ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রত্যেকের এই জরুরি চিকিৎসাটি শিখে রাখা উচিত

অজ্ঞান হওয়া রোগীর শ্বাস প্রশ্বাস আটকে গেলে দ্রুত চিকিৎসা দিতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে কয়েক মিনিটের মধ্যে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। তাই জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দরকার হয়। যে কেউ এই চিকিৎসা দিতে পারেন। আমাদের প্রত্যেকের এই জরুরি চিকিৎসা পদ্ধতিটি শিখে রাখা উচিত। কারণ আমরা জানি না কখন আমাদের সামনে একজন হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়বেন। মনে রাখতে হবে অজ্ঞান রোগীকে জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য সম্ভব হলে আরও দুই একজনকে ডেকে নিতে হবে।

মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘আপনার বাসায় বা অফিসে কেউ যদি হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে সোজা করে শুইয়ে দেবেন। এরপর তাকে ডাকবেন। যদি ডাকে সাড়া না দেয় দেখতে হবে রোগীর বুক ওঠা-নামা করছে কিনা। আরও দেখতে হবে রোগীর নাকের কাছে কান নিয়ে শ্বাস-প্রাশ্বাসের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে কিনা। দেখতে হবে তার জিহ্বা উল্টে গেছে কিনা। জিহ্বা উল্টে গেলে সোজা করে দিতে হবে। এরপর শ্বাসনালী যাতে সোজা থাকে সেজন্য রোগীর মাথার নিচে বালিশ দেবেন না। রোগীর বুকের ওপর ঠিক মাঝখানে দ্রুত চাপ দিতে হবে। প্রতি সেকেন্ডে দুইবার করে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করুন। এরপর মুখের সঙ্গে মুখ লাগিয়ে শ্বাস দিতে পারেন। রোগী যদি সাড়া দেয় তাহলে বুঝতে হবে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ঠিক হয়ে গেছে।’

জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করলে ৯৯৯-এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স কল করতে পারেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রত্যেকের এই জরুরি চিকিৎসাটি শিখে রাখা উচিত

আপডেট সময় ০৪:৪০:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অজ্ঞান হওয়া রোগীর শ্বাস প্রশ্বাস আটকে গেলে দ্রুত চিকিৎসা দিতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে কয়েক মিনিটের মধ্যে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। তাই জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দরকার হয়। যে কেউ এই চিকিৎসা দিতে পারেন। আমাদের প্রত্যেকের এই জরুরি চিকিৎসা পদ্ধতিটি শিখে রাখা উচিত। কারণ আমরা জানি না কখন আমাদের সামনে একজন হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়বেন। মনে রাখতে হবে অজ্ঞান রোগীকে জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য সম্ভব হলে আরও দুই একজনকে ডেকে নিতে হবে।

মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘আপনার বাসায় বা অফিসে কেউ যদি হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে সোজা করে শুইয়ে দেবেন। এরপর তাকে ডাকবেন। যদি ডাকে সাড়া না দেয় দেখতে হবে রোগীর বুক ওঠা-নামা করছে কিনা। আরও দেখতে হবে রোগীর নাকের কাছে কান নিয়ে শ্বাস-প্রাশ্বাসের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে কিনা। দেখতে হবে তার জিহ্বা উল্টে গেছে কিনা। জিহ্বা উল্টে গেলে সোজা করে দিতে হবে। এরপর শ্বাসনালী যাতে সোজা থাকে সেজন্য রোগীর মাথার নিচে বালিশ দেবেন না। রোগীর বুকের ওপর ঠিক মাঝখানে দ্রুত চাপ দিতে হবে। প্রতি সেকেন্ডে দুইবার করে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করুন। এরপর মুখের সঙ্গে মুখ লাগিয়ে শ্বাস দিতে পারেন। রোগী যদি সাড়া দেয় তাহলে বুঝতে হবে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ঠিক হয়ে গেছে।’

জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করলে ৯৯৯-এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স কল করতে পারেন।