ঢাকা , শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলো হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের

এক বছর সংঘাতের পর শেষ পর্যন্ত লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। মঙ্গলবার গ্রিনিচ মান সময় রাত ২টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, উভয় পক্ষই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তি মেনে নিয়েছে।

ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ১০-১ ভোটে চুক্তিটি অনুমোদনের পরপরই মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে বাইডেন বক্তৃতা দেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সাথে কথা বলেছেন এবং স্থানীয় সময় ভোর ৪ টা থেকে সংঘাতের অবসান ঘটবে।

চুক্তিটি শত্রুতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য সাজানো হয়েছে উল্লেখ করে বাইডেন বলেছেন, হিজবুল্লাহ এবং অবশিষ্ট অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনকে আবার ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে দেওয়া হবে না।’

তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েল ধীরে ধীরে ৬০ দিনের মধ্যে তার বাহিনী প্রত্যাহার করবে। কারণ লেবাননের সেনাবাহিনী ইসরায়েলের সাথে তার সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে যাতে হিজবুল্লাহ সেখানে তাদের অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ না করে। ‘উভয় পক্ষের বেসামরিক লোকজন শিগগিরই নিরাপদে তাদের এলাকায় ফিরে যেতে সক্ষম হবে’- বলেন বাইডেন।

হিজবুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মন্তব্য করেনি। তবে সিনিয়র কর্মকর্তা হাসান ফাদলাল্লাহ লেবাননের আল জাদেদ টিভিকে জানিয়েছেন, লেবাননের রাষ্ট্রের কর্তৃত্বের সম্প্রসারণকে সমর্থন করলেও হিজবুল্লাহ যুদ্ধ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

লেবাননের পার্লামেন্টের এই সদস্য বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ প্রতিরোধে যোগ দেবে… প্রতিরোধকে নিরস্ত্র করার একটি ইসরায়েলি প্রস্তাব ছিল যা ভেস্তে গেছে।’
প্রসঙ্গত, গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার বাসিন্দাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পরের দিন থেকে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকায় হামলা শুরু করে। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে হিজবুল্লাহর ওপর বড় আকারে আঘাত হানতে শুরু করে ইসরায়েল। গোষ্ঠীটির যোগাযোগ নেটওয়ার্কে ডিভাইস বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে হাসান নাসারুল্লাহসহ শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলি বাহিনী হাজার হাজারবার বিমান হামলা চালিয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলো হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের

আপডেট সময় ০৯:৪০:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

এক বছর সংঘাতের পর শেষ পর্যন্ত লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। মঙ্গলবার গ্রিনিচ মান সময় রাত ২টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, উভয় পক্ষই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তি মেনে নিয়েছে।

ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ১০-১ ভোটে চুক্তিটি অনুমোদনের পরপরই মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে বাইডেন বক্তৃতা দেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সাথে কথা বলেছেন এবং স্থানীয় সময় ভোর ৪ টা থেকে সংঘাতের অবসান ঘটবে।

চুক্তিটি শত্রুতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য সাজানো হয়েছে উল্লেখ করে বাইডেন বলেছেন, হিজবুল্লাহ এবং অবশিষ্ট অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনকে আবার ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে দেওয়া হবে না।’

তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েল ধীরে ধীরে ৬০ দিনের মধ্যে তার বাহিনী প্রত্যাহার করবে। কারণ লেবাননের সেনাবাহিনী ইসরায়েলের সাথে তার সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে যাতে হিজবুল্লাহ সেখানে তাদের অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ না করে। ‘উভয় পক্ষের বেসামরিক লোকজন শিগগিরই নিরাপদে তাদের এলাকায় ফিরে যেতে সক্ষম হবে’- বলেন বাইডেন।

হিজবুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মন্তব্য করেনি। তবে সিনিয়র কর্মকর্তা হাসান ফাদলাল্লাহ লেবাননের আল জাদেদ টিভিকে জানিয়েছেন, লেবাননের রাষ্ট্রের কর্তৃত্বের সম্প্রসারণকে সমর্থন করলেও হিজবুল্লাহ যুদ্ধ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

লেবাননের পার্লামেন্টের এই সদস্য বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ প্রতিরোধে যোগ দেবে… প্রতিরোধকে নিরস্ত্র করার একটি ইসরায়েলি প্রস্তাব ছিল যা ভেস্তে গেছে।’
প্রসঙ্গত, গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার বাসিন্দাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পরের দিন থেকে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকায় হামলা শুরু করে। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে হিজবুল্লাহর ওপর বড় আকারে আঘাত হানতে শুরু করে ইসরায়েল। গোষ্ঠীটির যোগাযোগ নেটওয়ার্কে ডিভাইস বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে হাসান নাসারুল্লাহসহ শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলি বাহিনী হাজার হাজারবার বিমান হামলা চালিয়েছে।