ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কিছু স্মৃতি কিছু কথা যা এখন শুধুই স্মৃতি; আমাদের মাঝে স্মৃতি কথা হয়ে চির অম্লান থাকুক তোফাজ্জল ভাই Logo সোনারগাঁয়ে আল হাবিব ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট মাদ্রাসায় বছরের নতুন বই বিতরণ Logo দড়ি সোনাকান্দা তিন গুম্বজ জামে মসজিদের ব্যাটারী চুরি Logo বন্দরে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ Logo সুস্থ প্রজন্মের নারায়ণগঞ্জ গড়ার ক্ষেত্রে আমাদেরই ভূমিকা রাখতে হবে : সাদরিল Logo সিদ্ধিরগঞ্জে স্বামীর গোপনাঙ্গ কাটলেন দ্বিতীয় স্ত্রী Logo সোনারগাঁয়ে ৬০ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার Logo লম্পট ও প্রতারক বাদলের অত্যাচার থেকে রূপগঞ্জ মধুখালী’র মানুষ মুক্তি চায় এবং গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারির দাবী Logo রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দল Logo সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন ও সেলিমের জন্য সহকর্মীদের দোয়া মাহফিল

লম্পট ও প্রতারক বাদলের অত্যাচার থেকে রূপগঞ্জ মধুখালী’র মানুষ মুক্তি চায় এবং গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারির দাবী

নিজস্ব প্রতিনিধি- নারায়ণগঞ্জ জেলা রূপগঞ্জ থানাধীন ব্রাক্ষনখালী মধুখালী এলাকার মৃত আঃ হক মিয়া’র পুত্র বাদল মিয়ার অত্যাচার, লুচ্চামী ও প্রতারনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাদল তাঁর অসাধু কৌশল অবলম্বন করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বেহাইয়া ও নির্লজ্জের মতো সারা এলাকায় বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করে। একরোখা ও গোয়ার বাদলের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই বাদল তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা ও প্রশাসনের ভয় দেখায়। বাদলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে। এ ছাড়াও বাদল স্হানীয় এলাকায় একজন দুশ্চরিত্রের লোক বলে পরিচিত অনেকের মুখে মুখে প্রচার আছে । এই লম্পট, দুশ্চরিত্র ও প্রতারক বাদলের হাত থেকে এলাকাবাসী মুক্তি চায় এবং তার শাস্তির দাবিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন।

বাদল সম্পর্কে তথ্য সূত্রে জানা যায় যে, বিগত আওয়ামী সরকারের সময় বাদল আওয়ামী লীগের কোন পদ পদবী না থাকলেও তার নিকট আত্নীয় রূপগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জিলানীর নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, জমিদখল ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তার এই বেআইনি ও অপরাধমূলক কাজে সহযোগিতা করতেন তার বোন জামাই মাসুম মিয়া। বাদলের একটি ১০/১৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। যাদেরকে সঙ্গে নিয়ে বাদল এলাকায় দেশী বিদেশি অস্ত্র হাতে নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এ ছাড়া বাদল কতিপয় অসাধু পুলিশ প্রশাসনের সাথে সু সম্পর্ক তৈরি করে সেই সকল অসাধু পুলিশের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে টোপে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতেন বলেও অনেকের মুখে জানা যায়। বাদল সম্পর্কে সম্প্রতি এমন কথা জানা যায় যে প্রবাস ফেরত একজন অসহায় মানুষকে জমি বায়নার টাকা নিয়ে জমি রেজিষ্ট্রেশন করে না দিয়ে টাকা মেরে দেবার ফন্দি করছে এবং বায়না মালিককে ও তার ছেলে স্কুল শিক্ষার্থীকে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় ফাঁসিয়ে দিয়ে হয়রানি করছে।

বাদল ও তার পরিবার সম্পর্কে এলাকায় অনেক বদনাম রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একব্যক্তি জানান, বাদলের বাবাও লোক হিসেবে ভালো ছিলেন না। তার বাবা অনেক নারীর চরিত্র নষ্ট করতে গিয়ে ধরা খেয়ে সমাজের মানুষের সামনে মাথানত করে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। ঠিক তার বাবার চরিত্র বাদল ধরে রাখতে এলাকার অনেক মেয়েদেরসাথে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করে তাদের সাথে প্রতারনা করেছে এবং অনেকের কাছ থেকে টাকা ও স্বর্ণ অলংকার হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও জানান। তিনি আরো জানান, বাদল এতটাই দুশ্চরিত্রের লোক যে তার হাত থেকে রাস্তার কোন পাগলীও ছাড় পায়না। তাঁর লোলুভ দৃষ্টিতে পড়তে হয়েছে। বিগত সময়ে বাদল কাঞ্চন ব্রিজের চেক পোষ্টে বসে থাকে চাঁদাবাজি ও ধান্ধাবাজি করতেন। তার কাজে সহযোগিতা করতো একজন ট্রাফিক পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা। বাদল তাদেরকে ব্যবহার করে অনেক মানুষকে জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আর যারা টাকা দিতে অপারগতা জানিয়েছে তাদেরকে অনেক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। লম্পট এই বাদলের কারনে অনেক পরিবারে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেকের সুখের সংসার তছনছ হয়ে গেছে।

বাদলের এ ধরনের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। তাঁর এ অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করতে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকার লোকজন রূপগঞ্জ থানার আইনশৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং সেই সাথে গোয়েন্দা সংস্থার নিকট সহযোগিতা কামনা করেন তাঁরা যেনো বাদলের নানাবিধ অপরাধ মূলক কাজের তথ্য সংগ্রহ করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেন। সকলেই এই বাদলের অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

কিছু স্মৃতি কিছু কথা যা এখন শুধুই স্মৃতি; আমাদের মাঝে স্মৃতি কথা হয়ে চির অম্লান থাকুক তোফাজ্জল ভাই

লম্পট ও প্রতারক বাদলের অত্যাচার থেকে রূপগঞ্জ মধুখালী’র মানুষ মুক্তি চায় এবং গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারির দাবী

আপডেট সময় ০৪:০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি- নারায়ণগঞ্জ জেলা রূপগঞ্জ থানাধীন ব্রাক্ষনখালী মধুখালী এলাকার মৃত আঃ হক মিয়া’র পুত্র বাদল মিয়ার অত্যাচার, লুচ্চামী ও প্রতারনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাদল তাঁর অসাধু কৌশল অবলম্বন করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বেহাইয়া ও নির্লজ্জের মতো সারা এলাকায় বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করে। একরোখা ও গোয়ার বাদলের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই বাদল তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা ও প্রশাসনের ভয় দেখায়। বাদলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে। এ ছাড়াও বাদল স্হানীয় এলাকায় একজন দুশ্চরিত্রের লোক বলে পরিচিত অনেকের মুখে মুখে প্রচার আছে । এই লম্পট, দুশ্চরিত্র ও প্রতারক বাদলের হাত থেকে এলাকাবাসী মুক্তি চায় এবং তার শাস্তির দাবিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন।

বাদল সম্পর্কে তথ্য সূত্রে জানা যায় যে, বিগত আওয়ামী সরকারের সময় বাদল আওয়ামী লীগের কোন পদ পদবী না থাকলেও তার নিকট আত্নীয় রূপগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জিলানীর নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, জমিদখল ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তার এই বেআইনি ও অপরাধমূলক কাজে সহযোগিতা করতেন তার বোন জামাই মাসুম মিয়া। বাদলের একটি ১০/১৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। যাদেরকে সঙ্গে নিয়ে বাদল এলাকায় দেশী বিদেশি অস্ত্র হাতে নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এ ছাড়া বাদল কতিপয় অসাধু পুলিশ প্রশাসনের সাথে সু সম্পর্ক তৈরি করে সেই সকল অসাধু পুলিশের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে টোপে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতেন বলেও অনেকের মুখে জানা যায়। বাদল সম্পর্কে সম্প্রতি এমন কথা জানা যায় যে প্রবাস ফেরত একজন অসহায় মানুষকে জমি বায়নার টাকা নিয়ে জমি রেজিষ্ট্রেশন করে না দিয়ে টাকা মেরে দেবার ফন্দি করছে এবং বায়না মালিককে ও তার ছেলে স্কুল শিক্ষার্থীকে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় ফাঁসিয়ে দিয়ে হয়রানি করছে।

বাদল ও তার পরিবার সম্পর্কে এলাকায় অনেক বদনাম রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একব্যক্তি জানান, বাদলের বাবাও লোক হিসেবে ভালো ছিলেন না। তার বাবা অনেক নারীর চরিত্র নষ্ট করতে গিয়ে ধরা খেয়ে সমাজের মানুষের সামনে মাথানত করে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। ঠিক তার বাবার চরিত্র বাদল ধরে রাখতে এলাকার অনেক মেয়েদেরসাথে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করে তাদের সাথে প্রতারনা করেছে এবং অনেকের কাছ থেকে টাকা ও স্বর্ণ অলংকার হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও জানান। তিনি আরো জানান, বাদল এতটাই দুশ্চরিত্রের লোক যে তার হাত থেকে রাস্তার কোন পাগলীও ছাড় পায়না। তাঁর লোলুভ দৃষ্টিতে পড়তে হয়েছে। বিগত সময়ে বাদল কাঞ্চন ব্রিজের চেক পোষ্টে বসে থাকে চাঁদাবাজি ও ধান্ধাবাজি করতেন। তার কাজে সহযোগিতা করতো একজন ট্রাফিক পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা। বাদল তাদেরকে ব্যবহার করে অনেক মানুষকে জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আর যারা টাকা দিতে অপারগতা জানিয়েছে তাদেরকে অনেক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। লম্পট এই বাদলের কারনে অনেক পরিবারে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেকের সুখের সংসার তছনছ হয়ে গেছে।

বাদলের এ ধরনের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। তাঁর এ অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করতে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকার লোকজন রূপগঞ্জ থানার আইনশৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং সেই সাথে গোয়েন্দা সংস্থার নিকট সহযোগিতা কামনা করেন তাঁরা যেনো বাদলের নানাবিধ অপরাধ মূলক কাজের তথ্য সংগ্রহ করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেন। সকলেই এই বাদলের অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি চায়।