ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক দুর্ঘটনা: নিহত ১, আহত ১৫ Logo চুলের রহস্য ফাঁস করলেন ক্যাটরিনা Logo গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন Logo ১২ ম্যাচে নবম হার ম্যানসিটির, আর্সেনালের বড় জয় Logo নারায়নগঞ্জ ক্লাবের নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হলেন- মোঃ সোলায়মান Logo ডোপ টেস্টে চালকসহ দুইজনের মদপানের সত্যতা মিলেছে Logo জিয়াউর রহমানকে ‘খুনি-রাজাকার’ বলায় যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা Logo ৩০ ডিসেম্বর চুনকা পাঠাগারে আন্তর্জাতিক লেখক দিবস উদযাপন করবে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব নারায়ণগঞ্জ Logo মদনগঞ্জ দারুস সালাম মাদরাসা’র বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ, পুরস্কার বিতরণ ও দোয়ার অনুষ্ঠান Logo উত্তর ভারতের প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামানো হচ্ছে ‘পুষ্পা-২’

স্কুলছাত্রকে হত্যার পর ৯ টুকরো, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র ইমনকে হত্যার পর ৯ টুকরো করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৭।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় র‌্যাব-১১’র সিপিসি-১’র কোম্পানি কমান্ডার মেজর অনাবিল ইমাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

এর আগে রোববার চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন চরলক্ষ্যা এলাকায় র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৭’র যৌথ অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আহম্মদ আলী (৬৬) ও সেন্টু মিয়া (৩৬) এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হোসনা বেগম (৫৮)।

র‌্যাব প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ২০১৩ সালের ১৬ জুন স্কুলছাত্র মো. ইমন হোসেন (১৪) তার দাদার সঙ্গে নিজ বাড়িতে ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছিলেন। রাত সাড়ে ৮টায় এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা ভিকটিমকে কৌশলে ঘর থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে যান। এরপর ভিকটিম আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। ভিকটিমের বাবা পরের দিন থেকে আশপাশের এলাকাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ভিকটিমকে খুঁজে পায়নি। ২০১৩ সালের ২২ জুন ভিকটিমের বাড়ির উত্তর-পশ্চিম পাশে ধইঞ্চা ও ধান ক্ষেতের মধ্যে ভিকটিম ইমনের ৯ টুকরো গলিত মরদেহ পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, আসামিদের সঙ্গে ভিকটিমের পরিবারের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে ঘটনার আনুমানিক দেড় বছর আগে পারিবারিক কলহের জেরে আসামিদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লাঠি নিয়ে মারামারি হয়। ওই মারামারিতে মামলার আসামি আহম্মদ আলী আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা হলেও আসামিদের ভিকটিমের পরিবারের ওপর আক্রোশ থেকে যায়।

এ শত্রুতার জেরে আসামিরা ২০১৩ সালের ১৬ জুন ভিকটিম মো. ইমন হোসেনকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ টুকরা টুকরা করে ধইঞ্চা ও ধান ক্ষেতের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা লোক মারফত সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের মরদেহ শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় নিহত ইমনের বাবা বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় ২০২২ সালের ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক বেগম ছাবিনা ইয়াছমিন স্কুলছাত্র শিশু ইমন হত্যা মামলার চারজনের মৃত্যুদণ্ড রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে এ মামলায় দুই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক দুর্ঘটনা: নিহত ১, আহত ১৫

স্কুলছাত্রকে হত্যার পর ৯ টুকরো, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

আপডেট সময় ০৫:৫৪:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র ইমনকে হত্যার পর ৯ টুকরো করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৭।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় র‌্যাব-১১’র সিপিসি-১’র কোম্পানি কমান্ডার মেজর অনাবিল ইমাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

এর আগে রোববার চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন চরলক্ষ্যা এলাকায় র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৭’র যৌথ অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আহম্মদ আলী (৬৬) ও সেন্টু মিয়া (৩৬) এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হোসনা বেগম (৫৮)।

র‌্যাব প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ২০১৩ সালের ১৬ জুন স্কুলছাত্র মো. ইমন হোসেন (১৪) তার দাদার সঙ্গে নিজ বাড়িতে ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছিলেন। রাত সাড়ে ৮টায় এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা ভিকটিমকে কৌশলে ঘর থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে যান। এরপর ভিকটিম আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। ভিকটিমের বাবা পরের দিন থেকে আশপাশের এলাকাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ভিকটিমকে খুঁজে পায়নি। ২০১৩ সালের ২২ জুন ভিকটিমের বাড়ির উত্তর-পশ্চিম পাশে ধইঞ্চা ও ধান ক্ষেতের মধ্যে ভিকটিম ইমনের ৯ টুকরো গলিত মরদেহ পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, আসামিদের সঙ্গে ভিকটিমের পরিবারের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে ঘটনার আনুমানিক দেড় বছর আগে পারিবারিক কলহের জেরে আসামিদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লাঠি নিয়ে মারামারি হয়। ওই মারামারিতে মামলার আসামি আহম্মদ আলী আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা হলেও আসামিদের ভিকটিমের পরিবারের ওপর আক্রোশ থেকে যায়।

এ শত্রুতার জেরে আসামিরা ২০১৩ সালের ১৬ জুন ভিকটিম মো. ইমন হোসেনকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ টুকরা টুকরা করে ধইঞ্চা ও ধান ক্ষেতের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা লোক মারফত সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের মরদেহ শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় নিহত ইমনের বাবা বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় ২০২২ সালের ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক বেগম ছাবিনা ইয়াছমিন স্কুলছাত্র শিশু ইমন হত্যা মামলার চারজনের মৃত্যুদণ্ড রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে এ মামলায় দুই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।