ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মেকআপ ছাড়া শ্রাবন্তীর মতো সুন্দরী ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই কম’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। গতকাল (১৩ আগস্ট) ছিল তার জন্মদিন। এদিন ৩৭ বছর পূর্ণ করেন এই অভিনেত্রী। তার পরবর্তী সিনেমা ‘দেবী চৌধুরানী’। এটি পরিচালনা করেছেন শুভ্রজিৎ মিত্র। বিশেষ দিনে ‘কথিত’ প্রেমিকা শ্রাবন্তীকে নিয়ে কলম ধরলেন এই নির্মাতা।

শ্রাবন্তীর সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রসঙ্গ টেনে শুভ্রজিৎ ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে লেখেন, ‘গিন্টুর (শ্রাবন্তীর ডাক নাম) জন্মদিনে আমি শহরে নেই। এই মুহূর্তে আমি দিল্লিতে রয়েছি। ওর সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ প্রায় বছর দশেক আগে। কোনো একটা কাজের সূত্রেই আমাদের দেখা। তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব হয়। জন্মদিনে ওকে নিয়ে নানা স্মৃতিই মাথায় ভিড় করে আসছে।’

শ্রাবন্তীর রূপ ও অভিনয় দক্ষতা ব্যাখ্যা করে শুভ্রজিৎ লেখেন, ‘গিন্টু খুব শক্তিশালী অভিনেত্রী। আমার মতে, ওকে এখনো সেইভাবে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এক্সপ্লোর করা হয়নি। মেকআপ ছাড়া ওর মতো সুন্দরী অভিনেত্রী আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কমই রয়েছেন। আমার পরিচালনায় ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার নাম ভূমিকায় ও অভিনয় করেছে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বর্ণনার সঙ্গে গিন্টুর লুক একেবারে মিলে যায়। তারচেয়েও বড় কথা, ওর লুকের মধ্যে একটা বাঙালিয়ানা রয়েছে, যেটা এই চরিত্রের অন্যতম শর্ত ছিল। সেই ভাবনা থেকেই এই সিনেমায় ওকে নির্বাচন করি। শুটিংয়ের আগে ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির একাধিক অভিনেত্রী এই চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সত্যি বলছি, যে ভাবনা থেকে আমি গিন্টুকে বেছে নিই, এই সিনেমায় ও তার থেকেও আরো বেশি কিছু দিয়েছে।’

শ্রাবন্তীর নিষ্ঠায় মুগ্ধ শুভ্রজিৎ লেখেন, ‘কাজের প্রতি গিন্টুর নিষ্ঠা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। দেবী চৌধুরানী হয়ে উঠতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গিন্টু পরিশ্রম করেছে। তলোয়ার চালানো শেখা থেকে শুরু করে অ্যাকশনের তালিম— সবই নিয়েছে। শুরু থেকেই ওর এই সফরের আমি অংশ ছিলাম। বলা যায়, পর্দার বাইরে আমিই যেন তখন ভবানী পাঠক হয়ে উঠেছিলাম।’

শুটিং করতে গিয়ে একাধিকবার আহত হন শ্রাবন্তী। সেই স্মৃতিচারণ করে শুভ্রজিৎ লেখেন, ‘শুটিংয়ে একাধিকবার চোট-আঘাত পেয়েছিল গিন্টু। মাথার ঘাম নয়, রীতিমতো রক্ত ঝরিয়ে অভিনয় করেছে। তির ছুড়তে গিয়ে ধনুকের ছিলায় আঙুল কেটে গিয়েছে। আঙুলে ব্যান্ডেজ। সেই অবস্থায় একের পর এক শট দিয়েছে গিন্টু। হামাগুড়ি দেওয়ার দৃশ্যে হাঁটু ধারালো নুড়ি-পাথরে ক্ষতবিক্ষত! তারপরও শট দিয়েছে। পরিচালক হিসেবে এর থেকে বেশি আমি ওর কাছে আর কী-ই বা দাবি করতে পারি!’

শুভ্রজিৎ তার পরবর্তী সিনেমায়ও কাস্ট করেছেন শ্রাবন্তীকে। এ খবর জানিয়ে এই পরিচালক লেখেন, “দেবী চৌধুরানী’ করতে গিয়ে গিন্টুকে আমি যেভাবে দেখেছি, তা ওর প্রতি আমার বিশ্বাসকেও আরো পোক্ত করেছে। আমার পরবর্তী সিনেমা ‘কালমৃগয়া’-তে স্বাভাবিকভাবেই গিন্টুকেই বেছে নিয়েছি। শহরে ফিরলে ওর সঙ্গে ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার ডাবিং শুরু করব।”

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

‘মেকআপ ছাড়া শ্রাবন্তীর মতো সুন্দরী ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই কম’

আপডেট সময় ০৩:৫৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। গতকাল (১৩ আগস্ট) ছিল তার জন্মদিন। এদিন ৩৭ বছর পূর্ণ করেন এই অভিনেত্রী। তার পরবর্তী সিনেমা ‘দেবী চৌধুরানী’। এটি পরিচালনা করেছেন শুভ্রজিৎ মিত্র। বিশেষ দিনে ‘কথিত’ প্রেমিকা শ্রাবন্তীকে নিয়ে কলম ধরলেন এই নির্মাতা।

শ্রাবন্তীর সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রসঙ্গ টেনে শুভ্রজিৎ ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে লেখেন, ‘গিন্টুর (শ্রাবন্তীর ডাক নাম) জন্মদিনে আমি শহরে নেই। এই মুহূর্তে আমি দিল্লিতে রয়েছি। ওর সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ প্রায় বছর দশেক আগে। কোনো একটা কাজের সূত্রেই আমাদের দেখা। তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব হয়। জন্মদিনে ওকে নিয়ে নানা স্মৃতিই মাথায় ভিড় করে আসছে।’

শ্রাবন্তীর রূপ ও অভিনয় দক্ষতা ব্যাখ্যা করে শুভ্রজিৎ লেখেন, ‘গিন্টু খুব শক্তিশালী অভিনেত্রী। আমার মতে, ওকে এখনো সেইভাবে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এক্সপ্লোর করা হয়নি। মেকআপ ছাড়া ওর মতো সুন্দরী অভিনেত্রী আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কমই রয়েছেন। আমার পরিচালনায় ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার নাম ভূমিকায় ও অভিনয় করেছে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বর্ণনার সঙ্গে গিন্টুর লুক একেবারে মিলে যায়। তারচেয়েও বড় কথা, ওর লুকের মধ্যে একটা বাঙালিয়ানা রয়েছে, যেটা এই চরিত্রের অন্যতম শর্ত ছিল। সেই ভাবনা থেকেই এই সিনেমায় ওকে নির্বাচন করি। শুটিংয়ের আগে ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির একাধিক অভিনেত্রী এই চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সত্যি বলছি, যে ভাবনা থেকে আমি গিন্টুকে বেছে নিই, এই সিনেমায় ও তার থেকেও আরো বেশি কিছু দিয়েছে।’

শ্রাবন্তীর নিষ্ঠায় মুগ্ধ শুভ্রজিৎ লেখেন, ‘কাজের প্রতি গিন্টুর নিষ্ঠা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। দেবী চৌধুরানী হয়ে উঠতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গিন্টু পরিশ্রম করেছে। তলোয়ার চালানো শেখা থেকে শুরু করে অ্যাকশনের তালিম— সবই নিয়েছে। শুরু থেকেই ওর এই সফরের আমি অংশ ছিলাম। বলা যায়, পর্দার বাইরে আমিই যেন তখন ভবানী পাঠক হয়ে উঠেছিলাম।’

শুটিং করতে গিয়ে একাধিকবার আহত হন শ্রাবন্তী। সেই স্মৃতিচারণ করে শুভ্রজিৎ লেখেন, ‘শুটিংয়ে একাধিকবার চোট-আঘাত পেয়েছিল গিন্টু। মাথার ঘাম নয়, রীতিমতো রক্ত ঝরিয়ে অভিনয় করেছে। তির ছুড়তে গিয়ে ধনুকের ছিলায় আঙুল কেটে গিয়েছে। আঙুলে ব্যান্ডেজ। সেই অবস্থায় একের পর এক শট দিয়েছে গিন্টু। হামাগুড়ি দেওয়ার দৃশ্যে হাঁটু ধারালো নুড়ি-পাথরে ক্ষতবিক্ষত! তারপরও শট দিয়েছে। পরিচালক হিসেবে এর থেকে বেশি আমি ওর কাছে আর কী-ই বা দাবি করতে পারি!’

শুভ্রজিৎ তার পরবর্তী সিনেমায়ও কাস্ট করেছেন শ্রাবন্তীকে। এ খবর জানিয়ে এই পরিচালক লেখেন, “দেবী চৌধুরানী’ করতে গিয়ে গিন্টুকে আমি যেভাবে দেখেছি, তা ওর প্রতি আমার বিশ্বাসকেও আরো পোক্ত করেছে। আমার পরবর্তী সিনেমা ‘কালমৃগয়া’-তে স্বাভাবিকভাবেই গিন্টুকেই বেছে নিয়েছি। শহরে ফিরলে ওর সঙ্গে ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার ডাবিং শুরু করব।”