ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo খুশির ঈদযাত্রা : ট্রেন ছাড়ছে সময় মতোই, উচ্ছ্বসিত ঘরমুখো মানুষ Logo পুশ-ইন অব্যাহত রেখেছে ভারত, ১১৮ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর Logo শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি: সাদরিল Logo শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও তবারক বিতরণ Logo ওলামা কল্যান পরিষদের নবগঠিত কমিটির পরিচিত সভা Logo শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে,গরীব দুঃখীদের মাঝে খিচুড়ি বিতরণ Logo জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ফুলেল শ্রদ্ধা Logo রিমান্ড শেষে কারাগারে আইভী Logo বন্দরে চোরাইকৃত মিশুকসহ চোর আটক, পুলিশে সোর্পদ Logo বৃষ্টিতে বিপন্ন নারায়ণগঞ্জ শহর, জলাবদ্ধতায় নাকাল জনজীবন

নারী ক্রিকেটেও পেস বিপ্লবের আশা

টিম বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে একটা সময় প্রাধান্য ছিল স্পিনারদের। একাদশে দুই পেসারের বেশি তেমন একটা দেখা যেত না। তবে এখন দিন বদলেছে। এখন পেসাররাই দিচ্ছেন বোলিং বিভাগের নেতৃত্ব। মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন, তানজিম হাসান, খালেদ আহমেদ, নাহিদ রানারা বাংলাদেশের ক্রিকেটে রীতিমতো পেস বিপ্লবই ঘটিয়ে দিয়েছেন। পুরুষদের দলের মতো নারী দলেও পেস বিপ্লবের সম্ভাবনা দেখছেন তালহা জোবায়ের।

ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে সেটি আরব আমিরাতে সরে গেছে। আসরটিতে অংশ নিতে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল এখন মরুর দেশটিতেই আছে। আমিরাতের কন্ডিশন বিবেচনায় টাইগ্রেস শিবিরে স্পিনারদেরই বেশি প্রাধান্য পাওয়ার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। স্কোয়াডে রাখা হয়েছে চারজন পেসার- অভিজ্ঞ জাহানারা আলমের সঙ্গী মারুফা আক্তার, রিতু মনি আর জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা দিশা বিশ্বাস। তাদের হাত ধরেই নারী দলেও পেস বোলিং বিপ্লবের আশা দলের বোলিং কোচ তালহার।

প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করে তালহা বলেছেন, ‘আমি মনে করি মারুফার যে দক্ষতা, তার এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার মতো সামর্থ্য আছে। ওর লাইন-লেংথ ধরে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ, ধরে রাখতে হবে ফোকাসও। এই দুটি কাজ করতে পারলে ও দলের সম্পদ হয়ে উঠবে। দিশা আমাদের ভবিষ্যৎ। ওকে যদি ঠিকঠাক দেখভাল করা যায়, তা হলে সে পরে আমাদের রেজাল্ট এনে দেবে। রিতু মনি একদম পারফেক্ট। লাইন-লেংথ খুব ভালো। পেস বেশি নেই, তবে ব্যাটারকে খুব ভালো বুঝে ও ফিল্ড সেটআপ অনুযায়ী বল করতে পারে।’

নিকট অতীতে নারী দলের সাফল্যে স্পিনারদের ভূমিকাটাই বেশি দেখা গেছে। সোমবার দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে ১১৭ রানে অলআউট করে ২৩ রানের যে জয় টাইগ্রেসরা পেয়েছে, সেখানেও বড় ভূমিকা ছিল স্পিনারদের। একমাত্র পেসার হিসেবে খেলা মারুফা নেন ২ উইকেট। সেটি দেখেই যে আমিরাতের মরা পিচে পেস আক্রমণ নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন তালহা, তা নয়।

কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, ‘মারুফা আমাদের দলের মূল বোলার। দিশা আছে, জাহানারা আছে। আমি মনে করি ওদের যে সামর্থ্য আছে, সেটি যদি ওরা প্রয়োগ করতে পারে; তা হলে পেস বোলিং ইউনিট হিসেবে খুব ভালো অবস্থায় থাকব।’

এখনও অভিষেক হয়নি দিশার। তিনিও চান বিপ্লব ঘটাতে, ‘অবশ্যই আমাদের চেষ্টা থাকে দলের প্রয়োজন অনুযায়ী যেন সেরা পারফরম্যান্সটাই করতে পারি। আগে ছেলেদের দলে দুয়েকজন পেসার একাদশে থাকত, এখন সেটি ৪-৫ জন হয়ে গেছে। আমাদেরও এমন পারফরম্যান্স করতে হবে, যেন মেয়েদের একাদশেও ৩-৪ জন পেসার থাকতে পারে। এই চেষ্টাই আমরা করছি। এগুলো আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। আমরা আশা করছি এই জায়গাটা তৈরি করব।’

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

খুশির ঈদযাত্রা : ট্রেন ছাড়ছে সময় মতোই, উচ্ছ্বসিত ঘরমুখো মানুষ

নারী ক্রিকেটেও পেস বিপ্লবের আশা

আপডেট সময় ০১:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

টিম বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে একটা সময় প্রাধান্য ছিল স্পিনারদের। একাদশে দুই পেসারের বেশি তেমন একটা দেখা যেত না। তবে এখন দিন বদলেছে। এখন পেসাররাই দিচ্ছেন বোলিং বিভাগের নেতৃত্ব। মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন, তানজিম হাসান, খালেদ আহমেদ, নাহিদ রানারা বাংলাদেশের ক্রিকেটে রীতিমতো পেস বিপ্লবই ঘটিয়ে দিয়েছেন। পুরুষদের দলের মতো নারী দলেও পেস বিপ্লবের সম্ভাবনা দেখছেন তালহা জোবায়ের।

ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে সেটি আরব আমিরাতে সরে গেছে। আসরটিতে অংশ নিতে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল এখন মরুর দেশটিতেই আছে। আমিরাতের কন্ডিশন বিবেচনায় টাইগ্রেস শিবিরে স্পিনারদেরই বেশি প্রাধান্য পাওয়ার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। স্কোয়াডে রাখা হয়েছে চারজন পেসার- অভিজ্ঞ জাহানারা আলমের সঙ্গী মারুফা আক্তার, রিতু মনি আর জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা দিশা বিশ্বাস। তাদের হাত ধরেই নারী দলেও পেস বোলিং বিপ্লবের আশা দলের বোলিং কোচ তালহার।

প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করে তালহা বলেছেন, ‘আমি মনে করি মারুফার যে দক্ষতা, তার এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার মতো সামর্থ্য আছে। ওর লাইন-লেংথ ধরে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ, ধরে রাখতে হবে ফোকাসও। এই দুটি কাজ করতে পারলে ও দলের সম্পদ হয়ে উঠবে। দিশা আমাদের ভবিষ্যৎ। ওকে যদি ঠিকঠাক দেখভাল করা যায়, তা হলে সে পরে আমাদের রেজাল্ট এনে দেবে। রিতু মনি একদম পারফেক্ট। লাইন-লেংথ খুব ভালো। পেস বেশি নেই, তবে ব্যাটারকে খুব ভালো বুঝে ও ফিল্ড সেটআপ অনুযায়ী বল করতে পারে।’

নিকট অতীতে নারী দলের সাফল্যে স্পিনারদের ভূমিকাটাই বেশি দেখা গেছে। সোমবার দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে ১১৭ রানে অলআউট করে ২৩ রানের যে জয় টাইগ্রেসরা পেয়েছে, সেখানেও বড় ভূমিকা ছিল স্পিনারদের। একমাত্র পেসার হিসেবে খেলা মারুফা নেন ২ উইকেট। সেটি দেখেই যে আমিরাতের মরা পিচে পেস আক্রমণ নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন তালহা, তা নয়।

কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, ‘মারুফা আমাদের দলের মূল বোলার। দিশা আছে, জাহানারা আছে। আমি মনে করি ওদের যে সামর্থ্য আছে, সেটি যদি ওরা প্রয়োগ করতে পারে; তা হলে পেস বোলিং ইউনিট হিসেবে খুব ভালো অবস্থায় থাকব।’

এখনও অভিষেক হয়নি দিশার। তিনিও চান বিপ্লব ঘটাতে, ‘অবশ্যই আমাদের চেষ্টা থাকে দলের প্রয়োজন অনুযায়ী যেন সেরা পারফরম্যান্সটাই করতে পারি। আগে ছেলেদের দলে দুয়েকজন পেসার একাদশে থাকত, এখন সেটি ৪-৫ জন হয়ে গেছে। আমাদেরও এমন পারফরম্যান্স করতে হবে, যেন মেয়েদের একাদশেও ৩-৪ জন পেসার থাকতে পারে। এই চেষ্টাই আমরা করছি। এগুলো আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। আমরা আশা করছি এই জায়গাটা তৈরি করব।’