ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণভবনকে জাদুঘর বানিয়ে উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এ রূপান্তর করে তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের পর সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের যে গণভবন এটি আসলে কখনো এর যে নাম, গণভবন হয়ে উঠতে পারেনি। এই গণভবনকে যেহেতু ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জয় করেছে এটিকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি, শহীদদের স্মৃতি, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে যত অন্যায়-অবিচার হয়েছে সব কিছুর স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, খুব দ্রুতই এটা নিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। জনগণ যেভাবে বিজয় করেছে এটিকে সেই অবস্থাতেই রাখা হবে। এর ভেতরে আমরা একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করবো। যাতে এই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষিত থাকে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে জুলাইয়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এই আন্দোলন দমনে তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার আগ্নেয়াস্ত্রের বাড়াবাড়ি রকমের ব্যবহার করে বলে অভিযোগ ওঠে। জুলাইয়ের মাঝমাঝিতে কয়েক শ’ ছাত্র-জনতার প্রাণ ঝরে। পরে সেই আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়।

এই আন্দোলন দমনে হাসিনার সরকার আরও কঠোর হয়। নির্বিচারে হত্যা করে ছাত্র-জনতাকে। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ওই সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে চলে যান।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

গণভবনকে জাদুঘর বানিয়ে উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় ০৫:৩১:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এ রূপান্তর করে তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের পর সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের যে গণভবন এটি আসলে কখনো এর যে নাম, গণভবন হয়ে উঠতে পারেনি। এই গণভবনকে যেহেতু ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জয় করেছে এটিকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি, শহীদদের স্মৃতি, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে যত অন্যায়-অবিচার হয়েছে সব কিছুর স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, খুব দ্রুতই এটা নিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। জনগণ যেভাবে বিজয় করেছে এটিকে সেই অবস্থাতেই রাখা হবে। এর ভেতরে আমরা একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করবো। যাতে এই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষিত থাকে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে জুলাইয়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এই আন্দোলন দমনে তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার আগ্নেয়াস্ত্রের বাড়াবাড়ি রকমের ব্যবহার করে বলে অভিযোগ ওঠে। জুলাইয়ের মাঝমাঝিতে কয়েক শ’ ছাত্র-জনতার প্রাণ ঝরে। পরে সেই আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়।

এই আন্দোলন দমনে হাসিনার সরকার আরও কঠোর হয়। নির্বিচারে হত্যা করে ছাত্র-জনতাকে। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ওই সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে চলে যান।