ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরম জল ঢালা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অরুণা বিশ্বাস

‘আলো আসবেই’ শিরোনামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন ফাঁস হওয়ায় তোপের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা অরুণা বিশ্বাস। কথা প্রসঙ্গে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার গায়ে ‘গরম জল ঢালা’র পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরই তিনি কানাডায় চলে যান। গরম জলের বিষয়টি নিয়ে সেখান থেকে এক সাক্ষাৎকারে পরিষ্কার করেছেন তিনি।

অরুণার ভাষায়, ‘আমরা কিন্তু সেখানে (গ্রুপে) কোনো বাজে কথা বলিনি। আমরা কিন্তু সব সময় বলেছি ছাত্রদের সঙ্গে বসেন। কথা বলেন। আমরা তো আর নীতিনির্ধারণী কেউ না। সেখানে বলা হয়েছে হাসপাতালে আগুন। ওখানে কেউ ঢুকতে পারছে না। আমি বলেছি গরম জল দিলেই হয়। গরম জল তো কামান থেকে দেয়। জলকামান লিখি নাই আর কি। ওখানেই বোধহয় মিসটেক হয়েছে। কামানে যে গরম জল থাকে সেটার কথা বলেছি।’

অরুণা বলেন, ‘সত্যি কথা হলো আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। পাঁচ দিন কোনো খবর নিতে পারিনি। ইন্টারনেট যখন বন্ধ ছিল, তখন। ওই সময় যে বাচ্চাদের এত কিছু হয়েছে জানতাম না। আসলে আমরা কেউ কিন্তু ছাত্রদের বিপক্ষে ছিলাম না। আমাদের মিডিয়ার লোকজন তাদের বিপক্ষে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। আমরা কিন্তু সন্ত্রাসীদের কথা বলেছি। ছাত্রদের কথা না। আমি আওয়ামী লীগ করছি ঠিকই, সেন্সর বোর্ডের মেম্বার ছিলাম, কিন্তু আমি তো কোনো নীতিনির্ধারকের জায়গায় ছিলাম না।’

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

গরম জল ঢালা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অরুণা বিশ্বাস

আপডেট সময় ০৫:১৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘আলো আসবেই’ শিরোনামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন ফাঁস হওয়ায় তোপের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা অরুণা বিশ্বাস। কথা প্রসঙ্গে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার গায়ে ‘গরম জল ঢালা’র পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরই তিনি কানাডায় চলে যান। গরম জলের বিষয়টি নিয়ে সেখান থেকে এক সাক্ষাৎকারে পরিষ্কার করেছেন তিনি।

অরুণার ভাষায়, ‘আমরা কিন্তু সেখানে (গ্রুপে) কোনো বাজে কথা বলিনি। আমরা কিন্তু সব সময় বলেছি ছাত্রদের সঙ্গে বসেন। কথা বলেন। আমরা তো আর নীতিনির্ধারণী কেউ না। সেখানে বলা হয়েছে হাসপাতালে আগুন। ওখানে কেউ ঢুকতে পারছে না। আমি বলেছি গরম জল দিলেই হয়। গরম জল তো কামান থেকে দেয়। জলকামান লিখি নাই আর কি। ওখানেই বোধহয় মিসটেক হয়েছে। কামানে যে গরম জল থাকে সেটার কথা বলেছি।’

অরুণা বলেন, ‘সত্যি কথা হলো আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। পাঁচ দিন কোনো খবর নিতে পারিনি। ইন্টারনেট যখন বন্ধ ছিল, তখন। ওই সময় যে বাচ্চাদের এত কিছু হয়েছে জানতাম না। আসলে আমরা কেউ কিন্তু ছাত্রদের বিপক্ষে ছিলাম না। আমাদের মিডিয়ার লোকজন তাদের বিপক্ষে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। আমরা কিন্তু সন্ত্রাসীদের কথা বলেছি। ছাত্রদের কথা না। আমি আওয়ামী লীগ করছি ঠিকই, সেন্সর বোর্ডের মেম্বার ছিলাম, কিন্তু আমি তো কোনো নীতিনির্ধারকের জায়গায় ছিলাম না।’