ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যারিবীয়দের ধবলধোলাইয়ে টাইগারদের ইতিহাস

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের বদলা, তেমনি প্রতিপক্ষকে তাদেরই মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করার এক যুগের অপেক্ষা ঘুচালো বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে জাকের আলি অনিকের ঝড়ো ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৯ রানের সংগ্রহ পায় লিটন দাসের দল। জবাবে টাইগারদের সম্মিলিত বোলিং আক্রমণে মাত্র ১০৯ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। টাইগাররা জয় পায় ৮০ রানের বড় ব্যবধানে। ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ও সবশেষ বাংলাদেশের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা পেল ক্যারিবীয়রা।

এর আগে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৭ রানের জয় পেয়েছিল টাইগাররা। আর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিং নৈপুণ্যে ২৭ রানের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভেল গ্রাউন্ডে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে স্বাগতিকদের ১৯০ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ১৬ ওভার ৪ বলে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

স্বাগতিকদের ১৯০ রানের বড় লক্ষ্যে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ব্র্যান্ডন কিংকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাসকিন। টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচেই তাসকিন পেয়েছেন কিংয়ের উইকেট। পরের ওভারে মেহেদী এসেই দিয়েছেন ধাক্কা। এক অঙ্কের স্কোর (৬) করে দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে জাস্টিন গ্রিভস ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। ৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ এরপর পাল্টা আক্রমণ করে বাংলাদেশের ওপর।

তবে তৃতীয় উইকেটে চার্লস ও পুরানের জুটি যখন ভয়ংকর হতে থাকে, তখন স্পিড ব্রেকার হিসেবে কাজ করেন মেহেদী। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে পুরানকে অসাধারণ এক বোলিংয়ে বোল্ড করেন মেহেদী। পুরান করেন ১০ বলে ১৫ রান। পাওয়ার প্লে (প্রথম ৬ ওভার) ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ করে ৩ উইকেটে ৪৫ রানে।

পাওয়ার প্লে- এরপর আক্রমণে আসেন হাসান মাহমুদ। তৃতীয় বলেই মিড অফে মেহেদীকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪ বলে শূন্য রান করা রোস্টন চেজ। সেই ওভারেই পঞ্চম বলে রান আউট হয়েছেন ১৮ বলে ২৩ রান করা চার্লস। এর পর ১০ম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদের হাফ ভলিকে ছক্কা মারতে গিয়ে উইকেটকিপার লিটনকে ক্যাচ দিয়ে রভম্যান পাওয়েল আউট হয়েছেন ১২ বলে ২ রান করে। শেফার্ডকে নিয়ে ক্যারিবীয়দের কিছুটা হাল ধরেন গুড়াকেশ মোতি। এই জুটি থেকে আসে ৩৫ রান। তাদের জুটি ভেঙেছেন রিশাদ। ফ্লাইটেড ডেলিভারি বোলারের মাথার উপর দিয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে যায়। লং অনে সেই ক্যাচ নেন তানজিম।

লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ১৬ ওভার ৪ বলে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস। ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেট মনে হচ্ছে। এই দলটির অধিনায়কত্ব করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। উপভোগ করছি। আমরা সিরিজ জিতেছি। কিন্তু ভালো একটি দলের বিপক্ষে এটি আরেকটি ম্যাচ। আমরা দল হিসেবে পারফর্ম করতে চাই।’

আলজারি জোসেফকেও বেশিদূর এগোতে দেননি রিশাদ। শর্ট কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হাসান মাহমুদের ক্যাচ হয়ে ফেরেন ১ রান করা এই ব্যাটার। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা শেফার্ড আউট হয়েছেন তানজিমের লেন্থ বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে হাসানকে ক্যাচ দিয়ে। আর তাসকিন ৪ রান করা ওবেড ম্যাকয়কে বোল্ড করে ক্যারিবীয়দের ইনিংস গুটিয়ে দেন। এতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এর আগে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয় না পাওয়া বাংলাদেশ পেল ক্যারিবীয়দের ধবলধোলাইয়ের স্বাদ।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে দারুণ এনে দেন পারভেজ হোসেন ইমন ও ক্যাপ্টেন লিটন কুমার দাস। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে পুল মারার চেষ্টায় ফেরেন ১৩ বলে ১৪ করা লিটন। ঠিক পরের ওভারে আরেক ছক্কা মারার পর বিদায় নেন ইমনও। পাওয়ার প্লেতে আসে ২ উইকেটে ৫৪ রান। এদিন আকিল হোসেন না থাকায় পাওয়ার প্লেতে স্পিনার আনেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়ার প্লের পর গুডাকেশ মোটি এসে তুলে নেন তানজিদ হাসান তামিমকে। তিনি ফেরেন ৯ বলে ৬ রান করে।

বিপর্যয় সামলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জাকের আলি অনিকের সঙ্গে গড়ে তুলেন জুটি। ৩১ বলে ৩৭ রানের জুটির পর ২০ বলে ২৭ করে ছক্কার চেষ্টায় থামেন মিরাজ।

এরপর জাকেরের সঙ্গে যুক্ত হন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। প্রথম দুই ম্যাচের হিরো এবার ব্যর্থ, ৪ বলে ২ রান করে হোন রান আউট। খানিক পর আরেক রান আউট, এবার বিদায় নেন শেখ মেহেদী হাসান। রান আউট ভেবে একবার ড্রেসিংরুমে চলে গিয়ে আবার ফেরা জাকের ১৬ বলে ১৭ থেকে করেন ৪১ বলে ৭২। তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে যোগ করেন ২৬ বলে ৫০। শেষ ওভারে পর পর তিন ছক্কায় দলকে নেন দুইশোর কাছে। শেষ ওভার থেকে আসে ২৫ রান। শেষ পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৭৫।

ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ম্যাচের সেরা জাকের। ওভারপ্রতি স্রেফ ৫.৭৫ রান দিয়ে আট উইকেট নিয়ে সিরিজ-সেরা শেখ মেহেদি।

টি-টোয়েন্টিতে একাধিক ম্যাচের পাঁচটি সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। সেই পাঁচ সিরিজের দুটি ছিল তিন ম্যাচের- একটি আয়ারল্যান্ড ও অন্যটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০২৩ সালের মার্চে ঘরের মাঠে সে সময়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই করাটা বিস্ময়কর ঘটনাই ছিল। তিন ম্যাচের অন্য সিরিজটি ২০১২ সালে। আয়ারল্যান্ড সফরে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। এক যুগ পর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে ধবলধোলাই করে সমর্থকদের আনন্দে ভাসালেন জাকের-লিটনরা।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্যারিবীয়দের ধবলধোলাইয়ে টাইগারদের ইতিহাস

আপডেট সময় ১২:০০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের বদলা, তেমনি প্রতিপক্ষকে তাদেরই মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করার এক যুগের অপেক্ষা ঘুচালো বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে জাকের আলি অনিকের ঝড়ো ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৯ রানের সংগ্রহ পায় লিটন দাসের দল। জবাবে টাইগারদের সম্মিলিত বোলিং আক্রমণে মাত্র ১০৯ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। টাইগাররা জয় পায় ৮০ রানের বড় ব্যবধানে। ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ও সবশেষ বাংলাদেশের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা পেল ক্যারিবীয়রা।

এর আগে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৭ রানের জয় পেয়েছিল টাইগাররা। আর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিং নৈপুণ্যে ২৭ রানের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভেল গ্রাউন্ডে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে স্বাগতিকদের ১৯০ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ১৬ ওভার ৪ বলে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

স্বাগতিকদের ১৯০ রানের বড় লক্ষ্যে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ব্র্যান্ডন কিংকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাসকিন। টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচেই তাসকিন পেয়েছেন কিংয়ের উইকেট। পরের ওভারে মেহেদী এসেই দিয়েছেন ধাক্কা। এক অঙ্কের স্কোর (৬) করে দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে জাস্টিন গ্রিভস ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। ৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ এরপর পাল্টা আক্রমণ করে বাংলাদেশের ওপর।

তবে তৃতীয় উইকেটে চার্লস ও পুরানের জুটি যখন ভয়ংকর হতে থাকে, তখন স্পিড ব্রেকার হিসেবে কাজ করেন মেহেদী। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে পুরানকে অসাধারণ এক বোলিংয়ে বোল্ড করেন মেহেদী। পুরান করেন ১০ বলে ১৫ রান। পাওয়ার প্লে (প্রথম ৬ ওভার) ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ করে ৩ উইকেটে ৪৫ রানে।

পাওয়ার প্লে- এরপর আক্রমণে আসেন হাসান মাহমুদ। তৃতীয় বলেই মিড অফে মেহেদীকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪ বলে শূন্য রান করা রোস্টন চেজ। সেই ওভারেই পঞ্চম বলে রান আউট হয়েছেন ১৮ বলে ২৩ রান করা চার্লস। এর পর ১০ম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদের হাফ ভলিকে ছক্কা মারতে গিয়ে উইকেটকিপার লিটনকে ক্যাচ দিয়ে রভম্যান পাওয়েল আউট হয়েছেন ১২ বলে ২ রান করে। শেফার্ডকে নিয়ে ক্যারিবীয়দের কিছুটা হাল ধরেন গুড়াকেশ মোতি। এই জুটি থেকে আসে ৩৫ রান। তাদের জুটি ভেঙেছেন রিশাদ। ফ্লাইটেড ডেলিভারি বোলারের মাথার উপর দিয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে যায়। লং অনে সেই ক্যাচ নেন তানজিম।

লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ১৬ ওভার ৪ বলে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস। ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেট মনে হচ্ছে। এই দলটির অধিনায়কত্ব করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। উপভোগ করছি। আমরা সিরিজ জিতেছি। কিন্তু ভালো একটি দলের বিপক্ষে এটি আরেকটি ম্যাচ। আমরা দল হিসেবে পারফর্ম করতে চাই।’

আলজারি জোসেফকেও বেশিদূর এগোতে দেননি রিশাদ। শর্ট কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হাসান মাহমুদের ক্যাচ হয়ে ফেরেন ১ রান করা এই ব্যাটার। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা শেফার্ড আউট হয়েছেন তানজিমের লেন্থ বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে হাসানকে ক্যাচ দিয়ে। আর তাসকিন ৪ রান করা ওবেড ম্যাকয়কে বোল্ড করে ক্যারিবীয়দের ইনিংস গুটিয়ে দেন। এতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এর আগে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয় না পাওয়া বাংলাদেশ পেল ক্যারিবীয়দের ধবলধোলাইয়ের স্বাদ।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে দারুণ এনে দেন পারভেজ হোসেন ইমন ও ক্যাপ্টেন লিটন কুমার দাস। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে পুল মারার চেষ্টায় ফেরেন ১৩ বলে ১৪ করা লিটন। ঠিক পরের ওভারে আরেক ছক্কা মারার পর বিদায় নেন ইমনও। পাওয়ার প্লেতে আসে ২ উইকেটে ৫৪ রান। এদিন আকিল হোসেন না থাকায় পাওয়ার প্লেতে স্পিনার আনেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়ার প্লের পর গুডাকেশ মোটি এসে তুলে নেন তানজিদ হাসান তামিমকে। তিনি ফেরেন ৯ বলে ৬ রান করে।

বিপর্যয় সামলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জাকের আলি অনিকের সঙ্গে গড়ে তুলেন জুটি। ৩১ বলে ৩৭ রানের জুটির পর ২০ বলে ২৭ করে ছক্কার চেষ্টায় থামেন মিরাজ।

এরপর জাকেরের সঙ্গে যুক্ত হন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। প্রথম দুই ম্যাচের হিরো এবার ব্যর্থ, ৪ বলে ২ রান করে হোন রান আউট। খানিক পর আরেক রান আউট, এবার বিদায় নেন শেখ মেহেদী হাসান। রান আউট ভেবে একবার ড্রেসিংরুমে চলে গিয়ে আবার ফেরা জাকের ১৬ বলে ১৭ থেকে করেন ৪১ বলে ৭২। তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে যোগ করেন ২৬ বলে ৫০। শেষ ওভারে পর পর তিন ছক্কায় দলকে নেন দুইশোর কাছে। শেষ ওভার থেকে আসে ২৫ রান। শেষ পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৭৫।

ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ম্যাচের সেরা জাকের। ওভারপ্রতি স্রেফ ৫.৭৫ রান দিয়ে আট উইকেট নিয়ে সিরিজ-সেরা শেখ মেহেদি।

টি-টোয়েন্টিতে একাধিক ম্যাচের পাঁচটি সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। সেই পাঁচ সিরিজের দুটি ছিল তিন ম্যাচের- একটি আয়ারল্যান্ড ও অন্যটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০২৩ সালের মার্চে ঘরের মাঠে সে সময়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই করাটা বিস্ময়কর ঘটনাই ছিল। তিন ম্যাচের অন্য সিরিজটি ২০১২ সালে। আয়ারল্যান্ড সফরে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। এক যুগ পর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে ধবলধোলাই করে সমর্থকদের আনন্দে ভাসালেন জাকের-লিটনরা।