ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফতুল্লায় আওয়ামী দোসর শ্রমিকলীগ নেতা পলাশের সাঙ্গ পাঙ্গদের বিরুদ্ধে ভূমি দস্যুতার অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিনিধি : গত ৫ আগষ্টের পর ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার বিদায় হয়ে গেলেও এখনো তাদের দোসররা রয়ে গেছে বিএনপি’র কাধে ভর করে। তাদের নাম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধ মূলক কাজ করছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় সাবেক শ্রমিকলীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশের সাঙ্গ পাঙ্গরা ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মনির উদ্দিন, কুতুবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা তনু, তুহিন, শ্রমিকলীগ নেতা রিয়াদ, হাজী আব্দুল বারীর ছেলে সোহাগ, শাখাওয়াত, সুমন, স্বরণ স্থানীয় কুতুবপর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নিরহ মানুষদের জোর পূর্বক জমি দখল,ডাকাতি, চুড়ি, ছিনতাই সহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরো জানায়, সরকার পতন হওয়ার পর ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলী সরকারের খোলস পাল্টে এসব নেতারা এখন রাতারাতি বিএনপি পরিচয় দিয়ে এলকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। অত্র এলাকায় শ্রমিকলীগ নেতা কাউছাড় আহাম্মেদ পলাশের একক অধিপত্য থাকার কারনে বর্তমানে বিএনপি নেতাদের সেল্টারে এখনো তিনি এলাকায় স্বাভাবিক ভাবেই রয়ে গেছেন। আর সে কারনেই তার অধিনস্ত নেতা-কর্মীরা হিংস্র হয়ে এলাকায় নিরহ মানুষদের জোর পূর্বক জমি দখল, লুটপাট, চাদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সহ এমনকি মৎস খামারও দখলে নিচ্ছে। সম্প্রতি এধরনের কর্মকান্ডের অভিযোগে ফতুল্লার রেল ষ্টেশন ব্যাংক কলোনী এলাকার কবির হোসেন বাবুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম মৃদুল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের নিকট এ বিষযে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। তারা এথনো এলাকায় বীরদর্পে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।

লিখিত অভিযোগের বিবরেন সাইফুল ইসলাম মৃদুল জানায়, গত-১৬/১২/২০২৪ তারিখ বেলা অনুমান ১১টার সময় উল্লেখিত বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন প্রত্যেকে হাতে রাম দা, ছোরা, চাকু, লোহার রড, জিআই পাইপ, হকিষ্টিক ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-সসূত্রে সজ্জিত হইয়া বে-আইনী জনতাবদ্ধে অনাধিকারে বর্নিত মৎস্য খামারের ভিতর প্রবেশ করে মৎস্য খামার জোর পূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। বিবাদীদের বাধা নিষেধ করিলে বিবাদীরা আমাকে মারধর করার জন্য উদ্যত হয়। এক পর‌্যায়ে বিবাদীরা মৎস্য খামারের ভিতর একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করতঃ বিবাদীরা মৎস্য খামারে স্থাপনকৃত ২০টি সিসি ক্যামেরা, মূল্য অনুমান ৩৫,০০০/-টাকা, অনুমান ৪০,০০০/- টাকার বৈদ্যুতিক তার, একটি স্টিলের নৌকা, মূল্য অনুমান ৪০,০০০/-টাকা সহ মৎস্য খামারের অফিস রুমের তালা ভাঙ্গিয়া অফিসের টেবিলের ড্রয়ারে রক্ষিত মাছ বিক্রয়ের নগদ ২,৫০,০০০/- টাকা চুরি করিয়া নেয়। সংবাদ পাইয়া আমি আমার বর্নিত মৎস্য খামারে যাইয়া বিবাদীদেরকে বাধা দিতে গেলে বিবাদীরা আমাকে এই মর্মে হুমকি প্রদান করে যে, বিবাদীরা আমার মৎস্য খামার যে কোন মূল্যে জবর দখল করিয়া নিবে। আমি সহ আমার লোকজন বাধা দিতে গেলে বিবাদীরা আমাদেরকে খুন জখম করিবে মর্মে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় লোকজনকে জানাইয়া আমার আত্মীয় স্বজনের সহিত আলোচনা করে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে উক্ত সংবাদ পাইয়া উপরোক্ত বিবাদীগণ সহ ১২। সুজন, পিতা- নূরু, ১৩। রিয়াজ, পিতা- সফরদ্দিন, উভয় সাং- আলীগঞ্জ, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ সহ অজ্ঞাত নামা ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়া আমার মাছের খামারে অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমার মাছের খামার তালাবদ্ধ করিয়া এবং আমার ম্যানেজার ও কেয়ারটেকারকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিতে থাকাবস্থায় উক্ত সংবাদ পাইয়া আমি সহ উক্ত এলাকার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উক্ত ঘটনাস্থলে আসলে উপরোক্ত বিবাদীগণ আমাকে সহ মহিলা ভায়েস চেয়ারম্যান- ফাতেমা মল্লিককে এই মর্মে হুমকী প্রদান করে যে, উক্ত বিষয় নিয়া বেশি বারাবারি করিলে, তোর মাছের খামারের লোকজন ও তোদেরকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

ফতুল্লায় আওয়ামী দোসর শ্রমিকলীগ নেতা পলাশের সাঙ্গ পাঙ্গদের বিরুদ্ধে ভূমি দস্যুতার অভিযোগ!

আপডেট সময় ০৪:৫৪:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি : গত ৫ আগষ্টের পর ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার বিদায় হয়ে গেলেও এখনো তাদের দোসররা রয়ে গেছে বিএনপি’র কাধে ভর করে। তাদের নাম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধ মূলক কাজ করছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় সাবেক শ্রমিকলীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশের সাঙ্গ পাঙ্গরা ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মনির উদ্দিন, কুতুবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা তনু, তুহিন, শ্রমিকলীগ নেতা রিয়াদ, হাজী আব্দুল বারীর ছেলে সোহাগ, শাখাওয়াত, সুমন, স্বরণ স্থানীয় কুতুবপর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নিরহ মানুষদের জোর পূর্বক জমি দখল,ডাকাতি, চুড়ি, ছিনতাই সহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরো জানায়, সরকার পতন হওয়ার পর ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলী সরকারের খোলস পাল্টে এসব নেতারা এখন রাতারাতি বিএনপি পরিচয় দিয়ে এলকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। অত্র এলাকায় শ্রমিকলীগ নেতা কাউছাড় আহাম্মেদ পলাশের একক অধিপত্য থাকার কারনে বর্তমানে বিএনপি নেতাদের সেল্টারে এখনো তিনি এলাকায় স্বাভাবিক ভাবেই রয়ে গেছেন। আর সে কারনেই তার অধিনস্ত নেতা-কর্মীরা হিংস্র হয়ে এলাকায় নিরহ মানুষদের জোর পূর্বক জমি দখল, লুটপাট, চাদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সহ এমনকি মৎস খামারও দখলে নিচ্ছে। সম্প্রতি এধরনের কর্মকান্ডের অভিযোগে ফতুল্লার রেল ষ্টেশন ব্যাংক কলোনী এলাকার কবির হোসেন বাবুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম মৃদুল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের নিকট এ বিষযে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। তারা এথনো এলাকায় বীরদর্পে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।

লিখিত অভিযোগের বিবরেন সাইফুল ইসলাম মৃদুল জানায়, গত-১৬/১২/২০২৪ তারিখ বেলা অনুমান ১১টার সময় উল্লেখিত বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন প্রত্যেকে হাতে রাম দা, ছোরা, চাকু, লোহার রড, জিআই পাইপ, হকিষ্টিক ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-সসূত্রে সজ্জিত হইয়া বে-আইনী জনতাবদ্ধে অনাধিকারে বর্নিত মৎস্য খামারের ভিতর প্রবেশ করে মৎস্য খামার জোর পূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। বিবাদীদের বাধা নিষেধ করিলে বিবাদীরা আমাকে মারধর করার জন্য উদ্যত হয়। এক পর‌্যায়ে বিবাদীরা মৎস্য খামারের ভিতর একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করতঃ বিবাদীরা মৎস্য খামারে স্থাপনকৃত ২০টি সিসি ক্যামেরা, মূল্য অনুমান ৩৫,০০০/-টাকা, অনুমান ৪০,০০০/- টাকার বৈদ্যুতিক তার, একটি স্টিলের নৌকা, মূল্য অনুমান ৪০,০০০/-টাকা সহ মৎস্য খামারের অফিস রুমের তালা ভাঙ্গিয়া অফিসের টেবিলের ড্রয়ারে রক্ষিত মাছ বিক্রয়ের নগদ ২,৫০,০০০/- টাকা চুরি করিয়া নেয়। সংবাদ পাইয়া আমি আমার বর্নিত মৎস্য খামারে যাইয়া বিবাদীদেরকে বাধা দিতে গেলে বিবাদীরা আমাকে এই মর্মে হুমকি প্রদান করে যে, বিবাদীরা আমার মৎস্য খামার যে কোন মূল্যে জবর দখল করিয়া নিবে। আমি সহ আমার লোকজন বাধা দিতে গেলে বিবাদীরা আমাদেরকে খুন জখম করিবে মর্মে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় লোকজনকে জানাইয়া আমার আত্মীয় স্বজনের সহিত আলোচনা করে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে উক্ত সংবাদ পাইয়া উপরোক্ত বিবাদীগণ সহ ১২। সুজন, পিতা- নূরু, ১৩। রিয়াজ, পিতা- সফরদ্দিন, উভয় সাং- আলীগঞ্জ, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ সহ অজ্ঞাত নামা ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়া আমার মাছের খামারে অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমার মাছের খামার তালাবদ্ধ করিয়া এবং আমার ম্যানেজার ও কেয়ারটেকারকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিতে থাকাবস্থায় উক্ত সংবাদ পাইয়া আমি সহ উক্ত এলাকার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উক্ত ঘটনাস্থলে আসলে উপরোক্ত বিবাদীগণ আমাকে সহ মহিলা ভায়েস চেয়ারম্যান- ফাতেমা মল্লিককে এই মর্মে হুমকী প্রদান করে যে, উক্ত বিষয় নিয়া বেশি বারাবারি করিলে, তোর মাছের খামারের লোকজন ও তোদেরকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।