরবারে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করি এবং তাঁর প্রতি জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।

তোফাজ্জল ভাইয়ের সাথে সম্পর্কের শুরুটা আমার বেশি দিনের নয়। পেশাগত সূত্রে ২০০৬ সালে পরিচয়। পরিচয়ের পর থেকে সে আমাকে সাংবাদিকতার সম্পর্কে সীমাবদ্ধ রাখেননি বরং ছোট ভাই হিসেবে আমার প্রতি ছিলো তাঁর স্নেহ এবং ভালোবাসা।

তোফাজ্জল ভাইয়ের সাথে পরিচয় হবার পর থেকেই তিনি আমাকে কখনো উপদেশ দিতেন আবার সময় বিশেষ শাসনের সুরে কথা বলতেন। তাঁর এই আচরণে আমি কখনো উৎসাহ পেতাম আবার কখনো সংশোধিত হতাম। তাঁর সংস্পর্শে থেকে সাংবাদিকতা পেশায় দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে নিজের মধ্যে অনেক সাহসী মনোবল তৈরি করতে পেরেছি। শিখতে পেরেছি অনেক কিছু। আজ তাঁর একটি কথা বার বার স্মরণ হয়। দেখা হলেই বলতেন আরজু চারপাশে যে সব অনিয়ম অবিচার ও অসহায় মানুষ নির্যাতিত হয় এবং জনগণের দুর্ভোগের নিউজগুলো লিখো- তা আমার পত্রিকায় পাঠিয়ে দিও। তাঁর এমন সাহসী কথায় অনেক নিউজ লিখে পাঠিয়েছি। সে সব নিউজ যত্ন সহকারে প্রকাশ করেছেন দৈনিক ইয়াদ পত্রিকায়। এর জন্য কৃতজ্ঞ তোফাজ্জল ভাইয়ের নিকট। আমার দেখা সে একজন মানবিক, পরিবেশ বান্ধব, সামাজিক ও বিনোদন প্রেমী, এ ছাড়াও একজন সৃজনশীল সাহিত্যিক। তাকে দেখেছি একজন নিরলস পরিশ্রমি। সর্বদা হাসি-খুশি ও নিরহংকারী, মুক্ত মনের ও স্পষ্টভাষী মানুষ। তাঁর এসব গুণাবলী যা কখনো ভুলবার নয়।

তিনি একজন সাংবাদিক বান্ধব ও সংগঠন প্রিয় মানুষ ছিলেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলো তাঁর কণ্ঠস্বর। আমার যে কোন আমন্ত্রণে তিনি পাশে ছিলেন এবং কাজের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে উৎসাহ দিতেন। আজ তাঁর এ চলে যাওয়ায় আমি হারালাম আমার প্রিয় একজন অভিভাবক বড় ভাইকে। কিন্তু তাঁর সাথে চলা সময় ও কর্মগুলো কিছু স্মৃতি কিছু কথা হয়ে আমার মাঝে তিনি বেঁচে থাকবেন চিরকাল। যা এখন শুধুই স্মৃতি হয়ে থাকবে তাঁর শূণ্যতার মাঝেও আমার হৃদয়ে। পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই, তোফাজ্জল ভাই তাঁর আদর্শ কর্মগুণে স্মৃতিকথা হয়ে চির অম্লান থাকুক আমাদের মাঝে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

কিছু স্মৃতি কিছু কথা যা এখন শুধুই স্মৃতি; আমাদের মাঝে স্মৃতি কথা হয়ে চির অম্লান থাকুক তোফাজ্জল ভাই

আপডেট সময় ১০:০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

মোঃ শফিকুল ইসলাম আরজু: শুরুতেই শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি নারায়ণগঞ্জের আপোষহীন নির্ভীক একজন সৎ সাহসি সাংবাদিক এর নাম দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন। যিনি গত ২০২৫ এর ২রা জানুয়ারিতে আমাদের সকলের মায়া ত্যাগ করে পৃথিবীর বুক থেকে চির বিদায় নিয়েছেন। তাঁর এই অসময়ে চলে যাওয়া, চির বিদায় নেয়া, আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ পাকের দরবারে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করি এবং তাঁর প্রতি জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।

তোফাজ্জল ভাইয়ের সাথে সম্পর্কের শুরুটা আমার বেশি দিনের নয়। পেশাগত সূত্রে ২০০৬ সালে পরিচয়। পরিচয়ের পর থেকে সে আমাকে সাংবাদিকতার সম্পর্কে সীমাবদ্ধ রাখেননি বরং ছোট ভাই হিসেবে আমার প্রতি ছিলো তাঁর স্নেহ এবং ভালোবাসা।

তোফাজ্জল ভাইয়ের সাথে পরিচয় হবার পর থেকেই তিনি আমাকে কখনো উপদেশ দিতেন আবার সময় বিশেষ শাসনের সুরে কথা বলতেন। তাঁর এই আচরণে আমি কখনো উৎসাহ পেতাম আবার কখনো সংশোধিত হতাম। তাঁর সংস্পর্শে থেকে সাংবাদিকতা পেশায় দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে নিজের মধ্যে অনেক সাহসী মনোবল তৈরি করতে পেরেছি। শিখতে পেরেছি অনেক কিছু। আজ তাঁর একটি কথা বার বার স্মরণ হয়। দেখা হলেই বলতেন আরজু চারপাশে যে সব অনিয়ম অবিচার ও অসহায় মানুষ নির্যাতিত হয় এবং জনগণের দুর্ভোগের নিউজগুলো লিখো- তা আমার পত্রিকায় পাঠিয়ে দিও। তাঁর এমন সাহসী কথায় অনেক নিউজ লিখে পাঠিয়েছি। সে সব নিউজ যত্ন সহকারে প্রকাশ করেছেন দৈনিক ইয়াদ পত্রিকায়। এর জন্য কৃতজ্ঞ তোফাজ্জল ভাইয়ের নিকট। আমার দেখা সে একজন মানবিক, পরিবেশ বান্ধব, সামাজিক ও বিনোদন প্রেমী, এ ছাড়াও একজন সৃজনশীল সাহিত্যিক। তাকে দেখেছি একজন নিরলস পরিশ্রমি। সর্বদা হাসি-খুশি ও নিরহংকারী, মুক্ত মনের ও স্পষ্টভাষী মানুষ। তাঁর এসব গুণাবলী যা কখনো ভুলবার নয়।

তিনি একজন সাংবাদিক বান্ধব ও সংগঠন প্রিয় মানুষ ছিলেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলো তাঁর কণ্ঠস্বর। আমার যে কোন আমন্ত্রণে তিনি পাশে ছিলেন এবং কাজের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে উৎসাহ দিতেন। আজ তাঁর এ চলে যাওয়ায় আমি হারালাম আমার প্রিয় একজন অভিভাবক বড় ভাইকে। কিন্তু তাঁর সাথে চলা সময় ও কর্মগুলো কিছু স্মৃতি কিছু কথা হয়ে আমার মাঝে তিনি বেঁচে থাকবেন চিরকাল। যা এখন শুধুই স্মৃতি হয়ে থাকবে তাঁর শূণ্যতার মাঝেও আমার হৃদয়ে। পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই, তোফাজ্জল ভাই তাঁর আদর্শ কর্মগুণে স্মৃতিকথা হয়ে চির অম্লান থাকুক আমাদের মাঝে।