ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে গণমিছিলে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল, সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ

সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘গণমিছিল’ কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিক, পুলিশসহ আন্দোলনকারীদের অনেকে আহত হয়েছেন। আহত সাংবাদিক মিঠু দাস জয় দৈনিক ‘কালবেলা’র সিলেট ব্যুরো চিফ। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করেছে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পার্শ্ববর্তী আখালিয়া এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তাৎক্ষণিক আহত এবং আটককৃতদের নাম জানা যায়নি।

আন্দোলনকারীরা জানান, সারা দেশের মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া ও ‘জনতার গণমিছিল’ শীর্ষক পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল আজ। এরই অংশ হিসেবে তারা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশের বাধার কারণে তারা সেখানে অবস্থান নিতে পারেননি। এরপর আখালিয়া এলাকার মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেন। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অনেক আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আহত হন।

পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আন্দোলনকারীরা সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের আখালিয়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেছিলেন। পুলিশ বারবার তাদের সরে যেতে অনুরোধ করেছে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থী ও পথচারীদের পাশাপাশি তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক মিঠু দাস জয়কে উদ্ধার করে মাউন্ড এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ তৈরি করলে পুলিশ তাদের সরে যেতে বলে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। পুলিশ সাত জনকে আটক করেছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটে গণমিছিলে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল, সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ

আপডেট সময় ০৪:০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘গণমিছিল’ কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিক, পুলিশসহ আন্দোলনকারীদের অনেকে আহত হয়েছেন। আহত সাংবাদিক মিঠু দাস জয় দৈনিক ‘কালবেলা’র সিলেট ব্যুরো চিফ। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করেছে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পার্শ্ববর্তী আখালিয়া এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তাৎক্ষণিক আহত এবং আটককৃতদের নাম জানা যায়নি।

আন্দোলনকারীরা জানান, সারা দেশের মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া ও ‘জনতার গণমিছিল’ শীর্ষক পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল আজ। এরই অংশ হিসেবে তারা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশের বাধার কারণে তারা সেখানে অবস্থান নিতে পারেননি। এরপর আখালিয়া এলাকার মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেন। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অনেক আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আহত হন।

পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আন্দোলনকারীরা সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের আখালিয়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেছিলেন। পুলিশ বারবার তাদের সরে যেতে অনুরোধ করেছে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থী ও পথচারীদের পাশাপাশি তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক মিঠু দাস জয়কে উদ্ধার করে মাউন্ড এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ তৈরি করলে পুলিশ তাদের সরে যেতে বলে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। পুলিশ সাত জনকে আটক করেছে।